This Article is From Aug 25, 2018

দেশের গণতন্ত্র ধ্বংস করছে বিজেপি : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গতকাল তীব্র আক্রমণ করলেন বিজেপিকে।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Translated By

ধর্মের ভিত্তিতে মানুষে মানুষে বিভাজনের জন্যও বিজেপিকে একহাত নেন মমতা।

কলকাতা:

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গতকাল তীব্র আক্রমণ করলেন বিজেপিকে। তাঁর কথায়, দেশে বিজেপির শাসনে সম্পূর্ণ অরাজকতা চলছে। কে কী খাবে, তা ঠিক করে দেওয়ার ওরা কে! এছাড়া, গোটা দেশজুড়ে ধর্মের ভিত্তিতে মানুষে মানুষে বিভাজনের জন্যও বিজেপিকে একহাত নেন মমতা। তিনি বলেন, দেশের গণতান্ত্রিক কাঠামোটাকেই ‘ধ্বংস’ করে দিচ্ছে বিজেপি। “আমরা এখন সম্পূর্ণ অরাজকতার মধ্যে বাস করছি। কোন সংস্থা কোথায় হামলা চালাবে তা ঠিক করে দিচ্ছে বিজেপি। ওরাই ঠিক করে দিচ্ছে কোন টিভি চ্যানেলটা বন্ধ হয়ে যাবে আর কোনটাই বা দেখবে সাধারণ মানুষ”, নবান্নে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামীর অফিসের এক কর্মকর্তার বাসস্থানে আয়কর দফতরের হানার দিকে ইঙ্গিত করে এই কথা বলেন তিনি।

“কোন সাংবাদিককে বরখাস্ত করা হবে এবং কাকেই বা চাকরিতে বহাল রাখা হবে, সবই ঠিক করে দিচ্ছে ওরা। গোটা দেশজুড়ে ওরা যা চালাচ্ছে, তা কোনও সুস্থ গণতন্ত্রে হয় না”, অভিযোগ করেন তিনি।

আগামী বছরের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি বিরোধী জোট গড়ার চেষ্টায় এখম মগ্ন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সংবাদমাধ্যমকে ‘কিনে’ নেওয়ার দায়েও অভিযুক্ত করেন বিজেপিকে।

Advertisement

তিনি বলেন, “সবই আমাদের চোখে পড়ছে। কিন্তু সমস্যা হল, ওরা (বিজেপি) টেলিভিশনের চ্যানেলগুলোকে কিনে নিয়েছে। আঞ্চলিক স্তরে তাও অতটা পারেনি। কিন্তু, জাতীয় স্তরে প্রায় সব সংবাদ প্রতিষ্ঠানকেই কিনে নিয়েছে ওরা। এই বিষয়ে আমাদের কাছে বহু প্রমাণ আছে। আপনারা সত্যিটার সঙ্গে সহমত হতে পারেন আবার নাও পারেন। কিন্তু, বিজেপিই এখন ঠিক করে দেয়, কোন ধরনের খবর চ্যানেলে বেশি করে দেখানো হবে”।

গৌরী লঙ্কেশের খুনের ঘটনার কথা উল্লেখ করে মমতা বলেন, ওই সম্পাদককে ওরা খুন করেছিল, কারণ, ওঁর কথা ওদের পছন্দ হয়নি।

Advertisement

দেশের মানুষের খাদ্যাভাস ঠিক করে দেওয়ার অধিকার আছে কি না বিজেপির, মমতা প্রশ্ন করেন তা নিয়েও।

“কে কী খাবে বা না খাবে, সেটা তার ব্যক্তিগত অধিকার। তুমি ঠিক করে দিতে পারো না যে, এটা খাও এবং ওটা খেয়ো না”, গরুর মাংস নিয়ে হওয়ার বিতর্কের উল্লেখ করে মন্তব্য করেন মমতা।

Advertisement

“রাজনৈতিক বা মতাদর্শগত তফাৎ তো থাকতেই পারে। কিন্তু এটা একদমই মানা যায় না। এটা আমাদের দেশের চরিত্র নয়। এই দেশ সকলকে ভালোবাসার দেশ। সকলকে নিয়ে একসঙ্গে চলার দেশ। যা ঘটছে, তা ঠিক হচ্ছে না। আমি বিশ্বাস করি, মানুষই এর জবাব দেবে”, বলেন তিনি।   

Advertisement