দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসেই প্রধানমন্ত্রী মোদী(PM Modi) দলীয় সাংসদদের নিয়ম মেনে সংসদে হাজিরা ও নিয়মানুবর্তীতার কথা বলেছিলেন
নিউ দিল্লি: বহরে বেড়েছে দল (bjp)। মিলেছে সাফল্য। লোকসভায় আসন সংখ্যা ৩০০-র গন্ডি পেরিয়েছে। বাংলা সহ বিভিন্ন অ-বিজেপি শাসিত রাজ্যেও লোকসভা ভোটে ভালো ফল করেছে বিজেপি(Bjp)। কিন্তু, খ্যাতির সঙ্গে জুড়েছে বিড়ম্বনাও। বিরোধীদের চাইতেই কখনও কখনও দলের নেতা, সাংসদ, বিধায়কদের মন্তব্য বা আচরণই মাথা ব্যাথ্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায় কেন্দ্রের শাসক দলটির কাছে( Bjp)। তালিকায় নাম রয়েছে, ভোপালের সাংসদ প্রজ্ঞা সিং ঠাকুর (Pragya Thaku)r, রাম শংকর কাথেরিয়া( Ram Shankar Katheria'), সাক্ষী মহারাজদের (Sakshi Maharaj)। ক্ষমতার স্বাদ পেয়েই হেমা মালিনী, সানি দেওলের মতো বেশ কিছু বিজেপি সাংসদ সংসদে হাজিরা দেন না। বারংবার মনে করিয়েও তাদের লাভ হয়নি।
অনেকেই আবার নতুন। ফলে সংসদীয় প্রক্রিয়া ভালো করে জানেন না। ফলে কাজে ভুল হচ্ছে। তাই শৃঙ্খলা, নিয়মানুবর্তীতার পাঠ ও বিতর্কিত মন্তব্য থেকে বিরত রাখতে শনিবার থেকে দুদিন ব্যাপী কর্মশালা শুরু হয়েছে পদ্ম শিবিরে। এদিন সন্ধ্যায় সেখানে বক্তব্য রাখবেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ(Amit Shah)। আগামীকাল বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী (PM Mod) । রুদ্ধদার এই কর্মশালার পোষাকি নাম অভ্যাস ভার্গা (Abhyas Varga)। বিজেপি সাংসদদের এই কর্মশালায় অংশ নেওয়া বাধ্যতামূলক।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রথম সারির এক বিজেপি (Bjp) নেতার কথায়, ‘অনেকেই এবার প্রথম সাংসদ হয়েছেন। আবার অনেকেই অন্য দল থেকে এসে বিজেপির টিকিটে এমপি হয়েছেন। সবাই দলের প্রথা ও কাজের ধরন সম্পর্কে সমান ওয়াকিবহাল নয়। তাই নতুনদের সে সম্পর্কে দলের প্রবীণরা অবগত করাবেন এই কর্মশালার মাধ্যমে।'
অনেকের দাবি উল্টোটা। দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসেই প্রধানমন্ত্রী মোদী(PM Modi) দলীয় সাংসদদের নিয়ম মেনে সংসদে হাজিরা ও নিয়মানুবর্তীতার কথা বলেছিলেন। কিন্তু তাতে তেমন কাজ হয়নি। ফলে কিছুটা বাধ্য হয়েই এই ধরণের সভা করতে হচ্ছে ক্ষমতাসীন দলটিকে।
লোকসভা ভোটেপ আগে বা পরে, কখনও হেমন্ত কারকরে বা গান্ধী হত্যাকারী নাথুরাম গড়সের স্তুতি করা। আবার কখনও শৌচালয় সমস্যার সমাধানের জন্য সাংসদ হইনি বলে গেরুয়া শিবিরের অস্বস্তি বাড়িয়েছেন ভোপালের সাংসদ প্রজ্ঞা সিং ঠাকুর। তাঁকে দল সতর্ক করেছে। আগ্রায় সাংসদ রাম শংকর কাথেরিয়া টোলপ্লাজার কর্মীদের ধরে মারধর করেন। বিধায়কদের মধ্যে রয়েছেন আকাশ বিজয়বর্গীয় সরকারি কর্মীর গায়ে গাত তোলেন, কুনওয়ার প্রণব সিং হাতে অস্ত্র তুলে ক্ষমতা জাহির করেন। যা কোনটাই বিজেপির পক্ষে ভালো বিজ্ঞাপন নয় বলে মনে করেন মোদীষ রাজনথ সিং, অমিত শাহ জেপি নাড্ডারা।
তাই, আর চুপ করে বসে থাকা বা বোঝানোর মধ্যে নয়। সরাসরি কর্মশালার মাধ্যমেই অবাধ্যদের কড়া বার্তা দিতে চাইছেন মোদী-শাহ জুটি।