গোটা ঘটনার সিবিআই তদন্ত চাইলেন রাজ্য বিজেপির পর্যবেক্ষক কৈলাশ বিজয়বর্গীয়।
হাইলাইটস
- ই ঘটনায় সিবিআই তদন্ত দাবি করলেন রাজ্য বিজেপির পর্যবেক্ষক
- অভিষেকের স্ত্রীয়ের সঙ্গে থাকা জিনিসপত্র পরীক্ষা করতে দেওয়া হয়নিঃ কৈলাশ
- এই দাবি প্রকাশ্যে আসার আগেই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিষেক
কলকাতা: তাঁর স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপয়াধ্যায়ের কাছে সোনা বা ওই জাতীয় কিছু ছিল প্রমাণ করতে পারলে রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ার কথা বলেছেন তৃণমূল সাংসদ (TMC MP) অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার এই ঘটনায় সিবিআই তদন্ত (CBI Probe) দাবি করলেন রাজ্য বিজেপির পর্যবেক্ষক কৈলাশ বিজয়বর্গীয়। তিনি বলেছেন, ১৫ মার্চ রাতে বিমান বন্দরে শুল্ক দপ্তরের আধিকারিকদের কাজে বাধা দেওয়া হয়েছে। অভিষেকের স্ত্রীয়ের সঙ্গে থাকা জিনিসপত্র পরীক্ষা করতে দেওয়া হয়নি। এমতাবস্থায় গোটা ঘটনার সিবিআই তদন্ত চাইলেন তিনি। তাঁর এই দাবি প্রকাশ্যে আসার আগেই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিষেক। সাংবাদিকদের রবিবার বিকেলে ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ বলেছেন, গোটাটাই রাজনৈতিক চক্রান্ত। রাজনৈতিক ভাবে তাঁর মোকাবিলা না করতে পেরে পরিবারকে হেনস্থা করা হচ্ছে।
অভিষেকের স্ত্রীয়ের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করল শুল্ক দপ্তর
তৃণমূল সাংসদের দাবি তাঁর স্ত্রী চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডে গিয়েছিলেন। এক টানা ৭৫ মিনিট জিজ্ঞাসাবাদের পর তিনি অভিষেকের আপ্ত সহায়ককে ফোন করেন। সেই ফোন পাওয়ার পর আপ্ত সহায়ক পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন আর তখন অভিষেকের স্ত্রীকে সাহায্য করতে একজন মহিলা কনস্টেবলকে বিমান বন্দরে পাঠান হয়। তিনি যাতে অসুস্থ হয়ে না পড়েন তা নিশ্চিত করতেই এমনটা করা হয়েছিল বলে অভিষেক জানান। এর বাইরে আর কোনও ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি তৃণমূল সাংসদের।
স্ত্রীয়ের কাছে ২ কিলো কেন ২ গ্রাম সোনা ছিল প্রমাণ করতে পারলে রাজনীতি ছেড়ে দেবঃ অভিষেক
কৈলাশের আগে এ ব্যাপারে প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত এবং দলের নেতা মুকুল রায়। রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে থাকা পাসপোর্ট নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তাঁরা। তাঁদের দাবি সাংসদের স্ত্রীয়ের কাছে থাইল্যান্ডের পাসপোর্ট ছিল। একজন ব্যক্তির কাছে দুটো পাসপোর্ট কী করে থাকতে পারে তা নিয়েও বিস্ময় প্রকাশ করেন বিজেপি নেতারা। অল্প সময়ের মধ্যেই প্রশ্নের জবাব দেন তৃণমূল সাংসদ। তিনি জানান তাঁর স্ত্রী থাইল্যান্ডে জন্মেছেন। সে দেশেরই নাগরিক। তাঁর কাছে থাইল্যান্ডের পাসপোর্ট থাকতেই পারে। তাতে অন্যায়ের কিছু নেই। অভিষেক জানান রুজিরার কাছে থাইল্যান্ডের পাসপোর্ট ছাড়া পিআইও কার্ডও আছে। সম্পূর্ণ বিষয়টি না জেনে মন্তব্য করা হচ্ছে।