This Article is From Aug 05, 2018

ক্ষমতা ধরে রাখতে দলিত ও ওবিসিদের দিকে নজর বিজেপি-র

বাদল অধিবেশন আর মাত্র কয়েকদিন চলবে। তার মধ্যেই দলিত ও ওবিসিদের জুন্য দুটি বিল পাস করাতে চায় বিজেপি।

ক্ষমতা ধরে রাখতে দলিত ও ওবিসিদের দিকে নজর বিজেপি-র

দেশের হিন্দি বলয়ের ভোটারদের প্রভাবিত করতে না পারলে যে সমস্যা হবে তা বিলক্ষণ জানে বিজেপির থিঙ্কট্যাঙ্ক।

নিউ দিল্লি:

দেশজুড়ে বিরোধি জোট গঠনের তৎপরতা, তার উপর গত উপনির্বাচনগুলিতে পরাজয়। এই দুটি কারণে লোকসভা ভোটের আগে প্রবল চাপে রয়েছে বিজেপি। আর তাই দলিত ও সমাজের  পিছিয়ে পড়া শ্রেণির সমর্থন সবদিক থেকে জরুরি হয়ে উঠেছে নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহর  কাছে। এ ব্যাপারে সংসদের চলতি অধিবেশন নানা দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছে।  বাদল অধিবেশন আর মাত্র কয়েকদিন চলবে। তার মধ্যেই দলিত ও ওবিসিদের জুন্য দুটি বিল পাস করাতে চায় বিজেপি।

গত লোকসভা নির্বাচনে বিজপির ফল এতটা ভালো হওয়ার নেপথ্যে দলিত ও অন্য পিছিয়ে পড়া শ্রেণি (ওবিসি) বড় ভূমিকা পালন করেছিল বলে মনে করে রাজনৈতিক মহল। ক্ষমতা ধরে রাখতে এবারও সেই ভোটব্যাঙ্ককেই পাখির চোখ করেছে বিজেপি। দেশের হিন্দি বলয়ের ভোটারদের প্রভাবিত করতে না পারলে যে সমস্যা হবে তা বিলক্ষণ জানে বিজেপির থিঙ্কট্যাঙ্ক। এই দুটি বিষয়ের সঙ্গে সুকৌশলে হিন্দুত্বকে জায়গা দিয়ে উত্তরণের পথ খুঁজছে গেরুয়া শিবির। শুধু উত্তর প্রদেশের দিকে তাকালেই বোঝা যাবে বিষয়টি। সে রাজ্যে লোকসভার আসন সংখ্যা 80। গত নির্বাচনে বিজেপি একাই পেয়েছিল 71টি আসন। আর 2টি আসন গিয়েছিল তাদের জোট শরিক আপনা দলের ঝুলিতে। কিন্তু, এবার পরিস্থিতি তেমন নয়। সপা ও বসপা একসঙ্গে লড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় চাপ রয়েছে। আর তাই কৌশলে পা ফেলতে চাইছে বিজেপি।   
             
গত সপ্তাহে লোকসভায় ওবিসি কমিশন সংক্রান্ত একটি বিল পাস হয়েছে। এর জেরে কমিশন সাংবিধানিক সংস্থা হওয়ার দিকে এগিয়েছে। তাছাড়া এটির ক্ষমতা দলিত ও উপজাতিদের জন্য গঠিত কমিশনের মতো হতে চলেছে। কিন্তু, রাজ্যসভার অনুমোদন পাওয়া বাকি। আর দলিত বিল নিয়ে এখনও এরকম কোনও পদক্ষেপ হয়নি। কিন্ত আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই সেটা করে ফেলতে চায় বিজেপি। তবে অসম ইস্যুতে প্রায় প্রতিদিন সংসদ যেভাবে উত্তাল হচ্ছে তাতে বিল পাস কীভাবে সম্ভব তা নিয়ে প্রশ্ন আছে বিজেপির অন্দরেই।

.