তরুণীর অভিযোগ, ৭২ বছরের চিন্ময়ানন্দ তাঁকে এক বছর ধরে ধর্ষণ ও শারীরিক ভাবে নিগ্রহ করেছেন।
হাইলাইটস
- তরুণীর অভিযোগ, চিন্ময়ানন্দ তাঁকে এক বছর ধরে ধর্ষণ করেছেন
- বৃহস্পতিবার দিল্লির লোধি রোডের থানায় অভিযোগ জানান তিনি
- ওই তরুণী চিন্ময়ানন্দ পরিচালিত একটি আইন কলেজের ছাত্রী ছিলেন
নয়াদিল্লি: উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) আইনের ছাত্রী যিনি এক সপ্তাহ নিখোঁজ থাকার পরে বিজেপি (BJP) নেতা ও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী চিন্ময়ানন্দের (Chinmayanand) বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনেছেন, তিনি জানালেন এই ক'দিন তিনি আত্মগোপন করেছিলেন কারণ তাঁর ভয় ছিল তাঁর এবং তাঁর পরিবারের প্রাণের ঝুঁকি রয়েছে। সূত্র থেকে মঙ্গলবার একথা জানা গেল। ২৩ বছরের ওই তরুণী তিনবারের সাংসদ চিন্ময়ানন্দ পরিচালিত একটি আইন কলেজের ছাত্রী ছিলেন। তাঁর অভিযোগ, ৭২ বছরের চিন্ময়ানন্দ তাঁকে এক বছর ধরে ধর্ষণ ও শারীরিক ভাবে নিগ্রহ করেছেন। বৃহস্পতিবার দিল্লির লোধি রোডের থানায় জমা দেওয়া ১২ পাতার অভিযোগপত্রতে ওই তরুণী অভিযোগ জানান, উত্তরপ্রদেশের পুলিশকে তিনি বিশ্বাস করেন না। কেননা তাঁর পরিবার শাহজাহানপুর জেলা প্রশাসন থেকে কোনও রকম সাহায্য পায়নি।
সোমবার সংবাদমাধ্যমের সামনে উপস্থিত হয়ে কালো স্কার্ফে মুখ ঢেকে ওই তরুণী জানান, চিন্ময়ানন্দ তাঁকে এক বছর ধরে ধর্ষণ ও শারীরিক নিপীড়ন করেছেন।
বিজেপির প্রাক্তন সাংসদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তরুণীর, শুরু তদন্ত
গত ২৪ আগস্ট থেকে নিখোঁজ থাকার পর ৩০ আগস্ট রাজস্থানে তাঁকে পাওয়া যায়। এর আগে এক সপ্তাহ তাঁর কোনও খোঁজ মেলেনি। নিখোঁজ হওয়ার আগে তিনি অনলাইনে একটি ভিডিও পোস্ট করে জানান, ওই বিজেপি নেতা কীভাবে তাঁকে নিগ্রহ করেছেন ও ভয় দেখিয়েছেন। তাঁকে খুনের হুমকিও দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। ভিডিওয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কাছে তিনি সাহায্য প্রার্থনা করেন ওই তরুণী।
মেয়ে নিখোঁজ হওয়ার পর তাঁর বাবা পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানোর সময় চিন্ময়ানন্দের নামটি জানিয়ে দেন।
“মামলায় অনেক ব্যক্তিগত মূল্য চোকাতে হয়েছে”, এমজে আকবর নিয়ে বললেন প্রিয়া রামানি
প্রাক্তন বিজেপি নেতা জানান, এসবই তাঁকে ব্ল্যাকমেল করার ‘চক্রান্ত'।
গত ৩০ আগস্ট ওই তরুণীকে রাজস্থানে পাওয়া যায়। তাঁকে সুপ্রিম কোর্টে হাজির করা হলে তিনি আদালতকে জানান, প্রাণ বাঁচাতেই তিনি আত্মগোপন করেছিলেন। এরপর শীর্ষ আদালত একটি বিশেষ অনুসন্ধানকারী দল বা সিট গঠন করার নির্দেশ দেয় এই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করার জন্য।
তরুণী জানাচ্ছেন, ‘‘সিট আমাকে ১১ ঘণ্টা ধরে প্রশ্ন করেছে। আমি তাদের ধর্ষণের ব্যাপারে বলেছি। তবে তাদের সব বলা সত্ত্বেও তারা চিন্ময়ানন্দকে গ্রেফতার করেনি এখনও পর্যন্ত।''
মঙ্গলবার সিট ওই তরুণীকে নিয়ে তাঁর কলেজ হোস্টেলে যায়। সঙ্গে ছিলেন ম্যাজিস্ট্রেটও। সেখান থেকে প্রমাণ সংগ্রহ করা হয়।
প্রথমে ওই তরুণী চিন্ময়ানন্দের নাম না নিলেও তাঁর বাবা পুলিশের কাছে নামটি বলে দেন।
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে জানা যাচ্ছে, চিন্ময়ানন্দের আইনজীবী জানিয়েছেন, ‘‘স্বামীজি মামলাটি থেকে দূরে সরে যাচ্ছেন না। তিনি এই মুহূর্তে আধ্যাত্মিক ক্রিয়াকলাপে ব্যস্ত। কিন্তু তিনি অবশ্যই প্রয়োজন পড়লে দিল্লি পুলিশের সামনে হাজিরা দেবেন।''