JNU mob attack: মুখোশধারী দুষ্কৃতীদের হামলায় আহত হন ৩৪ জন পড়ুয়া ও অধ্যাপক।
নয়াদিল্লি: জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলার (JNU Attack) অভিযোগ ওড়াল বিজেপির ছাত্র সংগঠন এবিভিপি (ABVP)। তাদের তরফে অভিযোগ জানানো হল বাম সংগঠনের বিরুদ্ধে। এবিভিপির দাবি, বাম ছাত্র সংগঠনই প্রতিষ্ঠানের নাম খারাপ করছে। সোমবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে নিধি ত্রিপাঠী বলেন, ‘‘জেএনইউয়ের পরিচিতি হওয়া উচিত তার শিক্ষাগত কার্যক্রমের জন্য। কিন্তু এটা বিখ্যাত হয়ে উঠেছে নকশাল কার্যকলাপের জন্য। আমাদের মতো পড়ুয়াদের এৱ জন্য ভুগতে হচ্ছে এবং এইসব মানুষদের জন্য আমাদের মাথা হেঁট হয়ে যাচ্ছে।'' গত ৫ জানুয়ারি সন্ধ্যায় মুখোশধারী দুষ্কৃতীরা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে হামলা চালায়। আহত হন ৩৪ জন পড়ুয়া ও অধ্যাপক।
প্রধানমন্ত্রীকে যে কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে পড়ুয়াদের সঙ্গে সাক্ষাতের চ্যালেঞ্জ রাহুল গান্ধির
এই হামলার জন্য অভিযুক্ত করা হয়েছে এবিভিপিকে। তারা সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। যে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট মেসেজ বা অডিও মেসেজ প্রকাশ্যে এসেছে তাকেও মনগড়া বলে দাবি করেছে বিজেপির ছাত্র সংগঠন।
এবিভিপির দিল্লির রাজ্য সম্পাদক সিদ্ধার্থ যাদব দাবি করেছেন, ‘ইউনিটি এগেইনস্ট লেফট' ও ‘ফ্রেন্ডস অফ আরএসএস' গ্রুপের নামে সামনে আসা ওই সব স্ক্রিনশট বানানো। তিনি বলেন, ‘‘ওই চ্যাট ও রেকর্ডিং কোমল শর্মার নয়। আমরা চাই পুলিশ ওই সব নকল মেসেজের ব্যাপারে তদন্ত করুক এবং যারা এগুলো সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিক।''
JNU নিয়ে মুখ খুলে Trolled, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় গোলালেন চেতন
তিনি আরও বলেন, ‘‘এমনকী, আপনারা যদি নামগুলোও (হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ) দেখেন, আপনারা বুঝতে পারবেন এটা এবিভিপির হতে পারে না।''
এবিভিপি সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে। দিল্লি পুলিশ ন'জন সন্দেহভাজনের নাম প্রকাশ করেছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন জেএনইউয়ের ছাত্র সংগঠনের সম্পাদক ঐশী ঘোষও। সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট, হস্টেল ওয়ার্ডেন, নিরাপত্তা কর্মী ও পড়ুয়াদের বিবৃতির ভিত্তিতে শুক্রবার ওই তালিকা প্রকাশ করেছে পুলিশ।
নিধি ত্রিপাঠী বলেন, এর আগেও ‘আর্বান নকশাল'রা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে অশান্তি সৃষ্টি করেছে। পাশাপাশি জেএনইউ বন্ধ করার যে দাবি তোলা হয়েছিল, তার কড়া ভাষায় নিন্দা করে তিনি বলেন, ‘‘যারা এমন দাবি করছে, তারা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্ম জানে না।''