This Article is From Sep 28, 2019

নারদ স্টিং মামলায় সিবিআইয়ের সামনে হাজিরা দিলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়

সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে তলব করায় দুপুরেই সিবিআই দফতরে পৌঁছে যান তিনি, Narada Sting Case গ্রেফতার হওয়া এসএমএইচ মির্জার সঙ্গে কথোপকথনের একটি অডিও টেপ আসে সিবিআইয়ে হাতে

নারদ স্টিং মামলায় সিবিআইয়ের সামনে হাজিরা দিলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়

Narada Sting Case: বিজেপি নেতা মুকুল রায় সিবিআইয়ের ডাকে শুক্রবার হাজিরা এড়িয়ে যান

কলকাতা:

শুক্রবার ব্যস্ততার কারণে সিবিআই দফতরে (CBI) হাজিরা না দিলেও শনিবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তলবে দুপুর দুপুর হাজিরা দিলেন মুকুল রায়। ২০১৬ সালের নারদ স্টিং অপারেশন মামলার বিষয়ে জবাবদিহি করার জন্যেই তাঁকে (Mukul Roy) সমন পাঠায় সিবিআই। বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডা বর্তমানে বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে কলকাতায় রয়েছেন। বৃহস্পতিবার তদন্ত সংস্থা সিনিয়র পুলিশ অফিসার এসএমএইচ মির্জাকে গ্রেফতারের পর মূল সমন জারি করে। শুক্রবার ফের নতুন সমন জারি করা হয়। সংবাদসংস্থা আইএনএসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মুকুল রায় (৬৫) বেলা আড়াইটার দিকে কলকাতার নিজাম প্যালেসে সিবিআই কার্যালয়ে পৌঁছন। সূত্র জানিয়েছে যে এজেন্সি মুকুল রায় এবং মির্জাকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চেয়েছিল, কেননা স্টিং অপারেশনের (Narada Sting Case) একটি অডিও টেপে দুজনকে কথা বলতে শোনা যায়।

"আমায় যখনই তলব করা হবে তখনই আমি সিবিআইতে যাব। এজেন্সি যদি অন্য কারও সঙ্গে যৌথভাবে আমাকে প্রশ্ন করতে চায়, তবে সেটাও ঠিক আছে। আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো নই যিনি শুরু থেকেই বলেছিলেন ... সিবিআইকে সহযোগিতা করবেন না", বলেন মুকুল রায়। ওই বিজেপি নেতা আরও বলেন,  সারদা চিট ফান্ড কেলেঙ্কারির তদন্তের বিষয়টি উল্লেখ করে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করেন তিনি। ওই মামলায় কলকাতার প্রাক্তন শীর্ষ পুলিশ আধিকারিক রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে প্রমাণ নষ্ট করার অভিযোগ উঠেছে।

নারদ মামলায় ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতে আইপিএস এসএমএইচ মির্জা

নারদ নিউজের প্রধান ম্যাথু স্যামুয়েল একজন ব্যবসায়ীর ছদ্মবেশে স্টিং অপারেশনটি করেন। একজন আইপিএস অফিসার এবং বেশ কয়েকজন তৃণমূল নেতা ও রাজ্যের মন্ত্রীকে টাকা নিতে দেখা যায়। তাঁদের মধ্যেই একজন ছিলেন মুকুল রায়। সেই সময় তিনি তৃণমূলে ছিলেন। পরে তিনি দলবদল করে বিজেপিতে যোগ দেন। ওই স্টিং অপারেশনের ভিডিওতে দেখা যায় একটি সংস্থাকে সুবিধা দেওয়ার পরিবর্তে কাউকে টাকা নিতে অথবা অন্য কোথাও টাকা দিতে বলছেন নেতা-মন্ত্রীরা।

যদিও  ওই ফুটেজে মুকুল রায়কে কোনও টাকা লেনদেন করতে দেখা যায়নি। সেই বিষয়টি উল্লেখ করেই ওই বিজেপি নেতা বলেন, "আমি কোনও টাকাও নিওনি, আমাকে কোনও প্রস্তাবও দেওয়া হয়নি ... আমি আমার কাছে ব্যবসার বিষয়ে খোঁজ করতে আসা এক ব্যক্তিকে তাঁর ব্যবসায়ের জন্য প্রয়োজনীয় জমির বিষয়ে মির্জার সঙ্গে দেখা করতে বলেছিলাম" ।

মির্জার গ্রেফতারিতে কৌশলী তৃণমূল, সরব বিরোধীরা

এই ফুটেজটি ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে একটি নিউজ চ্যানেল প্রকাশ্যে আনে, যদিও তারপরেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূল কংগ্রেস সহজেই জয়লাভ করে নির্বাচনে।

মির্জা এবং তৃণমূলের মন্ত্রী ও সাংসদ সহ মোট ১৩ জনের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালের এপ্রিল মাসে এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল। এফআইআর অনুসারে, মির্জাকে ১২ নম্বর অভিযুক্ত হিসাবে তালিকাভুক্ত করা হয়, "দেখানো হয়েছিল যে তিনি প্রায় ৫ লক্ষ টাকা গ্রহণ করছেন"।

শনিবার প্রাক্তন রেলমন্ত্রী মুকুল রায় দুর্গাপুজো শুরুর সাত দিন আগে মহালয়া উপলক্ষে কয়েকটি আচার অনুষ্ঠানের পরে সিবিআই দফতরে উপস্থিত হন।

দেখুন ভিডিও:

.