দিয়া কুমারী বলেন, ভগবান রামের বংশধর সারা বিশ্ব জুড়ে রয়েছে (প্রতীকী চিত্র)
জয়পুর: দেশের শীর্ষ আদালত প্রশ্ন তোলার পরেই খোঁজ মিলল রামের (Lord Ram) এক বংশধরের! "ভগবান রামের পুত্র কুশেরই উত্তরসূরি আমার পরিবার", রবিবার দাবি করলেন বিজেপি সাংসদ তথা জয়পুরের রাজপরিবারের সদস্য দিয়া কুমারী (BJP MP Diya Kumari)। এর আগে সুপ্রিম কোর্ট 'রঘুবংশ'-এর কেউ এখনও অযোধ্যাতে অবস্থান করছেন কিনা তা জানতে চেয়েছিল। দিয়া কুমারী (Diya Kumari) বলেন, ভগবান রামের বংশধর সারা বিশ্ব জুড়ে রয়েছে এবং অযোধ্যা সংক্রান্ত সমস্যার শীঘ্রই সমাধান করা উচিত। "আদালত জানতে চেয়েছ যে ভগবান রামের (Lord Ram) বংশধররা কোথায়...তাঁর পুত্র কুশের বংশধর আমাদের পরিবার। এছাড়াও সারা বিশ্ব জুড়েই রামের বংশধররা রয়েছেন," রাজস্থানের (Rajasthan) রাজসমন্দের বিজেপি সাংসদ দিয়া কুমারী এই দাবি করেন।
হস্তলিপিতে নথিভূক্ত এবং বংশসূত্রে তথা রাজপরিবারের কাছে উপলব্ধ নথিগুলির ভিত্তিতেই তিনি এই দাবি করছেন বলেও জানান ওই বিজেপি সাংসদ(BJP MP Diya Kumari)।
সংবেদনশীল রাম জন্মভূমি-বাবরি মসজিদ জমি বিবাদ মামলার শুনানি চলাকালীন শুক্রবার 'রঘুবংশ' (ভগবান রামের বংশধর)-এর (Lord Ram) কেউ এখনও অযোধ্যাতে অবস্থান করছেন কিনা তা জানতে আগ্রহ প্রকাশ করে সুপ্রিম কোর্ট । শীর্ষ আদালত এই প্রশ্নটি "রাম লল্লা বিরাজমান" দলটির কাছে রেখেছিল।
‘‘জন্মস্থান কী করে মামলা করতে পারে'': অযোধ্যা মামলায় প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের
প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির সংবিধান বেঞ্চ প্রবীণ আইনজীবী কে পরাসরণ, যিনি রাম লল্লা বিরাজমানের পক্ষ নিয়ে সওয়াল জবাব করছেন, তাঁকে এই প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেন। তিনি যখন রাম লল্লা বিরাজমানের পক্ষে যুক্তি দিচ্ছিলেন যে দেবতা এবং জন্মস্থান উভয়ই "আইনশাস্ত্র" সত্তা ফলে তাঁরা সম্পত্তি রক্ষা এবং মামলা দায়ের করতে সক্ষম, তখনই শীর্ষ আদালতের তরফে ওই প্রশ্ন করা হয়।
"আমরা কেবল ভাবছি যে" রঘুবংশ "-এর (Lord Ram) কেউ এখনও সেখানে (অযোধ্যাতে) বসবাস করছেন কিনা," শুক্রবার এই কথা বলে সুপ্রিম কোর্টের ৫ সদস্যের বেঞ্চ। "আমার কাছে কোনও তথ্য নেই। এ বিষয়ে জানার চেষ্টা করব আমরা," আদালতের প্রশ্নের উত্তরে বলেন আইনজীবী পরাসরণ।
মিসেস কুমারী (BJP MP Diya Kumari) বলেন, "প্রত্যেকের ভগবান রামের প্রতি আস্থা আছে। আমাদের অনুরোধ যে রাম মন্দির মামলার শুনানি দ্রুত করা হোক এবং আদালত শিগগিরই রায় দিন।"
তিনি এও দাবি করেন যে প্রয়োজনে তিনি কুশের সঙ্গে তাঁর পরিবারের যোগসূত্র প্রমাণের নথি আদালতে উপস্থাপন করবেন, তবে অযোধ্যা মামলায় হস্তক্ষেপ করবেন না বলেও উল্লেখ করেন ওই বিজেপি সাংসদ (Diya Kumari)।
‘অত্যাচারিত মনে হচ্ছে', প্রতিদিন অযোধ্যা মামলা শুনানি প্রসঙ্গে মত আইনজীবী ধাওয়ানের
ভগবান রামের জন্মস্থান নিয়ে করা এই মামলায় দেবতার দ্বারা দায়ের করা হয়েছে বলে দাবি করা হয় আইনজীবী পরাসরণের পক্ষ থেকে এবং অযোধ্যায় বিতর্কিত পুরো ২.৭৭ একর জমির উপর তাঁদের অধিকার দাবি করেছে। এই অঞ্চলেই, ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর বাবরি মসজিদটি ভেঙে দেওয়া হয়।
২০১০ সালে এলাহাবাদ হাইকোর্টের ওই মামলার রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে ১৪ টি আবেদন দায়ের করা হয়েছিল, এলাহাবাদ হাইকোর্ট বিধান দেয় যে, অযোধ্যার ২.৭৭ একর জমি তিনটি দল অর্থাৎ সুন্নি ওয়াক্ফ বোর্ড, নির্মোহী আখড়া এবং রাম লাল্লার মধ্যে সমানভাবে বিভক্ত হবে।
১৯৯২ সালোর ৬ ডিসেম্বর, শিয়া মুসলিম মীর বাকির ষোড়শ শতাব্দীতে স্থাপিত বাবরি মসজিদটি ভেঙে ফেলা হয়।
সুপ্রিম কোর্টে বর্তমানে এই মামলায় প্রায় প্রতিদিনই শুনানি চলছে।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)