সন্ত্রাস প্রসঙ্গে মঙ্গলবার দলীয় সভা থেকে তোপ দেগেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কলকাতা: পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন প্রক্রিয়ায় অশান্তির দায় বিরোধিতার ঘাড়েই চাপালেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তাঁর দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতোই ফিরহাদ জানান সিপিএমের হার্মাদদের সাহায্য নিয়ে সন্ত্রাস করছে বিজেপি। গোটা রাজ্যে মাত্র দু তিনটি জায়গায় গোলমাল হলেও অন্যত্র পরিস্থিতি একেবারেই শান্তিপূর্ণ। তাঁর দাবি রাজনৈতিক কারণে ওই দুএকটা ঘটনাকেই বড় করে দেখাতে চাইছে বিজেপি। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় হওয়া সংঘর্ষের মধ্যে উত্তর চব্বিশ পরগনার আমডাঙায় খোদ বিধায়ককে আক্রান্ত হতে হতে হয়েছে। এ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, পুলিশকে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার স্বাধীনতা দেওয়া আছে। দলীয় পতাকা না দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশও আছে।
পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই সংঘর্ষ চলছে। আশান্তি ছড়াচ্ছে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায়। ঘটছে প্রাণহানীর ঘটনাও। উত্তর চব্বিশ পরগনার আমডাঙা ছাড়াও উত্তর দিনাজপুরের বিভিন্ন জায়গায় শাসক তৃণমূলের সঙ্গে বিরোধীদের সংঘর্ষ বাধে। শুরু হয় বোমা- গুলির লড়াই। তাতে আহত হলেন পাঁচ পুলিশ কর্মী সহ মোট 30 জন। সংঘর্ষ হয়েছে ইটাহারেও। এর পাশাপাশি মালদা থেকে শুরু করে পুরুলিয়ার বিভিন্ন জায়গাতেও বড়সর গোলমাল তৈরি হয়েছে।
সন্ত্রাস প্রসঙ্গে মঙ্গলবার দলীয় সভা থেকে তোপ দেগেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপির বিরুদ্ধে খুনের রাজনীতি করার অভিযোগ এনে তাঁর দাবি জঙ্গলমহলে আগে যারা সিপিএমের হার্মাদ ছিল তারাই এখন বিজেপির জল্লাদ হয়েছে। তাদের সমর্থনেই বিজেপি জিতেছে।’ শুধু তাই নয় পঞ্চায়েত নির্বাচনে জিততে বিজেপি বিএসএফের সাহায্যও নিয়েছে বলে দাবি করেন নেত্রী। তাঁকে পাল্টা দিয়েছে বিজেপি। দলের রাজ্য সভাপতির দাবি তৃণমূলের পায়ের তলা থেকে মাটি সরে গিয়েছজে বলে এ ধরনের কথা বলছেন। সন্ত্রাস প্রসঙ্গে শাসক শিবিরকে নিশানা করেছে সিপিএমও। এবার মুখ্যমন্ত্রীর সুরই শোনা গেল তাঁর অনুগত সৈনিকের গলায়।
অন্যদিকে, তৃণমূল পরচালিত চন্দননগর পুরসভায় প্রশাসক বসিয়েছে রাজ্য সরকার। সরিয়ে দেওয়া হয়েছে চেয়ারম্যান। এ প্রসঙ্গে ফিরহাদ জানান নিজেদের দল পরচালিত বোর্ড ভেঙে আমরা প্রমাণ করছি কাজ না করলে চলবে না।