কলকাতার বাসিন্দা কুন্তল কারার, প্রাণ হারিয়েছেন তিনি
কলকাতা/ কাঠমাণ্ডু: পাহাড় চড়ার নেশা আবার প্রাণ নিল দুই পর্বতারোহীর। কলকাতার দুই পর্বতারোহীর প্রাণ নিল কাঞ্চনজঙ্ঘা। নেপালে বিশ্বের তৃতীয় সর্বোচ্চ এই পর্বতশৃঙ্গ অভিযানের সময় ওই পর্বত চূড়াতেই মৃত্যু হয় কলকাতার দুই আরোহীর। তাদের মধ্যে একজন সফলভাবে পর্বত আরোহনও করেছিলেন। হাইপোথার্মিয়া এবং তুষার অন্ধত্বের কারণে বরফাবৃত পাহাড় থেকে আর নামতে পারলেন না দুই পর্বতারোহী। ৪৮ বছর বয়সী বিপ্লব বৈদ্য এবং কুন্তল কারার (৪৬) (Kuntal Karar) কাঞ্চনজঙ্ঘার (summit of Kanchenjunga) চতুর্থ ক্যাম্প থেকে প্রায় ৮,০০০ মিটার (প্রায় ২৬,২৪৬ ফুট) উচ্চতায় পাহাড়ের কোলেই প্রাণ হারান।
হিমাচলে রুক্ষ পাহাড়ে বরফের মাঝে ‘ছদ্মবেশে' তুষারচিতা! ভাইরাল হল এই ছবি
বুধবার বিপ্লব বৈদ্য ( Biplab Baidya) কাঞ্চনজঙ্ঘার মূল সামিটে, অর্থাৎ ৮,৫৮৬ মিটারে আরোহণ করেন। পশ্চিমবঙ্গের পাঁচ সদস্যের একটি দলেই ওই দুই পর্বতারোহী ছিলেন। প্রজেক্ট পসিবল দলের নেতা নির্মল নিমস পূরজা তাঁর সহযোগীদের সঙ্গে মিলে একটি উদ্ধারকার্য চালান। ওই দুই পর্বতারোহীকে চতুর্থ ক্যাম্পে নিয়ে আসার সময়েই মারা যান তাঁরা। নেপালের পর্যটন মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মী মিরা আচার্য বলেন, “বিপ্লব ওই চূড়ার শীর্ষে পৌঁছতে পেরেছিল ঠিকঠাকই, কিন্তু কুন্তল মাঝ পথেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিল।” তাদের হাইকিং কোম্পানি পিক প্রমোশন প্রাইভেট লিমিটেডের ম্যানেজার পাশাং শেরপা বলেন, দুই পর্বতারোহীই এতখানি উচ্চতায় অসুস্থ হয়ে পড়েন।
কারগিলে পাথর ছুঁড়ে ভালুককে খাদে ফেলে উল্লাস মানুষের! তীব্র ক্ষোভ সোশ্যাল মিডিয়ায়
নেপালের দৈনিক হিমালয় টাইমসকে তিনি বলেন, “দুইজন ভারতীয় পর্বতারোহী এবং একজন জার্মান পর্বতারোহী তীব্র ঠাণ্ডার কামড়ে গুরুতরভাবে ভুগছেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব উচ্চ অক্ষাংশীয় শিবির থেকে তাঁদেরকে সরিয়ে দেওয়া হবে।”
চিলির একজন পর্বতারোহী রডরিগো ভিভানকোকেও গত সন্ধ্যা থেকেই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না চতুর্থ ক্যাম্প থেকে। বসন্তকালের পর্বতারোহণের সময় শত শত পর্বতারোহী পাহাড় চড়তে আসেন। হিমালয়ের বিভিন্ন শৃঙ্গ আরোহনের এই সময়সীমা শেষ হচ্ছে এই মাসেই।