ধর্মতলার মেট্রো চ্যানেলে গত ৩ থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি ধর্নায় বসেন মমতা
কলকাতা: ঠিক যে জায়গায় তৃণমূল সুপ্রিমো তথা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ধর্নায় বসেছেন, অর্থাৎ, ধর্মতলার মেট্রো চ্যানেলে, সেখানেই ধর্না করার কলকাতা পুলিশের কাছে অনুমতি চেয়ে বসল রাজ্য বিজেপি। সোমবার সংবাদসংস্থা পিটিআইকে রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু বলেন, বিজেপি ইতিমধ্যেই আগামী ২১ থেকে ২৩ ফেব্রুয়ারি মেট্রো চ্যানেলে ধর্না করার জন্য অনুমতি চেয়ে চিঠি দিয়েছে কলকাতা পুলিশকে। ‘গণতন্ত্র বাঁচাও' শিরোনামে যে ধর্নাটি হবে, তার মূল লক্ষ্য হল ‘রাজ্যের গণতন্ত্রকে রক্ষা করা'। সায়ন্তন বসু বলেন, এর আগে যতবারই মেট্রো চ্যানেলে ধর্না করার জন্য রাজ্য বিজেপির কাছে আমরা অনুমতি চেয়েছি, ততদিনই শহরের ট্র্যাফিক আইনের কথা বলে আমাদের অনুমতি নাকচ করে দিয়েছে ওরা। অথচ, তৃণমূল কংগ্রেস খুব সহজেই ধর্না করার জন্য অনুমতি পেয়ে গেল! তা, ওরা যদি অনুমতি পেতে পারে, তাহলে আমরা অনুমতি পাব না কেন?
রাজীব ও কুণালকে মুখোমুখি বসাল সিবিআই, জিজ্ঞাসাবাদ চলবে আজও
প্রসঙ্গত, কলকাতা পুলিশের কমিশনার রাজীব কুমারের বাড়িতে সিবিআই হানা দেওয়ার পরই গত ৩ থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি ‘সংবিধান বাঁচাও' নাম দিয়ে মেট্রো চ্যানেলে ধর্নায় বসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি নেতার বক্তব্য, ‘আমরা আশা করব, আমাদেরও অনুমতি দেওয়া হবে। যেহেতু, পরীক্ষা চলবে, তাই আমরা লাউডস্পিকার ব্যবহার করব না'।
এই ব্যাপার নিয়ে প্রশ্ন করা হলে, কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, এখনও তারা এই ধর্না বিষয়ে অনুমতি চেয়ে কোনও চিঠি পায়নি। কলকাতা পুলিশের এক পদস্থ কর্তা জানান, ‘আগে চিঠি আসুক, তারপর আমরা এই নিয়ে ভাবব'।
এর আগে, ২০০৬ সালে সিঙ্গুরের জমিতে টাটাদের ন্যানো কারখানা হওয়া নিয়ে যখন বিতর্ক চরমে ওঠে, সেইসময়ই এই মেট্রো চ্যানেলেই ২৬ দিন অনশনে বসেছিলেন রাজ্যের তৎকালীন বিরোধী নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যে সিঙ্গুর আন্দোলনকে তাঁর ক্ষমতায় আসার অন্যতম প্রধান ঘটনা হিসেবে ধরা হয়ে থাকে, সেই আন্দোলনের মূল বীজটি প্রোথিত হয়েছিল এই ধর্মতলার মেট্রো চ্যানেলের ভূমি থেকেই, এমনটাই মনে করে পশ্চিমবঙ্গ তথা গোটা ভারতের রাজনৈতিকমহল।