জেপি নাড্ডা ট্যুইট করেন, বিরোধীদল শাসিত রাজ্যে বিজেপি কর্মীদের টার্গেট করতে রাষ্ট্রযন্ত্রকে কাজে লাগানো হচ্ছে
কলকাতা: বিরোধীদের বিরুদ্ধে “রাষ্ট্রযন্ত্রকে” কাজে লাগিয়ে সেরাজ্যগুলিতে বিরোধীকণ্ঠস্বর থামানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলে সোমবার অভিযোগ করলেন বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা (JP Nadda) । একাধিক ট্যুইটে তিনি বিরোধী দলগুলির উচিত “তাদের ব্যর্থতা নিয়ে প্রশ্ন উঠলে রাজনৈতিক আলোচনা করা”। পাশাপাশি আশ্বাস দেন, বিজেপি কর্মীদের পাশে থাকবে দল। যদিও কোনও রাজ্য বা মুখ্যমন্ত্রীর নাম নেননি বিজেপি সভাপতি (BJP chief), তবে তাঁর এই ট্যুইটকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বলেই মনে করা হচ্ছে, গত সপ্তাহে প্রধামন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স বৈঠকে বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
করোনা ভাইরাস নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের মধ্যে নতুন করে বাকযুদ্ধ তৈরি হয়েছে। কেন্দ্র ও রাজ্যের বাকযুদ্ধ চরমে উঠেছে করোনা ভাইরাসকে কেন্দ্র করে।
জেপি নাড্ডার প্রথম ট্যুইটে লেখা, “গত কয়েকদিনে, দেখা গিয়েছে যে, বিরোধীদের দখলে থাকা রাজ্যগুলিতে, বিজেপি কর্মীদের টার্গেট করতে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করা হচ্ছে এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় স্বাধীন মতপ্রকাশ ও স্থানীয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে করোনা নিয়ে মুখ খুলতে দেওয়া হচ্ছে না। একটি গণতন্ত্রে এটা অপ্রত্যাশিত”।
আরেকটি ট্যুইটে বিজেপি সভাপতি বলেন, “বিতর্ক এবং সমালোচনা আমাদের গণতমন্ত্রের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ, তবে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার বিরোধী কণ্ঠস্বর রোধ করা ক্ষমতাশীনদের পক্ষে অশোভন। বিরোধীদের রাজমনৈতিক সমালোচনা করতে দিতে হবে, যখন রাজনৈতিক ব্যর্থতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে”।
মার্চে, রাজ্যের বিরুদ্ধে লকডাউন না মানার অভিযোগ নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে সংঘাতের আবহ তৈরি হয়েছিল এবং করোনার পরিসংখ্যান নিয়েও সংঘাতের আবহ তৈরি হয়।
পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে রাজ্যে কেন্দ্রীয় দলের পর্যবেক্ষণের পর, কেন্দ্রের তরফে রাজ্যকে জানানো হয় যে, এ রাজ্যে করোনায় মৃতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি, সবচেয়ে কম পরীক্ষা হচ্ছে এবং করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সামিলদের হামলার ভীতি রয়েছে।
চলতি মাসের গোড়ার দিকে, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন দেশের মধ্যে বাংলাকে করোনার হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করে এবং বিজেপির তরফে অভিযোগ করা হয় নির্বাচনে এই অব্যবস্থার খেসারত দিতে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
গত সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স বৈঠকে, বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক খেলা করার অভিযোগ তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। সূত্র মারফর জানা গিয়েছে, বৈঠকে তিনি বলেন, “এখন রাজনীতি করার সময় নয়। কেউ আমাদের মতামত চায়নি...যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোকে ভেঙে দেবেন না”।
চলতি মাসের গোড়ার দিকে, উত্তরবঙ্গের এক বর্ষীয়ান বিজেপি নেতাকে লকডাউনের সময়ে সামাজিক দূরত্ব বিধি ভঙ্গের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়। সূত্রের খবর, বিজেপির তরফে জেপি নাড্ডাকে অভিযোগ জানানো হয়, কেরল, মহারাষ্ট্র ও বাংলায় তাঁদের হেনস্থা করা হচ্ছে।