This Article is From Sep 17, 2019

Biswakarma Puja 2019: ইচ্ছেঘুড়ির টানে মন উধাও আকাশপানে

এখন কচি হাত ঘুড়ি-লাটাই ভুলে পেটের টানে তুলে নেয় যন্ত্র। ওদের নরম হাতে কঠিন যন্ত্রের প্রভাব যাতে না পরে এই উদ্যোগেই অর্গোভব হিউম্যানিটি ডেভলপমেন্টের এই নতুন কর্মসূচি।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Written by

Biswakarma Puja 2019: ঘুড়ির টানে আকাশপাণে

কলকাতা:

বছরের এই একটা দিন। যে দিন সময়ের পলেস্তারা খসিয়ে কচি-কাঁচা আর বড়-বুড়ো সব্বার চোখ আকাশে। ‘দেখেছিস, কী দারুণ দেখতে ওই চাঁদিয়াল ঘুড়িটা! পেটকাটিটাও বা কম কিসে...'-র মতো কথা ফেরে মুখে মুখে। এরপরেই নিস্তবদ্ধতা খানখান করে বিজয়োল্লাস, ‘ভো-কাট্টা। গেছে রে ঘুড়িটা। দেখ দেখ, কেমন লাট খেতে খেতে মাটিতে নামছে' গোছের আনন্দমাখা মন্তব্য। একদিকে তির বেগে ছুটে চলা একরত্তি ছেলে। তাকে সামলাতে গিয়ে বড়রা নাকাল-নাজেহাল। দিনটা বিশ্বকর্মা পুজো (Biswakarma Puja 2019)।

সেই দিন যদিও আর নেই। এখন কচি হাত ঘুড়ি-লাটাই ভুলে পেটের টানে তুলে নেয় যন্ত্র। ঘরের অভাবে পথেই এদের বসবাস। অভাব এদের নিত্যসঙ্গী। তাই কচি মন থেকে যাতে একেবারে এই আনন্দ উধাও না হয়ে যায়, কচিকাচাদের নরম হাতে কঠিন যন্ত্রের প্রভাব যাতে না পরে এই উদ্যোগেই অর্গোভব হিউম্যানিটি ডেভেলপমেন্ট (Argobbhawva Humanity Development) মঙ্গলবারে বিশ্বকর্মা পুজোর আগের দিন পালন করল অভিনব কর্মসূচী ইচ্ছেঘুড়ি (Icchhe Ghudi)। 

শিশুশ্রম বন্ধ করতে, কচি হাত তুলে নিয়েছিল ফেলে দেওয়া জিনিস। তাতে মা দুর্গার মুখ এঁকে বানিয়েছিল ঘুড়ি। আর সেই ঘুড়ি নিয়ে একদল পথশিশুর সঙ্গে ময়দানে হইহই করে সবুজ ঘাসে পা ডুবিয়ে সকাল সকাল মেতে উঠেছিলেন সংস্থার কর্ণধার মহেন্দ্র আওয়ারওয়াল। 

Advertisement

মহেন্দ্র-র মতে, স্বাধীন দেশের সমস্ত শিশুর অধিকার রয়েছে খাদ্য-বস্ত্র-বাসস্থানের। অধিকার রয়েছে শিক্ষার। কিন্তু শ্রেণি বৈষম্যের শিকার হয়ে এখনও বহু শিশু সংসার চালাতে শৈশব হারিয়ে হয়ে ওঠে অর্থ রোজগারের যন্ত্র। তাদের মুখে হাসি ফোটাতে, তাদের কচি হাতে যন্ত্রের বদলে ঘুড়ি-লাটাই তুলে দিয়ে সংস্থার বার্তা, শিশুশ্রম বন্ধ হোক। ফিরে আসুক শৈশব। 

Advertisement