হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে পরিস্থিতি। অভিযোগ করেন দিলীপ ঘোষ। (ফাইল ছবি)
কলকাতা: করোনা সংক্রমণ (Corona) প্রতিরোধে ব্যর্থ রাজ্য সরকার। এই অভিযোগ তুলে রবিবার ধর্নায় বসলেন বিজেপি নেতারা। তাঁদের অভিযোগ, "সংক্রমিত ও মৃতদের তথ্য গোপন করছে সরকার। প্রশাসন বিপর্যয় মোকাবিলায় সম্পূর্ণ ব্যর্থ।" জানা গিয়েছে, বাড়িতেই এই অবস্থান বিক্ষোভের আয়োজন করেছিলেন বিজেপির নেতৃবৃন্দ। দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, তাঁর সল্টলেকের বাসভবনে সকাল ১১টা-দুপুর ২টো পর্যন্ত ধর্না দিয়েছেন। পাশাপাশি বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়, মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়-সহ মুকুল রায় ছিলেন এই প্রতিবাদের অংশ। তাঁরাও নিজেদের বাসভবনে ধর্না দিয়েছেন। পিটিআইকে বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ (MP Dilip Ghosh) বলেন, "সরকার যে সঙ্কট মোকাবিলায় ব্যর্থ, তার প্রতিবাদ করে এই ধর্না। কোনও কাজ করছে না প্রশাসন, উলটে রেশন দুর্নীতিতে মদত দিয়ে মানুষের দুর্ভোগ বাড়াচ্ছে।" এই ভাবে ক্রমশ হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে পরিস্থিতি। কীভাবে মোকাবিলা সম্ভব, সেই পথে না হেঁটে উলটে তথ্য গোপন করছে রাজ্য সরকার। এদিন এই অভিযোগ তুলেছেন দিলীপ ঘোষ।
রাজস্ব বাড়াতে বাড়ান হোক কর! সাম্প্রতিক এই সুপারিশকে খারিজ করল কেন্দ্র
এদিকে, বিজপি সাংসদদের অভিযোগ, "ত্রাণ বিলি করতে বেরোলে আমাদের জোর করে আটকে দিচ্ছে পুলিশ। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা-কর্মীরা বিনা বাধায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন।" অপর দিকে, রাজ্যের একাধিক শহর পরিদর্শন করলেন আন্তঃরাজ্য মন্ত্রী পরিষদের দল। রবিবার দক্ষিণবঙ্গ ও উত্তরবঙ্গের একাধিক এলাকায় লকডাউন পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে এই পরিদর্শক দল। মঙ্গলবার থেকে রাজ্যে পড়ে রয়েছে এই আন্তঃরাজ্য মন্ত্রী পরিষদ বা আইএমসিটি'র দুটি দল। একটা দল ছাউনি ফেলেছে কলকাতায়। আর একটা দল থাকছে শিলিগুড়িতে।
রাজস্ব বাড়াতে বাড়ান হোক কর! সাম্প্রতিক এই সুপারিশকে খারিজ করল কেন্দ্র
এদিন কলকাতায় থাকা আইএমসিটির দক্ষিণবঙ্গের দল গার্ডেনরিচ, খিদিরপুর, একবালপুর, মোমিনপুর, চেতলা আর কালীঘাট এলাকা পরিদর্শন করেন। এদের সঙ্গে রবিবার কলকাতা পুলিশের বিশেষ এসকর্ট গাড়ি ছিল। তারা শুধু ঘুরেছেন শহরের এদিক থেকে ওদিক। কোনও নাগরিক কিংবা সংবাদ মাধ্যম কারও সঙ্গে কথা বলেননি এই দলের প্রতিনিধিরা। কলকাতার পাশাপাশি হাওড়ার সালকিয়া, গোলাবাড়ি এলাকাও পরিদর্শন করে এই দল। দক্ষিণবঙ্গের এই দলের নেতৃত্বে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের বর্ষীয়ান আমলা অপূর্ব চন্দ্রা।
(সংবাদ সংস্থা থেকে সংগৃহীত)