বয়সের কারণে আটকে না গেলে কর্নাটকের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা ইয়েদুরাপ্পারই
বেঙ্গালুরু: কর্নাটক সঙ্কট থেকে এবার বোধহয় ঘুরে দাঁড়াতে চলেছে সে রাজ্য। সে রাজ্যের পূর্বতন কংগ্রেস-জেডিএস সরকার মুখ থুবড়ে পড়ার পর এবার সেখানে (Karnataka) সরকার গড়তে চলেছে বি এস ইয়েদুরাপ্পা (BS Yeddyurappa) নেতৃত্বাধীন বিজেপি। মনে করা হচ্ছে এর আগেও কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রিত্বের গুরুভার সামলানো অভিজ্ঞ ইয়েদুরাপ্পাই হতে চলেছেন সে রাজ্যের (Karnataka Government) নয়া মুখ্যমন্ত্রী। সূত্রের খবর, বিজেপির আদর্শগত পরামর্শদাতা রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের "আশীর্বাদ"-এর অপেক্ষা করছেন কর্নাটকের বর্তমান বিজেপি প্রধান। খুব স্বাভাবিক ভাবেই দীর্ঘদিন ধরে কর্নাটকের বিজেপির দায়িত্ব সামলানো এবং গত ৩ বারের মুখ্যমন্ত্রিত্বের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন প্রবীণ ইয়েদুরাপ্পাকেই এবারেও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী করার সম্ভাবনা। তবে বয়সজনিত কারণে তাঁকে ওই দায়িত্ব নাও দেওয়া হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে কোনও কোনও সূত্রে।
আস্থা ভোটে কুমারস্বামী সরকারের পতন, “কর্মফল”, প্রতিক্রিয়া বিজেপির
তবে দিল্লির কাছ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমতি নেওয়ার আগে, বুধবার সকাল ১১টা নাগাদ বিশেষ বৈঠক করেন বিজেপি বিধায়করা। শোনা যাচ্ছে, কর্নাটকের বিজেপি প্রধানকেই তাঁরা আগামী মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে আনুষ্ঠানিক ভাবে নির্বাচন করেছেন। যদিও কর্নাটকে (Karnataka) নয়া সরকার গড়ার দাবি নিয়ে এখনও রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেননি তাঁরা।
"আমি এখানে সঙ্ঘ পরিবারের প্রবীণ নেতাদের আশীর্বাদ নিতে এসেছি। আমি দিল্লি থেকে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশের অপেক্ষায় রয়েছি, যে কোন সময় সরকার গঠন করার দাবি নিয়ে রাজভবনে যাব", বেঙ্গালুরের আরএসএস কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের জানান ইয়েদুরাপ্পা। তবে সূত্রের খবর, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ এবং বিজেপির কার্যনির্বাহী সভাপতি জে পি নাড্ডার সঙ্গে আলোচনা করতে দিল্লি উড়ে যাচ্ছেন ইয়েদুরাপ্পা।
আস্থা ভোটের আগে ‘নাটক', দুই নির্দল প্রার্থীকে নিয়ে বিজেপি-কংগ্রেস সংঘর্ষ
গত সোমবারই কর্নাটক (Karnataka) বিধানসভায় আস্থা ভোটে হারায় পতন হয়ে যায় এইচডি কুমারস্বামী এবং কংগ্রেসের জোট সরকারের। জোট সরকারের পক্ষে ভোট পড়ে ৯৯টি, অন্যদিকে, ১০৫টি ভোট পড়ে বিজেপির পক্ষে। ২২৪ সদস্যের কর্ণাটক বিধানসভার কার্যকরী সংখ্যা হল ২১০ টি, অর্থাৎ তার মধ্যে অর্ধেক অর্থাৎ ১০৫ জন বিধায়ক আছে বিজেপির কাছে। পাশাপাশি বিজেপি বহুজন সমাজ পার্টির একমাত্র বিধায়কের সমর্থন পেতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে, যাঁকে বিএসপি নেত্রী মায়াবতী দল থেকে বহিষ্কার করেছেন, কেননা সোমবার আস্থা ভোট চলাকালীন কংগ্রেস-জেডিএস সরকারকে তিনি তাঁর সমর্থন দেননি।
এর আগে কর্নাটকের (Karnataka) কংগ্রেস-জেডিএস সরকার থেকে পদত্যাগ করেন ১৬জন বিধায়ক এবং সরকারের থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে নেন দুজন নির্দল বিধায়ক। ফলে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায় কুমারাস্বামী সরকার।