This Article is From Jan 09, 2020

পশ্চিমবঙ্গে "রাক্ষুসে শাসন" চালাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়,বললেন জিভিএল নরসিমা রাও

West Bengal: রাজ্যে যেভাবে একের পর এক হিংসার ঘটনা ঘটছে তার সমালোচনা করে ওই বিজেপি নেতা বলেন, "বিষয়গুলি অকল্পনীয় এবং অসহ্য পর্যায়ে চলে গেছে"

পশ্চিমবঙ্গে

এ রাজ্যে ভগবান রামের পক্ষে স্লোগান তুলতে মানুষকে বাধা দেওয়া হচ্ছে, বলেন GVL Narasimha Rao

হাইলাইটস

  • মমতা রাজত্বের সমালোচনা করলেন জিভিএল নরসীমা রাও
  • রাক্ষুসে রাজত্ব চলছে বলে অভিযোগ করেন ওই বিজেপি নেতা
  • এই শাসন শেষ হওয়ার সময় হয়ে গেছে বলেও দাবি করেন তিনি
নয়া দিল্লি:

পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) প্রশাসনিক অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বৃহস্পতিবার বিজেপি নেতা জিভিএল নরসিমা রাও বলেন যে রাজ্যে রীতিমতো "রাক্ষুসে শাসন" চালাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। যেভাবে বুধবার রাজ্যসভার বিজেপি সাংসদ স্বপন দাশগুপ্তকে বীরভূমের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি ঘরের মধ্যে আটকে রাখা হয় তা নিয়েও উষ্মা প্রকাশ করেন তিনি (GVL Narasimha Rao)। "পশ্চিমবঙ্গে আমরা গণতন্ত্রকে কীভাবে বারবার খুন করা হতে পারে তা চোখের সামনে দেখছি। গুপ্তকে (স্বপন দাশগুপ্ত) সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ)-এর সমর্থনে ভাষণ দিতে বাধা দেওয়া হয় এবং একটি ঘরে বন্দি করে রাখা হয় এই ঘটনারও সাক্ষী থাকলাম আমরা। এই বিষয়গুলিকে ঠিক সামরিক শাসনের সঙ্গেও তুলনা করা যায় না, আসলে পশ্চিমবঙ্গে এখন রাক্ষুসে শাসন চলছে", সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বলেন জিভিএল নরসিমা রাও। এ রাজ্যে ভগবান রামের পক্ষে স্লোগান তুলতে মানুষকে বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন ওই বিজেপি নেতা।

"নোংরা রাজনীতি হচ্ছে":নাগরিকত্ব আইন নিয়ে বিরোধী দলগুলির বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

"জনসাধারণকে ভগবান রামের পক্ষে স্লোগান দিতে দেওয়া হচ্ছে না এবং দেবী দুর্গা প্রতিমা বিসর্জনের সময়েও কোনও শোভাযাত্রার অনুমতি দেওয়া হয়নি। এটি আসলে কোনও মার্শালের নিয়ম নয়, এটা রাক্ষুসে নিয়ম", বলেন তিনি।

CAA নিয়ে বক্তব্য রাখতে আসা বিজেপি সাংসদকে ৬ ঘণ্টা আটকে রাখল বিশ্বভারতীর পড়ুয়ারা

"এখানে বাক স্বাধীনতা কেবলমাত্র তাঁদেরই রয়েছে যাঁরা সহিংসতা এবং দেশবিরোধী শক্তির পক্ষে কথা বলবে। পশ্চিমবঙ্গে জাতীয়তাবাদী কোনও কণ্ঠস্বরই এখন আর শোনা যায় না", বলেন তিনি।

রাজ্যে যেভাবে একের পর এক হিংসার ঘটনা ঘটছে তার সমালোচনা করে ওই বিজেপি নেতা বলেন, "বিষয়গুলি অকল্পনীয় এবং অসহ্য পর্যায়ে চলে গেছে"।

"সব সময়েই দেখা গেছে যখনই এই ধরনের অপকর্ম একটি নির্দিষ্ট সীমা ছাড়িয়ে যায়, তখনই ঈশ্বরকে হস্তক্ষেপ করতে হয়। সুতরাং, বোঝা যাচ্ছে যে মমতার শাসনও খুব তাড়াতাড়িই শেষ হতে হবে", বলেন গেরুয়া দলের ওই নেতা।

বুধবার “CAA ২০১৯: বিশ্লেষণ ও ব্যাখ্যা” শীর্ষক বিষয়ে ভাষণ দিতে শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছিলেন বিজেপি রাজ্যসভার সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত ।  কবিগুরুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বিতর্কিত আইন নিয়ে বক্তব্য দিতে আসা ওই বক্তাকে বুধবার ছয় ঘণ্টা ধরে একটি ঘরে আটকে রাখেন বিশ্বভারতীর শিক্ষার্থীরা। উপাচার্য কেন এই বিষয়ে ভাষণ দিতে কেবল বিজেপির মুখপাত্রকেই আমন্ত্রণ জানিয়েছেন এবং কেন ভিন্ন ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গির বক্তাদের ডাকা হয়নি এই যুক্তিতে ওই সভার বিরোধিতা করেন পড়ুয়ারা।

.