আমডাঙা যাওয়ার পথে তাঁকে জোর করে আটকে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেছেন অর্জুন সিংহ। (ফাইল)
কলকাতা: বিজেপি (BJP) সাংসদ অর্জুন সিংহের (Arjun Singh) প্রতি রাজ্যের শাসক দলের অভিযোগ, তিনি হুগলি ও উত্তর ২৪ পরগনায় হিংসায় প্ররোচনা দিচ্ছেন। এদিকে বিজেপি সাংসদ শনিবার দাবি করেন, তিনি আমডাঙায় তাঁর দুই দলীয় কর্মীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গেলে তাঁকে জোর করে মাঝরাস্তায় আটকে দেওয়া হয়। তিনি জানাচ্ছেন, ওই দুই দলীয় কর্মী গুলির লড়াইয়ে নিহত হয়েছেন। শনিবার এক টুইটে অর্জুন সিংহ জানান, ‘‘পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ ও সরকার আবারও আমার গাড়িকে আটকে দিল আমডাঙায় যাওয়ার পথে... আমডাঙায় দুই ভাই অরূপ মণ্ডল ও স্বরূপ মণ্ডলকে সার্ভিস রিভলবার দিয়ে গুলি করে মেরেছেন কনস্টেবল সন্তোষ রানা। ওই ওই পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছিলাম।''
আগামী নির্বাচনে করোনা-ব্যর্থতার ভারী মূল্য চোকাতে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে: বিজেপি
এক সিনিয়র পুলিশ আধিকারিক জানাচ্ছেন, অর্জুন সিংহকে আটকে দেওয়া হয়েছিল কারণ উত্তর ২৪ পরগনায় ওই অঞ্চল তাঁর যাওয়ার পক্ষে ‘সুবিধাজনক' নয়। তিনি আরও জানান, ওই দুই ভাই আমডাঙার তেঁতুলিয়া গ্রামে একটি জমি সংক্রান্ত বিবাদের জেরে তৈরি হওয়া সংঘর্ষে শুক্রবার রাতে নিহত হন। ঘটনায় কারা কারা জড়িত সে বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে বলেও তিনি জানান।
"পরিযায়ীদের দুর্দশা অসহনীয়! চোখে জল চলে আসে", কেন্দ্র-রাজ্যকে উপহাস মাদ্রাজ হাইকোর্টের
শুক্রবার রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে লেখা এক চিঠিতে অর্জুন অভিযোগ করেন, তাঁকে ও তাঁর পরিবারকে গুলি করে হত্যার প্রচেষ্টা করেছে রাজ্য পুলিশ। তিনি তাঁর চিঠিতে রাজ্যপালের কাছে আর্জি জানান, ওই ষড়যন্ত্রে অভিযুক্ত আধিকারিকদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হোক।
তৃণমূল কংগ্রেসের সূত্র অবশ্য অর্জুন সিংহের এই অভিযোগকে সর্বৈব মিথ্যা এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে জানাচ্ছে।
চিঠিতে অর্জুন সিংহ আরও অভিযোগ করেন, ১৪ মে সন্ধ্যায় তাঁর ভাটপাড়ার বাড়ি তথা অফিসে পুলিশের একজন এসিপি পর্যায়ের আধিকারিক ৩৫ জন সহকারীকে নিয়ে উপস্থিত হন। তাঁর পরিবারের দু'জন, যাঁর মধ্যে একজন মহিলা, তাঁদের কোনও এক মামলার সাক্ষী হওয়ার নোটিশ দিতে এসেছিলেন ওই আধিকারিক। অর্জুন সিংহের অভিযোগ, পুলিশের আসল উদ্দেশ্য ছিল তাঁকে বিতর্কে জড়িয়ে অশান্তি তৈরি করে তাঁকে ও তাঁর পরিবারকে পাল্টা গুলির লড়াইয়ের নামে হত্যা করা।
তিনি আরও অভিযোগ করেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার তাঁর ভাবমূর্তি বিনষ্ট করতে তাঁর বিরুদ্ধে ৭৫টি ‘মিথ্যে' মামলা রুজু করেছে।
বারাকপুর কমিশানেরেটের এক সিনিয়র পুলিশ আধিকারিককে এবিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি এবিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
এক বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা জানাচ্ছেন, ‘‘অর্জুন সিংহ ক্রমাগত বারাকপুর লোকসভা কেন্দ্র অঞ্চল এবং হুগলির মতো অন্যান্য অঞ্চলেও তাঁর গুন্ডা বাহিনীর সাহায্যে অশান্তি সৃষ্টি করার চেষ্টা করে চলেছেন। কিন্তু পুলিশ ও সাধারণ মানুষ তাঁর পরিকল্পনা ভেস্তে দিয়েছে।''