Citizenship Amendment Act: মনমোহন সিং সংসদে দাঁড়িয়ে নাগরিকত্ব আইনের বিষয়েই কথা বলেন, একটি পুরানো ভিডিও টুইট করল বিজেপি
হাইলাইটস
- ২০০৩ সালে নাগরিকত্ব আইনের পক্ষেই কথা বলেন কংগ্রেস নেতা মনমোহন সিং
- সংসদের একটি পুরনো ভিডিও দিয়ে দাবি করল বিজেপি
- নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনকে কেন্দ্র করে দেশের নানা জায়গায় বিক্ষোভ চলছে
নয়া দিল্লি: সময় সময় কি একই ইস্যুতে সুবিধা অনুযায়ী অবস্থান বদল করে রাজনৈতিক দলগুলি? বিজেপির সাম্প্রতিক টুইট দেখে তেমনটাই প্রশ্ন উঠে আসতে পারে অনেকের মনে। নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ বিক্ষোভে সোচ্চার হয়েছে গোটা দেশ। বিতর্কিত এই আইনের (Citizenship Amendment Act) বিরুদ্ধে মুখ খুলেছে বিরোধী দল কংগ্রেসও। অথচ কংগ্রেস নেতা মনমোহন সিং-কে কেন্দ্র করে সংসদের একটি পুরনো ভিডিও ফুটেজ তুলে ধরে বিজেপি এবার প্রশ্ন তুলে দিল কংগ্রেসের নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতা নিয়েই। কেননা, ওই ভিডিও ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, ২০০৩ সালে রাজ্যসভায় দাঁড়িয়ে নাগরিকত্ব আইনের পক্ষেই কথা বলেন ওই কংগ্রেস নেতা (Manmohan Singh)। ওই ফুটেজ অনুযায়ী তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং নাগরিকত্ব নিয়ে নতুন আইনের (Citizenship Act) প্রতিশ্রুতি হিসাবে পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে এ দেশে আশ্রয় নেওয়া সংখ্যালঘুদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার কথাই বলছেন। সংসদের সংরক্ষণাগার থেকে ওই ফুটেজ সংগ্রহ করে বর্তমান শাসক দল।
সরকারের নির্দেশেই দিল্লিতে স্থগিত ভয়েস, এসএমএস, ডেটা পরিষেবা: এয়ারটেল-ভোডাফোন
"২০০৩ সালে, রাজ্যসভায় বক্তব্য রাখার সময় তৎকালীন বিরোধী দলনেতা ডঃ মনমোহন সিং বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মতো প্রতিবেশী দেশগুলি থেকে নিপীড়নের শিকার হওয়া যে সংখ্যালঘুরা এ দেশে এসে আশ্রয় নিয়েছে তাঁদের নাগরিকত্ব দেওয়ার বিষয়ে উদার হওয়ার জন্যেই অনুরোধ করে ছিলেন। সংশোধিত নাগরিকত্ব সংশোধন আইনটি ঠিক সেই পথেই চলেছে... ", বর্তমান শাসক দল বিজেপির পক্ষ থেকে টুইট করে এ কথা বলা হয়।
ওই ভিডিওতে শোনা যায় যে মনমোহন সিং বলছেন: "আমি শরণার্থীদের প্রসঙ্গে কিছু বলতে চাই। আমাদের দেশভাগের পরে বাংলাদেশের মতো দেশগুলিতে সংখ্যালঘুদেরও অত্যাচারের মুখোমুখি হতে হয় এবং আমাদের দেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হন তাঁরা, আমাদের নৈতিক বাধ্যবাধকতায় তাঁদের আশ্রয়ও দেওয়া হয়। তবে দুর্ভাগ্যের শিকার হওয়া এই ব্যক্তিদের নাগরিকত্ব দেওয়ার বিষয়ে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গিকে আরও উদার করতে হবে। "
মনমোহন সিংয়ের বক্তব্য রাখার সময় তৎকালীন উপ-প্রধানমন্ত্রী তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং বিজেপি প্রবীণ নেতা এল কে আডবানি সরকার পক্ষের বেঞ্চে বসেছিলেন।
"আমি আন্তরিকভাবে আশা করি যে নাগরিকত্ব আইনের বিষয়ে ভবিষ্যতের পদক্ষেপের কথা বিবেচনা করে এ কথা মনে রাখবেন মাননীয় উপ-প্রধানমন্ত্রী", বলেন মনমোহন সিং।
"ভুয়ো" ভিডিও: রাজ্যপাল এবং বিজেপিকে একযোগে দুষলেন মুখ্যমন্ত্রী
অথচ গত বুধবার রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ এই আইনে স্বাক্ষর করার পরেই দেশ জুড়ে বিক্ষোভ আন্দোলন শুরু হয়। বিশেষত দেশের উত্তর-পূর্ব অঞ্চল, বাংলা এবং দিল্লিতে এই আইনের বিরুদ্ধে ব্যাপক প্রতিবাদ শুরু হয়েছে। অসমে বিক্ষোভের পর ঘটা হিংসার ঘটনায় ইতিমধ্যেই ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে লাগাতার চলছে সড়ক ও রেল অবরোধ, ভোগান্তি পোহাচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনে বলা হয়েছে, পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে যে সব অমুসলিম মানুষরা ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার হয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন তাঁরা এবার ভারতীয় নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন। অথচ কংগ্রেস সহ বিরোধীরা বলছেন, নতুন আইনটির মাধ্যমে ধর্মের ভিত্তিতে বিবেচনা করে অবৈধ অভিবাসীদের দেশের নাগরিক হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া সংবিধানের মূল কাঠামোর পরিপন্থী। এই আইন নাগরিকদের জীবন ও মৌলিক অধিকার তথা সাম্যের অধিকার লঙ্ঘন করে, দাবি কংগ্রেসের।
দেখে নিন এই খবরগুলোও: