This Article is From Jul 20, 2020

তৃণমূলের “শহিদ দিবসের” দিনে “প্রহসন দিবস” পালন করবে বিজেপি

২০১৩ থেকে রাজনৈতিক সংঘর্ষে তাঁদের দলের ৯৩ জন কর্মীর মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করে একটি পুস্তিকাও প্রকাশ করেন দিলীপ ঘোষ

Advertisement
সিটিস Edited by (with inputs from PTI)

দিলীপ ঘোষের অভিযোগ, চোপড়ায় অগ্নিসংযোগে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের মদত রয়েছে

কলকাতা:

রাজ্যে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে সবদিক থেকে ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে একুশে জুলাই “শহিদ দিবস”র পাল্টা রাজ্যে “প্রহসন দিবস” পালন করবে বিজেপি। রাজ্যে মহিলাদের কোনও নিরাপত্তা নেই বলেও অভিযোগ করা হয়েছে গেরুয়া শিবিরের তরফে। সোমবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানান, সমস্ত দিক থেকে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে ২১ জুলাই রাজ্যে “প্রহসন দিবস” পালন করা হবে। ১৯৯৩ সালে তৎকালীন যুব কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে মিছিলে বাম সরকারের পুলিশের গুলিতে মৃত কংগ্রেস কর্মীদের স্মরণে প্রতি বছর ২১ জুলাই শহিদ দিবস পালন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।  

তৃণমূলের এই শহিদ দিবসের বিরোধিতা করে, দিলীপ ঘোষ বলেন, ১৯৯৩ সালে পুলিশের গুলিতে মৃত কর্মীদের প্রতি বিজেপি অশ্রদ্ধা করছে না, তবে “তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর থেকে বিরোধীদলগুলির ওপর স্বৈরাচারিতা শুরু হয়েছে এবং ২০১৩ থেকে এখনও পর্যন্ত ৯৩ জন বিজেপি কর্মীর মৃত্যু হয়েছে”, ফলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শহিদদের শ্রদ্ধা জানানোর নৈতিক অধিকার হারিয়েছেন। তাঁর কথায়, “সমস্ত দিকে এই সরকারের ব্যর্থতা তুলে ধরতে, আগামিকাল আমরা প্রহসন দিবস পালন করব”।

উত্তর দিনাজপপুরে কিশোরীকে গণধর্ষণ করে খুনের অভিযোগের প্রসঙ্গ তুলে ধরে, বিজেপির রাজ্য সভাপতি বিস্ময় প্রকাশ করেন, প্রশাসনের তরফে বলা হয়েছে বিষের প্রভাবেই কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে, তাহলে সে কেন বিষ খেয়েছিল। তাঁর দাবি, “এই অপদার্থ সরকারের আমলে মহিলাদের কোনও নিরাপত্তা নেই এবং মহিলাদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ রাজ্যের মহিলা মুখ্যমন্ত্রী”। তাঁর কথায়, “অতীতেও কখনও কোনও মৃত্যুর নিরপেক্ষ তদন্ত হয়নি”।

Advertisement

এক কিশোরীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে রবিবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া। কিশোরীকে গণধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ করেন স্থানীয়রা, ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধের পাশাপাশি অন্ততপক্ষে তিনটি বাস ও পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।

 দিলীপ ঘোষের অভিযোগ, চোপড়ায় অগ্নিসংযোগে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের মদত রয়েছে এবং বিজেপির বদনাম করেছে স্থানীয় পুলিশ। বিজেপির রাজ্য সভাপতির আরও দাবি, আরও একটি দেহ উদ্ধার হয়েছে, এর থেকেই প্রমাণ হয়, এটি নিয়ে তৃণমূলের গভীর চক্রান্ত রয়েছে। ২০১৩ থেকে রাজনৈতিক সংঘর্ষে তাঁদের দলের ৯৩ জন কর্মীর মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করে একটি পুস্তিকাও প্রকাশ করেন দিলীপ ঘোষ।



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
Advertisement
Advertisement