সোমবার সংস্কৃতে শপথগ্রহণ করেন বিজেপি নেত্রী প্রজ্ঞা ঠাকুর (Pragya Thakur)।
হাইলাইটস
- শপথগ্রহণের সময় বিতর্কে জড়ালেন বিজেপি নেত্রী প্রজ্ঞা ঠাকুর।
- শপথগ্রহণের সময় তিনি তাঁর আধ্যাত্মিক গুরুর নাম যুক্ত করে নেন।
- বিরোধী নেতানেত্রীরা প্রতিবাদ করেন।
নয়াদিল্লি: আবারও বিতর্কে জড়ালেন বিজেপি (BJP) নেত্রী প্রজ্ঞা ঠাকুর (Pragya Thakur)। সোমবার লোকসভায় (Lok Sabha) সংস্কৃতে শপথগ্রহণের সময়ে তিনি তাঁর আধ্যাত্মিক গুরুর নাম যুক্ত করে নেন। বিরোধী নেতানেত্রীরা কক্ষে প্রতিবাদ করে ওঠেন। তাঁদের দাবি ছিল, শপথগ্রহণের সময় সঠিক পদ্ধতি মেনেই চলতে হবে সাংসদদের। সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে জানা যাচ্ছে, ৪৯ বছরের রাজনীতিবিদ তাঁর নাম উচ্চারণের সময় গুরুর নাম উচ্চারণ করে বলেন, ‘‘স্বামী পূর্ণ চেতনানন্দ অবদেশানন্দ গিরি।'' বিরোধীদের প্রতিবাদের উত্তরে তিনি(Pragya Thakur) দাবি করেন, তিনি নাম উচ্চারণের সময় যা উচ্চারণ করছেন, তা তিনি শপথের জন্য ফর্ম পূরণ করার সময় ব্যবহার করেছিলেন।
শপথগ্রহণের পরে সই করতে ভুললেন রাহুল, মনে করালেন রাজনাথ
বিজেপি সাংসদ বীরেন্দ্র কুমার, যিনি অস্থায়ী স্পিকার হিসেবে শপথ নিয়েছেন, তিনি প্রতিবাদী সাংসদদের বলেন, তিনি রেকর্ড চেক করে দেখবেন এবং যদি কিছু অসঙ্গতি পান তাহলে বাদ দিয়ে দেবেন। তিনি সকলকে শান্ত হতে বলেন, যাতে শপথগ্রহণ প্রক্রিয়া নির্বিঘ্নে হতে পারে।
রাজ্যে কোনও 'বহিরাগত' সন্ত্রাস সৃষ্টি করছে না: আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত
সংবাদ সংস্থা এএনআই জানাচ্ছে, প্রজ্ঞা ঠাকুর (Pragya Thakur) শপথ নেওয়ার সময় তিনবার প্রয়াস করেন।
আগামীকাল পর্যন্ত বীরেন্দ্র কুমার নব নির্বাচিত সাংসদদের শপথগ্রহণের বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করবেন। বুধবার নতুন স্পিকার নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত তিনিই অস্থায়ী ভাবে স্পিকারের দায়িত্ব সামলাবেন। প্রসঙ্গত, তিনি এবারের নির্বাচনে বিজেপির হয়ে মধ্যপ্রদেশের টিকমগড় কেন্দ্র থেকে জয়ী হন।
২০০৮ সালের মালেগাঁও বিস্ফোরণ কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত প্রজ্ঞা ঠাকুর(Pragya Thakur) লোকসভা নির্বাচনের সময় একাধিক বিতর্কে জড়ান। ১৯৪৮ সালের জানুয়ারি মাসে মহাত্মা গান্ধির হত্যাকারী নাথুরাম গডসে সম্পর্কে মন্তব্য করেন। পাশাপাশি ২৬/১১-র নায়ক হেমন্ত কারকারে, যিনি জঙ্গিদের গুলিতে শহিদ হন, তাঁর সম্পর্কে প্রজ্ঞা(Pragya Thakur) বলেন, হেমন্তের মৃত্যু হয়েছে তাঁরই অভিশাপে। এই দু'টি ক্ষেত্রে তাঁর মন্তব্য ঘিরে বিতর্কের ঝড় ওঠে।
শপথগ্রহণের পরে সই করতে ভুললেন রাহুল, মনে করালেন রাজনাথ
এদিকে সোমবার সপ্তদশ লোকসভার প্রথম অধিবেশনে বিজেপির নিরঙ্কুশ জয়ের অন্যতম কাণ্ডারী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শপথগ্রহণের মুহূর্ত বিপুল হর্ষধ্বনিতে ভরে উঠল কক্ষ। এদিন নিম্ন কক্ষে প্রধানমন্ত্রী মোদি যখন শপথ নিতে ওঠেন, তখন বিজেপি সাংসদরা ‘মোদি, মোদি' চিৎকার করতে থাকেন। সেই সঙ্গে ‘‘ভারত মাতা কি জয়''ও বলতে থাকেন তাঁরা। অমিত শাহ, রাজনাথ সিংহ, রবিশঙ্কর প্রসাদ ও স্মৃতি ইরানির শপথগ্রহণের সময় এমনটাই ঘটে।
‘‘সংখ্যা ভুলে যান'': সংসদের অধিবেশন শুরুর আগে বিরোধীদের বললেন মোদি
তবে কয়েক জন সাংসদ আপত্তি তোলেন ‘‘জয় শ্রী রাম''-এর মতো ধর্মীয় স্লোগান শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে তোলা উচিত না। এএনআই জানাচ্ছে, নবনীত কউর রানা যিনি নির্দল প্রার্থী হিসেবে মহারাষ্ট্রের অমরাবতী থেকে জিতেছেন তিনি এপ্রসঙ্গে বলেন, ‘‘ধর্মীয় স্লোগান দেওয়ার সঠিক জায়গা এটা নয়। ওঁরা মন্দিরে গিয়ে এমনটা করতে পারেন।''