চিন্ময়ানন্দের বিরুদ্ধে টানা ধর্ষণ, তা ক্যামেরাবন্দি করা এবং ব্ল্যাকমেল করার ভয়াবহ অভিযোগ এনেছেন উত্তরপ্রদেশের এক তরুণী।
নয়াদিল্লি: বিজেপি (BJP) নেতা ও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী চিন্ময়ানন্দের (Chinmayanand) বিরুদ্ধে টানা ধর্ষণ, তা ক্যামেরাবন্দি করা এবং ব্ল্যাকমেল করার ভয়াবহ অভিযোগ এনেছেন উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) এক আইনের ছাত্রী। চিন্ময়ানন্দকে এখনও জেরা করা হয়নি। কিন্তু নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক সিনিয়র পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, চিন্ময়ানন্দকে বিস্তারিত ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তদন্তের জন্য যে বিশেষ অনুসন্ধানকারী দল বা সিট গঠন করা হয়েছে, সেই সিট-এর সদস্য ওই আধিকারিক। তিনি বলেন, ‘‘এটা বলা ঠিক নয় আমরা চিন্ময়ানন্দকে জিজ্ঞাসাবাদ করব না। তিন দিন আগেই প্রশ্নোত্তরের জন্য হাজিরা দিতে তাঁকে সমন পাঠানো হয়েছে। কিন্তু আমাদের বলা হয়েছে শারীরিক সমস্যার কথা। আশা করি, কয়েক দিনের মধ্যেই ওঁকে জেরা করতে পারা সম্ভব হবে।''
ওই আইনের ছাত্রী অভিযোগ এনেছেন, তাঁরে বহু বার ধর্ষণ করেছেন চিন্ময়ানন্দ। সেই সঙ্গে সেই ধর্ষণের ভিডিও তুলে ব্ল্যাকমেলও করা হয়েছে। পুলিশ ওই তরুণীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত অভিযুক্ত বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি।
দিনের পর দিন ধর্ষণ, ধর্ষণের ভিডিও দেখিয়ে হুমকি! ভয়াবহ অভিযোগ বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে
ওই পুলিশ আধিকারিক জানাচ্ছেন, ‘‘সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে আমরা ওই তরুণীকে ১১ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। আমরা ওঁর বাবাকে পাঁচ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। মেয়েটিকে ওঁর বাবার সামনেই আরও চারৃপাঁচ ঘণ্টা জেরা করেছি। আমরা ওঁকে আক্রান্ত হিসেবেই ব্যবহার করেছি। ওঁকে সেই অর্থে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি। আমরা কেবল ওঁকে সাহায্য করার চেষ্টা করেছি যাতে ওঁর বিবৃতিতে কোনও খুঁত না থাকে।''
ধর্ষণে অভিযুক্ত বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে প্রমাণ পেন ড্রাইভে, দাবি তরুণীর
সূত্রানুসারে জানা যাচ্ছে, দিল্লি পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে ওই তরুণী জানিয়েছেন, তাঁকে এক বছর ধরে নিগ্রহ করেছেন বিজেপি নেতা চিন্ময়ানন্দ। সিটের সামনে এই অভিযোগই তিনি বারবার করেছেছেন। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পাশাপাশি ভিডিওগুলি দেখেন তদন্তকারীরা।
ওই পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘‘আমরা অবগত রয়েছি ভিডিওগুলি হোয়াটসঅ্যাপে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। পাশাপাশি চিন্ময়ানন্দের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পর্কেও ওয়াকিবহাল রয়েছি। আমরা অবশ্যই ওঁকে প্রশ্ন করব এবং প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করব। এরপর আমরা ২৩ সেপ্টেম্বর এলাহাবাদ হাইকোর্টে স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দেব।''