বিজেপির সংখ্যালঘু প্রার্থী দেওয়ার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল মহাসচিব ।
হাইলাইটস
- রাজ্যে ভাল ফল করতে হলে সংখ্যালঘুদের সমর্থন প্রয়োজন
- কয়েকটি নির্বাচনে সংখ্যালঘুদের সমর্থন থাকায় তৃণমূলের ফল এত ভাল হচ্ছে
- বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়
কলকাতা: রাজ্যের 42 টি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে 10-12 টি আসনে সংখ্যা লঘু প্রার্থী দিতে চাইছে বিজেপি। দলীয় স্তরে এমন আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা পিটিআই। রাজ্যে ভাল ফল করতে হলে সংখ্যালঘুদের সমর্থন প্রয়োজন। সেকথা মাথায় রেখেই বেশি সংখ্যায় সংখ্যালঘুদের প্রার্থী করতে চাইছে পদ্ম শিবির। রাজ্যের বেশ কয়েকটি লোকসভা আসনে সংখ্যালঘু ভোট নির্ণায়ক ভূমিকা নিতে পারে। তাছাড়া মোট ভোটারদের একটা বড় অংশও সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়ের। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের ধারনা গত কয়েকটি নির্বাচনে সংখ্যালঘুদের সমর্থন থাকায় তৃণমূলের ফল এত ভাল হচ্ছে। এবার সেখানেই থাবা বসাতে চাইছে বিজেপি।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, সংখ্যালঘুরা বিজেপিকে বিশ্বাস করেন বলেই কুড়িটি রাজ্যে আমরা সরকার চালাই। এ রাজ্যের সংখ্যালঘুদের কাছেও আমরা সেই বার্তাই তুলে ধরতে চাইছি। একই কথা শোনালেন রাজ্য বিজেপির সংখ্যা লঘু সংগঠনের সভাপতি আলি হুসেন। আর সেই মতো রাজ্যের 10-12 টি আসনে সংখ্যালঘু প্রার্থী দেওয়া হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। কয়েক মাস আগে রাজ্যে এসে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ বলেছেন তাঁরা 22 টি আসনে জিততে চান। সেই লক্ষ্য পূরণ করতে সংখ্যালঘু ভোট মরিয়া বিজেপি। এর আগে পঞ্চায়েত নির্বাচনে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় থেকে প্রায় 850 জনকে প্রার্থী করেছিল বিজেপি। আর তার মধ্যে অর্ধেক প্রার্থীই জিতেছেন। আর সেই সাফাল্যকেই লোকসভা ভোটে কাজে লাগাতে চাইছে বিজেপি।
এদিকে, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে এ রাজ্যের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষদের কাছে টানার চেষ্টা করছে বঙ্গ বিজেপি। আর এ প্রসঙ্গে গত চার বছরে মোদী সরকার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষদের জন্য কী করেছ সেটা তুলে ধরার কাজ শুরু হয়েছে। তিন তালাক প্রথার অবসান থেকে শুরু করে আরও কয়েকটি বিষয়কে সামনে রেখেই হচ্ছে গোটা ব্যাপারটা। বঙ্গ বিজেপির সংখ্যালঘু সংগঠনের সভাপতি জানিয়েছেন, তিন তালাক প্রথার অবসান ঘটাতে দেশের প্রধানমন্ত্রী যে ভূমিকা নিয়েছেন তা তুলে ধরা হবে। পাশাপাশি অন্য উন্নয়ন মূলক কাজের কথাও বলা হবে। তবে বিজেপির সংখ্যালঘু প্রার্থী দেওয়ার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদিত করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে.)