This Article is From Jan 28, 2019

তৃণমূলের ধর্মীয় অনুষ্ঠানের জন্য ঠাকুরনগরে বদলে গেল নরেন্দ্র মোদীর সভাস্থল

প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা স্পেশ্যাল প্রোটেকশন গ্রুপ বা এসপিজিও আগের মাঠটি নিয়ে নিরাপত্তা সংক্রান্ত কারণেই খুশি ছিল না।

Advertisement
Kolkata

ঠাকুরনগরে মোদীর সভাস্থল নিয়ে বিতর্ক (ছবি প্রতীকী)

কলকাতা:

নরেন্দ্র মোদীর এই রাজ্যে সভা করার কথা ২ ফেব্রুয়ারি। সেই সভা হওয়ার কথা ছিল উত্তর ২৪ পরগণার ঠাকুরনগরে। কিন্তু যে মাঠে হওয়ার কথা ছিল ওই সভা, সেই মাঠটি থেকে সভাস্থল বদলে অন্য স্থানে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিল বিজেপি। ওই মাঠটিকে সাতদিন ব্যাপী ধর্মীয় অনুষ্ঠান করার জন্য অনেক আগে থেকেই ভাড়া নিয়ে রেখেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। সংবাদসংস্থা পিটিআইকে রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, আমরা ২ ফেব্রুয়ারিতেই ঠাকুরনগরে সভা করব। তবে, যে জায়গায় ওই সভা হওয়ার কথা, সেই জায়গায় না হয়ে অন্য জায়গায় করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। কাছেরই কোনও মাঠে হবে ওই সভা। এর কারণ প্রধানত দুটো। প্রথমত, নতুন মাঠটি আগের মাঠটির থেকে অনেকটা বড়। দ্বিতীয়ত, আগের মাঠটি তৃণমূল ভাড়া নিয়ে রেখেছে।

লোকসভা নির্বাচনে দেশের ১৪ আসনে প্রার্থী দেবে তৃণমূল

প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা স্পেশ্যাল প্রোটেকশন গ্রুপ বা এসপিজিও আগের মাঠটি নিয়ে নিরাপত্তা সংক্রান্ত কারণেই খুশি ছিল না।

Advertisement

প্রসঙ্গত, ঠাকুরনগরের মতুয়াদের বড় মা বীণাপাণি দেবীর বাসভবনের কাছাকাছিই নিজেদের সভা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বিজেপি। নরেন্দ্র মোদীর এই সভাটি যে রাজনৈতিক দিক দিয়ে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ তা সকলেই মনে করছেন। ঠাকুরনগরকে সভার জন্য বেছে নেওয়াটিও বিজেপির একটি ‘মাস্টারস্ট্রোক' বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

মাধ্যমিকের আগে ২০০ সভা করতে চায় বিজেপি, আসছেন কেন্দ্রীয় নেতা- মন্ত্রীরা

Advertisement

এই রাজ্যে মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষের সংখ্যা প্রায় তিরিশ লক্ষ। উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগণার অন্তত ৫'টি লোকসভা কেন্দ্রের ভোটব্যাঙ্কে মতুয়াদের সরাসরি প্রভাব রয়েছে।

১৯৫০-এর দশকে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান থেকে এ দেশে আসা শুরু করেন মতুয়ারা।

Advertisement

অন্যদিকে, বিজেপি এই সভাস্থল নিয়ে বিতর্ককে কেন্দ্র করে তোপ দেগেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “আমরা যেখানেই সভা করার পরিকল্পনা করি, তৃণমূল সেখানেই এসে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। এইবারেও তার অন্যথা হয়নি। সেই কারণে আমরা আর কোনও চান্স নিতে চাই না”।

নরেন্দ্র মোদীর ভয়ে এক ছাতার তলায় বিরোধী নেতারা, ঝাড়গ্রামে মন্তব্য স্মৃতি ইরানির

Advertisement

যদিও, তৃণমূল সাংসদ তথা মতুয়া মহাসংঘের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য মমতা ঠাকুর জানান, এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। আমরা অনেক আগে থেকেই ওই মাঠে ২৮ জানুয়ারি থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সভা করার জন্য পুলিশের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে রেখেছিলাম।

বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৮ জানুয়ারি লোকসভায় পাশ হয়ে যাওয়া নাগরিক বিল নিয়েও নরেন্দ্র মোদী তাঁর সভায় ভাষণ দেবেন।  

Advertisement