মঙ্গলবার সংসদ ভবনে দলের নীতি-নির্ধারণ সহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করতে দলীয় সংসদীয় বৈঠকে বসে (BJP Parliamentary Party Meeting) ভারতীয় জনতা পার্টি। ওই বৈঠকের (BJP Meeting) সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Prime Minister Narendra Modi)। বৈঠকে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনে উপস্থিত ছিলেন দলের নয়া সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। এছাড়া বিজেপির সংসদীয় বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন নীতিন গডকরি, রবিশঙ্কর প্রসাদ, প্রকাশ জাভড়েকর, রমেশ পোখরিয়া, নির্মলা সীতারামনের মতো কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সহ অন্যান্য হেভিওয়েট নেতারা। দলের এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে উপস্থিত থাকতে দেখা যায় বিজেপি সাংসদ প্রজ্ঞা সিং ঠাকুরকেও। এদিকে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব নেওয়ার পরে জে পি নাড্ডার এটাই প্রথম দলীয় সংসদীয় বৈঠক।
সম্প্রতি মহাত্মা গান্ধি সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করেন অনন্তকুমার হেগড়ে। তাঁর এই বিতর্কিত মন্তব্য নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। কেননা ইতিমধ্যেই বিজেপির শীর্ষস্থানীয় নেতারা হেগড়ের মন্তব্য নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বলে জানিয়েছে একটি দলীয় সূত্র।
"ভোটারদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে সরকার": CAA ইস্যুতে সরব মহুয়া মৈত্র
বিজেপি সূত্রেই জানা গেছে, বিজেপি নেতা অনন্ত হেগড়কে তাঁর মন্তব্যের জন্যে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার কথা বলা হয়েছে।
অনন্ত হেগড়ে গান্ধিজির নেতৃত্বাধীন স্বাধীনতা সংগ্রামকে "নাটক" বলে মন্তব্য করে মহাত্মা গান্ধিকে আক্রমণ করেন। এমনকি এমন প্রশ্নও ছুঁড়ে দেন যে ভারতে "এই জাতীয় মানুষ" কীভাবে 'মহাত্মা' সম্বোধনে ভূষিত হতে পারেন?
"এই তথাকথিত নেতাদের কাউকেই একবারও পুলিশের মার খেতে হয়নি। ওঁদের স্বাধীনতা আন্দোলন আসলে একটা বড়সড় নাটক ছিল। ব্রিটিশদের সাহায্য নিয়েই ওই নেতারা এই নাটক মঞ্চস্থ করেছিলেন। তাঁদের স্বাধীনতার লড়াই মোটেই সত্যিকারের লড়াই ছিল না। এটা আসলে ছিল স্বাধীনতা পাওয়ার জন্যে একটি সমঝোতা", বলেন অনন্ত কুমার হেগড়ে।
এর আগেও বিজেপি নেতা-মন্ত্রীরা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন। কিন্তু জাতির জনক মহাত্মা গান্ধিকে নিয়ে এই ধরণের মন্তব্য যে কোনওভাবেই বিজেপির পক্ষ থেকেও রেয়াত করা হবে না তা স্পষ্টই বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টির শীর্ষ নেতৃত্বের পক্ষ থেকে।