পুরুলিয়ার বলরামপুরে বিজেপি কর্মী 35 বছরের দুলাল কর্মকার এবং 20 বছরের ত্রিলোচন মাহাতোর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল কয়েক দিন আগেই।
কলকাতা:
জঙ্গলমহলে সন্ত্রাসবাদের আতঙ্ক ছড়ানোর জন্য আজ রাজ্য বিজেপির পক্ষ থেকে তৃণমূল কংগ্রেসকে অভিযুক্ত করে বলা হল, আগামী লোকসভা নির্বাচনে ওখানকার মানুষ রাজ্যের শাসক দলকে ‘উপযুক্ত জবাব’ দেবে।
জঙ্গলমহলের সাধারণ মানুষের মনে ক্রমাগত ‘ত্রাস’ সৃষ্টি করার চেষ্টা চালাচ্ছে তৃণমূল, কারণটা খুব পরিষ্কার, ওই মানুষগুলো পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের বিপক্ষে ভোট দিয়েছিল। আজ এই কথা বলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
“শাসক দল সাধারণ ভোটারদের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা করছে”, সাংবাদিকদের বলেন দিলীপ ঘোষ। পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া এবং বাঁকুড়া জেলার বিশাল জঙ্গল নিয়ে এই অঞ্চল- জঙ্গলমহল। বেশ কয়েক বছর আগেও যা ‘মাওবাদী উপদ্রুত অঞ্চল’ হিসাবে পরিচিত ছিল। এই অঞ্চলই সদ্যসমাপ্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে একটি ধাক্কা দিয়েছে। এই জঙ্গলমহলের বহু কেন্দ্রের আসনগুলি জিতেছে বিজেপি। দিলীপ ঘোষ অভিযোগ করেন, তৃণমূল কংগ্রেস চেষ্টা করছে, যাতে বিরোধী দলের সামান্যতম চিহ্নও এই রাজ্যে আর না থাকে।
“আমাদের কর্মীদের প্রত্যেকদিন খুন করা হচ্ছে। কিন্তু, যতদিন না আমরা এই তৃণমূল সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরাতে পারছি, ততদিন আমরা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আমাদের লড়াই জারি রাখব”, বলেন তিনি।
আগামী লোকসভা নির্বাচনে এই রাজ্যের 42’টি আসনেই তারা জিতবে বলে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে যে দাবি করা হয়েছে, তাকে এক হাত নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন- ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, মেদিনীপুরের মতো জঙ্গলমহলের চারটি লোকসভা কেন্দ্রকে হিসাবের বাইরে রেখে শাসক দলের নিজেদের আসন নিয়ে হিসাবনিকাশ করা উচিত। এক সময়ের এই মাওবাদী উপদ্রুত অঞ্চলের তিন জেলা পঞ্চায়েত নির্বাচনে বহু রক্তের সাক্ষী থেকেছে।
রাজনৈতিক হিংসার বলি দুই বিজেপি কর্মীর বাড়িতে গিয়ে তাঁদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে গতকাল দেখা করেন দিলীপ ঘোষ। পুরুলিয়ার বলরামপুরে বিজেপি কর্মী 35 বছরের দুলাল কর্মকার এবং 20 বছরের ত্রিলোচন মাহাতোর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল কয়েক সপ্তাহ আগেই। এই দুই রহস্যজনক ঘটনাকে ‘রাজনৈতিক হত্যা’ বলে সিবিআই তদন্তের দাবি করে গেরুয়া বাহিনী। এই অভিযোগ যদিও শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস অস্বীকার করেছে।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদিত করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে.)