Read in English
This Article is From Jan 21, 2020

দেশের ইতিহাস নিয়ে সইফের বক্তব্যের নিন্দায় তৈমুর প্রসঙ্গ তুললেন বিজেপি নেত্রী

এই প্রথম নয়, ২০১৬ সালে সইফ-করিনার পুত্র তৈমুর জন্মানোর পর থেকেই তার নামকরণ নিয়ে বিতর্ক ছড়িয়েছিল।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by

সইফ-পুত্র তৈমুরের (Taimur) নামকরণকে কেন্দ্র করেই কটাক্ষ করেন বিজেপি নেত্রী মীনাক্ষী লেখি।

নয়াদিল্লি:

ভারতের ইতিহাস নিয়ে সইফ আলি খানের (Saif Ali Khan) মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে আক্রমণ করলেন বিজেপির মুখপাত্র মীনাক্ষী লেখি (Meenakshi Lekhi)। সইফ-পুত্র তৈমুরের (Taimur) নামকরণকে কেন্দ্র করেই কটাক্ষ করেন তিনি। সইফ অভিনীত সম্প্রতি মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ‘তানাজি' নিয়ে বলতে গিয়ে অভিনেতা জানান, তাঁর ধারণা, এটা দেশের প্রকৃত ইতিহাস নয়। তারপর আরও একধাপ সুর চড়িয়ে তিনি বলেন, "আমার মনে হয় না এটা ইতিহাস। আমার মনে হয় না ব্রিটিশ রাজত্বের আগে ভারতের কোনও অস্তিত্ব ছিল!" এই প্রসঙ্গেই মীনাক্ষী লেখি কড়া মন্তব্য করলেন। তিনি টুইট করে লেখেন, ‘‘এমনকী তুর্কিরাও মনে করত তৈমুর নিষ্ঠুর। কিন্তু কোনও কোনও মানুষ নিজেদের সন্তানের নাম রাখেন তৈমুর।''

এই প্রথম নয়, ২০১৬ সালে সইফ-করিনার পুত্র তৈমুর জন্মানোর পর থেকেই তার নামকরণ নিয়ে বিতর্ক ছড়িয়েছিল। ত্রয়োদশ শতাব্দীর এই এশিয়ান হানাদার ১৩৯৮ সালে দিল্লি আক্রমণ করে তছনছ করে দিয়েছিল। প্রশ্ন উঠেছিল, কেন এমন কুখ্যাত এক চরিত্রের নামে ছেলের নাম রাখলেন তারকা দম্পতি।

CAA: "হোক বিতর্ক", মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রাহুল গান্ধিকে অমিত শাহের চ্যালেঞ্জ

Advertisement

২০১৭ সালে ‘মুম্বই মিরর'-কে সইফ জানান, ‘‘আমি ও আমার স্ত্রীর শব্দটা শুনতে ভাল লেগেছিল এবং আমরা শব্দটার অর্থও পছন্দ করেছি‌লাম। আমি তুর্কি শাসকের ‌নামটি জানি। সে ছিল তিমুর। আমার ছেলে তৈমুর। এই নামের অর্থ লোহা।''

পরে অবশ্য সইফ জানান, ছেলের নামকরণের পর তা নিয়ে বিতর্ক শুরু হলে দু'মাস পর তিনি চেয়েছিলেন নামটি বদলে দিতে। চেয়েছিলেন এমন কোনও নাম রাখতে, যা থেকে বিতর্ক হবে না।

সলমন-সারার Viral Video, সঙ্গে কার্তিক অরিয়ন, কী কী করছেন তাঁরা!

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি মাইক্রোসফটের প্রধান সত্য নাদেল্লার সিএএ নিয়ে মন্তব্যের পর তাঁকে নিয়েও কটাক্ষ করেছিলেন মীনাক্ষী লেখি। মার্কিন সরকারের সিরিয়ান মুসলিমদের প্রতি বৈষম্যর প্রসঙ্গ তুলে তিনি আক্রমণ করেন নাদেল্লাকে। টুইট করে জানান, ‘‘কীভাবে বিদ্বানকে শিক্ষিত করে তোলা দরকার তার নিখুঁত উদাহরণ। সিএএ করার নির্দিষ্ট কারণ ছিল বাংলাদেশ, পাকিস্তান‌ ও আফগান‌িস্তান থেকে আসা ধর্মীয় নিগ্রহের শিকার সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব দেওয়া।''

Advertisement

ওই টুইটেই তিনি বিস্ময় প্রকাশ করে জানান, আমেরিকা— যেখানে মাইক্রোসফট অবস্থিত, সেখানে কেন একই অনুমতি দেওয়া হয় না সিরিয়ার মুসলিমদের, ইয়েজিদিদের পরিবর্তে। প্রসঙ্গত, ইয়েজিদিরা হল ইরাক, সিরিয়া ও তুরস্ক থেকে আগত। তারা আইসিসের দ্বারা নিগৃহীত।

Advertisement