২১শের রোড ম্যাপ স্থির করতে শিল্পশহরে বসেছিল বিজেপির (BJP) ‘চিন্তন শিবির' (Chintan shibir)।
দুর্গাপুর: ভোট বেড়েছে। কলেবরে বাড়ছে সংগঠন। বিভিন্ন দল ছেড়ে বিজেপিতে নাম লেখানোর হিড়িক। যা নিয়েই গেরুয়া শিবিরের অন্দরের বিবাদ এর আগে প্রকাশ্যে চলে আসে। দলের আদি নেতা, কর্মীদের তুষ্ট করতে তড়িঘড়ি গড়া হয় কমিটি। তাতে কাজ হয়নি। রবিবার দুর্গাপুরের ঘটনা তারই প্রমাণ। ২১শের রোড ম্যাপ স্থির করতে শিল্পশহরে বসেছিল বিজেপির (BJP) ‘চিন্তন শিবির' (Chintan shibir)। উপস্থিত কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। শিবিরের কয়েক মিটারের মধ্যে থেকে বিরাট মিছিল ও সভা হওয়ার কথা ছিল। প্রস্তুতিও সাড়া। কিন্তু, তারপরই তাল কাটে। বিজেপির (BJP) দুই গোষ্ঠীর মধ্যে শুরু হয় গন্ডগোল। পরে যা সংঘর্ষের আকার নেয়। সভার আগেই ব্যারিকেট থেকে মাইক, চেয়ার, টেবিল ভাঙা অবস্থায় গড়াগড়ি খেল রাস্তায়।
সংগঠনের সঙ্গে বাড়ছে বিজেপির (BJP) গোষ্ঠীকোন্দলের চেহারাও। প্রশ্ন উঠছে নেতৃত্বের ভূমিকা নিয়ে। এদিন গন্ডগোলের সূত্রপাত তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি যোগকে কেন্দ্র করে। দলের তরফে ঘোষণা করা হয় বারাবনির তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA) বিধান উপাধ্যায়ের তুতো ভাই মলয় যোগ দেবেন বিজেপিতে। মুহূর্তে পরিস্থিতি পাল্টে যায়।
এক দল পদ্ম সমর্থক মলয় উপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে শুরু করেন। দলে তাঁর অন্তর্ভুক্তি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। পালটা প্রচারে নামে আরেক দল। সূত্রের খবর, বিজেপিতে (BJP) আদি ও নব্যের বিবাদ প্রকট। তারই জের রবিবারের ঘটনা।
অস্বস্তি ধাপাচাপা দিতে তখন ব্যস্ত বিজেপির (BJP) রাজ্য নেতাদের কেউ কেউ। কেন এই বিরোধিতা তা জানতে চাওয়া হবে বলে আশ্বাস তাদের। বাংলা দখলের লক্ষ্যে সংগঠন পোক্ত করতে গিয়ে বেড়িয়ে এসেছে গেরুয়া শিবিরের অন্দরের কঙ্কাল। যা দেখে আসানসোলের মেয়র ও তৃণমূল (TMC) নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারির কটাক্ষ, ‘এই ধরণের নিম্ন সংস্কৃতি বয়ে বেড়ায় বিজেপি। ২০২১শে বাংলা দখল ওদের কাছে দিবাস্বপ্নই থেকে যাবে।'
লোকসভা ভোটে বাংলায় সাফল্য পেয়েছে বিজেপি। ৪২টির মধ্যে ১৮টি আসন তাদের দখলে। প্রাপ্ত ভোটের শতাংশের হিসাবেও তৃণমূলের ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলছে পদ্ম শিবির। নির্বাচনী সাফলতায় অন্য দল থেকে যোগদান বাড়ছে বিজেপিতে। যা দেখে ২১শে রাজ্য জয়ের হাতছানি তাদের। শুরু হয়েছে তার প্রস্তুতি। কিন্তু, তারই মাঝে ছন্দপতন গোষ্ঠীকোন্দল।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)