This Article is From May 15, 2019

অমিতের রোড শোয়ের গোলমাল, যন্তর মন্তরে নীরব প্রতিবাদ বিজেপির

 বিদ্যাসাগর কলেজের মধ্যে ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগরের মূর্তি পর্যন্ত ভেঙে দেওয়া হয়েছে ।পাশাপাশি কলেজে একাধিক জায়গায়  ভাঙচুর চলছে অবাধে।

অমিতের রোড শোয়ের গোলমাল, যন্তর মন্তরে নীরব প্রতিবাদ বিজেপির

পাল্টা তৃণমূলের বিরুদ্ধেই বিদ্যাসাগর কলেজে তাণ্ডব করার অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল।

নিউ দিল্লি:

কলকাতায় বিজেপি সভাপতি অমিত শাহর (BJP Chief Amit Shah)  রোড শো ঘিরে চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছিল মঙ্গলবার সন্ধ্যায়  বিদ্যাসাগর কলেজের মধ্যে ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগরের মূর্তি পর্যন্ত ভেঙে দেওয়া হয়েছে ।পাশাপাশি কলেজে একাধিক জায়গায়  ভাঙচুর চলছে অবাধে। বিজেপির দাবি পূর্বপরিকল্পিতভাবে তৃণমূল আক্রমণ চালিয়েছে। পাল্টা তৃণমূলের বিরুদ্ধেই বিদ্যাসাগর কলেজে তাণ্ডব করার অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। এবার এই ঘটনার রেশ দিল্লি থেকে টেনে নিয়ে এল বিজেপি। আজ সকালে একটি নীরব প্রতিবাদের আয়োজন করা হয়েছিল। দলের শীর্ষ নেতারা তাতে অংশ নেন। তাঁদের হাতে ছিল প্লাকার্ড। প্রত্যেকটি তৃণমূলের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ আনা হয়েছিল। পাশাপাশি লেখা হয়েছিল গণতন্ত্র বাঁচাও বাংলা বাঁচাও। 

মমতার প্রচারে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে কমিশনের দ্বারস্থ বিজেপি

সকালে এই কর্মসূচিতে অংশ নেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হর্ষবর্ধন। তাছাড়া বিজেপির নেতা জিতেন্দ্র সিং, বিজয় গোয়েল থেকে শুরু করে আরও অনেকে। পরে সাংবাদিকদের বিজয় জানান পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানেন চলতি নির্বাচনেই তাঁর পরাজয় হবে। খুব শিগগিরই পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতা থেকে বিতাড়িত হবেন। সেই ভয় থেকেই তিনি আক্রমণ চালাচ্ছেন। তার কথায় বাংলায় সন্ত্রাসের কোনও জায়গা নেই। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিয়মিত পশ্চিমবঙ্গে সন্ত্রাস করছেন। তিনি জানেন, বিজেপির কাছে তৃণমূলের পরাজয় সুনিশ্চিত আর তাই সন্ত্রাস হচ্ছে। কিন্তু এগুলি মেনে নেওয়ার কোনো কারণ নেই। একটি জাতীয় দলের সভাপতি ভারতের কোনও অঙ্গরাজ্যে নিজের রাজনৈতিক কর্মসূচি করতে পারবেন না। এটা মেনে নেওয়ার কোনও জায়গা নেই। আমরা সকলেই এই ঘটনার প্রতিবাদ করছি এবং আগামী দিনেও প্রতিবাদ হবে।

CRPF না থাকলে ওখান থেকে বেরানো মুশকিল হত: অমিত শাহ

দিল্লির পাশাপাশি কলকাতাতেও কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি মূর্তি ভাঙচুরের ঘটনার সঙ্গে আদতে তৃণমূলেরই ‘যোগ' রয়েছে তা প্রমাণ করার চেষ্টা করছেন গেরুয়া শিবিরের নেতারা। এদিকে আজ সকালে  সাংবাদিক সম্মেলন করে বিজেপি সভাপতি নিজেই জানিয়েছেন, পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ হয়ে উঠেছিল যে যদি সিআরপিএফ তাঁর সঙ্গে না থাকত তাহলে তিনি সুস্থভাবে ফিরতে পারতেন না। শেষ দফায় পশ্চিমবঙ্গের ন টি আসনে ভোট হবে আগামী রবিবার। তাঁর কয়েকদিন বাদেই ২৩ মে ভোটের ফল প্রকাশিত হবে।

.