রাজ্য সরকারের কাজে নাক গলাচ্ছে প্রশান্ত কিশোরের বাহিনী(Prashant Kishor), অভিযোগ বিজেপির
কলকাতা: রাজ্য বিজেপির (BJP) পক্ষ থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের নির্বাচনী কৌশলবিদ প্রশান্ত কিশোর ও তাঁর দলের সদস্যদের রাজ্য সরকারি কাজে হস্তক্ষেপ এবং বিভিন্ন বিভাগের গোপনীয় ফাইলগুলি অনুসন্ধান করার অভিযোগ তোলা হল। যদিও ক্ষমতাসীন শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) এবং কিশোরের সংগঠন - ইন্ডিয়ান পলিটিকাল অ্যাকশন কমিটি (আই-প্যাক) বিজেপির তোলা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। লোকসভা নির্বাচনের পরেই, ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের জনপ্রিয়তা আরও বাড়ানোর জন্য নির্বাচনী কৌশলবিদ কিশোরের (Prashant Kishor) আই-প্যাককে নিয়োগ করে শাসক দল। বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু দাবি করেছেন যে কিশোর ও তার দলের সদস্যরা জনগণের মতামত নেওয়ার নামে, সরকারি আধিকারিকদের চালনা করছেন এবং সরকারি দফতরে বিভিন্ন বিভাগের গোপন ফাইল অনুসন্ধান করছেন।
প্রশান্তের কৌশলেই স্বমহিমায় ফিরবে ‘ব্র্যান্ড মমতা' ইমেজ, আশা তৃণমূলের
"তৃণমূল যদি শুধু পরামর্শ চাইতে কিশোরকে নিয়োগ করত তবে আমাদের কোনও সমস্যা ছিল না। কিন্তু নির্বাচনী কৌশলবিদ ও তাঁর দল কীভাবে রাজ্য সরকারের কার্যক্রমে হস্তক্ষেপ করতে পারে? আমরা জানতে চাই যে তৃণমূল কংগ্রেস আই-প্যাক সংস্থাকে নিয়োগ করেছে নাকি রাজ্য সরকার নিয়োগ করেছে? আমরা এটা সহ্য করব না, বিষয়টি নিয়ে রাজ্যপালের দ্বারস্থ হবে বিজেপি", বলেন সায়ন্তন বসু।
"ওঁরা সরকারি কর্মকর্তাদের কাজেও হস্তক্ষেপ করছে। এটা যথেষ্ট উদ্বেগজনক এবং একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়। কোনও দল (তৃণমূল কংগ্রেস) কীভাবে সরকারি কার্যক্রম নিয়ে রাজনীতি করতে পারে? আই-প্যাককে কি সরকার নিয়োগ করেছে নাকি তৃণমূল নিযুক্ত করেছে?" প্রশ্ন তোলেন তিনি।
তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) হয়ে কাজে নেমে পড়েছে কিশোর বাহিনী। প্রশান্ত কিশোরের (Prashant Kishor) পরামর্শ অনুসারে তৃণমূল সুপ্রিমো এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি অভিযোগ জানানোর জন্যে একটি হেল্পলাইন নম্বর এবং একটি ওয়েবসাইট চালু করেছেন।
২০২১-এ তৃণমূলের জয় নিশ্চিত করতে পারবেন না প্রশান্ত কিশোর, বললেন শিবরাজ
এই অভিযোগের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে রাজ্যের সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী এবং তৃণমূল কংগ্রেস নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন যে বিজেপির ওই অভিযোগগুলি ভিত্তিহীন।
তিনি বলেন,"বিজেপির অভিযোগ ভিত্তিহীন। এই ধরণের কিছুই ঘটেনি। কেউই সরকারের কার্যক্রমে হস্তক্ষেপ করছে না,"। কিশোরের নেতৃত্বে আই-প্যাকের কর্মকর্তারাও বিজেপির এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
হেল্পলাইন নম্বর এবং ওয়েবসাইট চালুর পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেস একটি বিশাল জনপ্রচার কর্মসূচিও শুরু করেছে, যেখানে দলের ১০,০০০ নেতা জনগণের সমস্যা শোনার জন্য এবং অভিযোগগুলি সমাধানের জন্য আগামী ১০০ দিনের মধ্যে ১০,০০০ গ্রাম পরিদর্শন করবেন।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)