দলের বিধায়কের মন্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়েছে।
মুজফ্ফরপুর: ফের বিতর্কে উত্তরপ্রদেশের (Utter Pradesh) খাটাউলির বিজেপি বিধায়ক ভিক্রম সাইনি (Vikram Saini)। এর আগে মোদী বিরোদীদের ‘দেশবিরোধী' বলেছিলেন। বিরোধী কন্ঠস্বর বন্ধ করতে তাদের বোম মেরে, মেরে ফেলারও নিদান দিয়েছিলেন। আর এবার জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা (Article 370) বিলোপ নিয়ে মুখ খুলে বিতর্ক বাড়ালেন এই বিজেপি বিধায়ক। মঙ্গলবার সংসদে রদ হয়েছে ৩৭০ ধারা। যাকে ঐতিহাসিক বলছে কেন্দ্রের বিজেপি (BJP)সরকার। অখণ্ড ভারতের সমর্থনে দেশের নানা প্রান্তে বিজয় উদযাপন করছে বিজেপি। মঙ্গলবার এক সভায় খাটাউলির বিজেপি বিধায়ক ভিক্রম সাইনি (Vikram Saini) জানান, তিনি মনে করেন এর ফলে দলের যুবকরা এবার নির্ভয়ে কাশ্মীরী মহিলাদের বিয়ে করতে পারবেন। এখানেই থেমে না থেকে তিনি বলেন, কাশ্মীর নিয়ে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের পর বিজেপি কর্মীরা এখন সেখানে নির্ভয়ে যেতে পারবেন, জমি কিনে সেই রাজ্যের মহিলাদেরই বিয়ে (married) করতে পারবেন। পুরো বিষয়টিকে মোদী (Modi Govt) সরকারের সাফল্য বলে তুলে ধরেন তিনি। যা ভাইরাল হয়ে যায়।
কেন তাঁর এই মন্তব্য তার ব্যখ্যাও মঞ্চে দেন বিজেপি (BJP) বিধায়ক ভিক্রম সাইনি (Vikram Saini)। তিনি বলেন, ‘‘আগে কাশ্মীরী মহিলাদের উপর নানান ধরণের নৃশংস কার্যকলাপ চলতো। কাশ্মীরী মহিলারা উত্তরপ্রদেশ বা দেশের অন্যপ্রান্তের যুবকদের বিয়ে করলে তাদের নাগরিকত্ব খারিজ করা হত। কাশ্মীরের বাসিন্দাদের জন্য দ্বৈত নাগরিকত্ব ছিল। কিন্তু ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের ফলে সেসব আর হওয়ার সুযোগ নেই। দলের অবিবাহিত যুবকরা এর ফলে বেশ উত্তেজিত।'' সাইনির হিন্দিতে করা এই মন্তব্যই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে।
জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার তরজা গোটা দেশে। তারই মাঝে সোমবার রাজ্যসভায় বিল পাসের পর মঙ্গলবার লোকসভায় জম্মু-কাশ্মীর পুনর্গঠন বিল ২০১৯ পাস করায় মোদি সরকার। জম্মু-কাশ্মীরকে দু'ভাগ করে দুটি পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করা হয়েছে। জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ জোড়া কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করা হয়েছে। যার মধ্যে জম্মু-কাশ্মীররে বিধানসভা থাকবে। কিন্তু লাদাকে বিধানসভা থাকবে না। ভারতের মূল ভূখণ্ডের আইনই লাগু হবে উপত্যকায়। থাকবে না বিশেষ সুবিধাও।
মোদী সরকারের সাফল্য তুলে ধরে ভিক্রম সাইনি বলেন, ‘মুসলিম যুবকদের বিশষ করে উদযাপন করা উচিত। কারণ, তারা এবার কাশ্মীরী মহিলাদের (Kashmiri girls) বিয়ে করতে পারবেন সহযেই।' তারপরই বিধায়কের সংযোজন, ‘কেবল মুসলমানরাই নয়, হিন্দু সহ গোটা দেশের এই দিনটি উদযাপন করা উচিত।'
নিজের মন্তব্য নিয়ে প্রাথমিক পর্বের অনুশোচনা কাটিয়ে অবশ্য ভিক্রমের দাবি, ‘এতে ভুলের কিছু নেই তো।' তিনি বলেন ‘এখন কোনও ইস্য ছাড়াই কোনও যুবক কাশ্মীরী মহিলাদের বিযে করতে পারেন। এটাই সত্যি। ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পর কাশ্মীরীরা প্রকৃতঅর্থে স্বাধীনতা অর্জন করেছে। মোদীজী আমাদের স্বপ্ন বাস্তবায়িত করেছে। দেশবাসী এই পদক্ষেপ উদযাপন করছে।'
৩৭০ ধারা রদ নিয়ে সাইনি নিজের মন্তব্যের সাফাই দিয়েছেন। কিন্তু, তাতে বিতর্ক মিটছে না। দলের বিধায়কের মন্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়েছে।