हिंदी में पढ़ें Read in English
This Article is From Jul 24, 2019

কাউকে জঙ্গি ঘোষণা করতে বিল পাশ লোকসভায়, ওয়াকআউট বিরোধীদের

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী উল্লেখ করেন, যদি একটা জঙ্গি সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়, তাহলে একজন জঙ্গি আরেকটি সংগঠন তৈরি করে ফেলতে পারে।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া
নয়াদিল্লি:

সংসদে যদি সন্ত্রাস-মোকাবিলা বিলে পরিবর্তনটি পাশ হয়ে যায়, তাহলে কোনও জঙ্গি সংগঠনের যোগে সন্দেহভাজন কাউকে “সন্ত্রাসবাদী” তকমা দিতে পারবে সরকার। বেআইনি কার্যকলাপ রোধ সম্পর্কিত সংশোধনী বিলটি লোকসভায় ২৮৪ ভোট পায় পক্ষে, এবং আটটি ভোট বিলটির বিরুদ্ধে পড়ে। পরিবর্তনের পক্ষে সওয়াল করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, “কাউকে সন্ত্রাসবাদী ঘোষণা করার জন্য আইন জরুরি। এর জন্য  রাষ্ট্রসংঘে একটি পদ্ধতি রয়েছে, পাকিস্তানেও রয়েছে, চিন, ইজরায়েল, ইউরোপীয় ইউনিয়নগুলি...প্রত্যেকের এই আইন করেছে”। তিনি উল্লেখ করেন,. যদি একটা জঙ্গি সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়, তাহলে একজন জঙ্গি আরেকটি সংগঠন তৈরি করে ফেলতে পারে।

বিলটির বিরোধীতা করে বিরোধীরা, এমনকী এর বিরুদ্ধে সংসদে সরব হন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মহুয় মৈত্রও। কাউকে টার্গেট করতে বিলটির অপব্যবহার হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী উল্লেখ করেন, যদি একটা জঙ্গি সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়, তাহলে একজন জঙ্গি আরেকটি সংগঠন তৈরি করে ফেলতে পারে।

Advertisement

মহুয়া মৈত্র বলেন, “যদি কেন্দ্র কাউকে টার্গেট করার চেষ্টা করে, তাদের কোনও না কোনও আইনের সাহায্য নিয়ে ধরবে।বিরোধী নেতা, সংখ্যালঘু, আরটিআই আন্দোলনকারী, এবং অন্যান্যরা, তাঁরা যদি সরকারের কোনও মতামত, যা সরকার আমাদের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছে, তার বিরোধিতা করে, তাহলেই বিরোধীদের ওপর রাষ্ট্র-বিরোধী তকমা সেঁটে যায়”।

তিনি বলেন, “কেন বিরোধীদের রাষ্ট্র বিরোধী বলা হয়, আমরা সরকারের জাতীয় নিরাপত্তা ও নীতির বিরুদ্ধে সেই কারণেই”?

Advertisement

বিরোধীদের অভিযোগ, সরকারের বিরোধিতা করলে, তাঁকে রাষট্র-বিরোদী তকমা দেওযা হয়, তার উত্তরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আশ্বাস দেন, প্রকৃত সমাজকর্মীকে কেউ হেনস্তা করবে না। তিনি বলেন, “অনেক সমাজকর্মীই রয়েছেন, যাঁরা ভাল কাজ করেন...কিন্তু নাগরিক মাওবাদীদের বিলুপ্ত করতে হবে”।

ইউএপিএ আইন নিয়ে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে দ্বিচারিতারও অভিযোগ তোলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

Advertisement

.স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “যখন আপনারা, আমাদের দিকে প্রশ্ন তোলেন, তখন এটা দেখেন না, আইন এবং সংশোধনী কারা এনেছিল, কারা একে শক্তিশালী করেছিল।এটা আপনারা যখন ক্ষমতায় ছিলেন, তখন আনা হয়েছিল, সেই সময় আপনারা যা করেছিলেন সেটা ঠিক, এবং এখন আমি যা করছি সেটাও ঠিক”।

অমিত শাহ আরও বলেন, “সরকার সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলা করে, তাতে যে দলই ক্ষমতায় থাকুক”।

Advertisement

কংগ্রেস নেতা শশী তারুরের অভিযোগ, সংশোধনী বিলটি “খুব দ্রুত” আনা হয়েছে।এক সপ্তাহ আগে যখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিলটি পেশ করেছিলেন, শশী তারুর সেই সময় বলেছিলেন, অটল বিহারি বাজপেয়িও এই আইনের বিরোধিতা করেছিলেন।

Advertisement