নিউ দিল্লি:
বিজেপি মেহবুবা মুফতির পিডিপি বা পিপল'স ডেমোক্রেটিক পার্টির সাথে জোট ভাঙল, জম্মু-কাশ্মীরে। সংখ্যা গরিষ্ঠতা লাভের জন্য যেখানে 45 টি আসনের প্রয়োজন ছিল, সেক্ষেত্রে ক্যাবিনেটে বিজেপির ছিল 25 এবং পিডিপি-র ছিল 28 বিধায়ক। দিল্লিতে জম্মু-কাশ্মীরের বিধায়কদের সাথে কথা বলার পর এই সিদ্ধান্তে আসেন বিজেপি প্রমুখ আমিত শাহ।
পিডিএফ বিজেপি ভাঙনের গুরুত্বপূর্ণ 10টি আপডেট
এই পবিত্র রমজানের মাসে যাতে উপত্যকায় শান্তি বজায় থাকে তার জন্য আগে থেকেই কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে আর্জি জানানো হয়েছিল, কিন্তু তা তো হয়নি বরং এই সময়ে আতঙ্কবাদী হামলা আরও দ্বিগুন হতে দেখা গেছে। এবং কেন্দ্র যুদ্ধবিরতির পর্ব শেষ করে নতুন করে শত্রুর মোকাবিলায় অপারেশন শুরু করার নির্দেশ দেয়। আর সেটাই পিডিপি এবং বিজেপির মধ্যে সংঘাত সৃষ্টি করে।
কাঠুয়ায় নাবালিকা শিশুর নির্মম ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় বিজেপি নেতার সমর্থন ও গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য তারা বিক্ষোভ অবধি প্রদর্শন করে। যেটা দুই দলের মধ্যে একটা মতভেদ সৃষ্টি করে।
পবিত্র ঈদের কয়েকদিন আগেই বর্ষীয়ান সাংবাদিক, সম্পাদক সুজাত বুখারিকে শ্রীনগরে আতঙ্কবাদীরা গুলি করে হত্যা করে। সেটা জাতীয়ও রাজনীতিতে একটা বড় উত্তেজনা তৈরী করে।
রাম মাধব জানিয়েছেন, সকল প্রতিষ্ঠান আর দলের উচ্চতম শাখার সাথে আলোচনা করার পরই বিজেপি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
দুই বছর আগেই এই জোট বন্ধন ভেঙে ফেলা নিয়ে তিনি জানিয়েছেন, " এই মুহূর্তে মানুষের নিরাপত্তা, স্বাধীন মতামতদান এমন কি মানুষের বেঁচে থাকাই সব থেকে বড় বিপদের মধ্যে পড়েছে "
তিনি আরো জানিয়েছেন সুজাত বুখারির হত্যার পর আর কোনোভাবেই যুদ্ধ বিরতি অভিযান চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। গত রবিবার ইতিমধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী রাজনাথ সিং টুইট করে স্পষ্ট ভাষায় হুঁশিয়ারি দেয়, এইবার আর চুপ করে থাকবে না ভারত। আবার জঙ্গি মোকাবিলায় অপারেশন শুরু হবে।
সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভের জন্য যেখানে 45 টি আসনের প্রয়োজন ছিল, সেক্ষেত্রে ক্যাবিনেটে বিজেপির ছিল 25 এবং পিডিপি-র ছিল 28 বিধায়ক। তাই এই জোটবন্ধনে তৈরী হয় সেই সরকার। যেটা এখন ইতিহাস।
12টি আসন পাওয়া কংগ্রেস ইতিমধ্যে জানিয়ে দিয়েছে, কোনোভাবে তারা পিডিপি-এর সাথে সরকার গড়ছে না।
বাকিদের 15টি সিট নিয়ে এখন আলোচনা উঠতে শুরু করেছে। এবং এই বিষয় নিয়ে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আব্দুল্লা টুইট অবধি করেছেন।
2015 সালে দুই দল একজোটে সরকার গঠন করলেও AFSPA ও জিএসটি নিয়ে তাদের মধ্যে একটা সংঘাত সৃষ্টি হতে শুরু করে। আর সেই চাপা উত্তেজনার সমাপ্তি তিন বছর পর আজ এই ভাঙন দিয়ে শেষ হলো।
Post a comment