কলকাতা: এ রাজ্যে ক্ষমতায় এলে দুষ্কৃতীদের খতম করতে “ইউপি মডেল” (UP model) বা “উত্তরপ্রদেশ মডেল” ফলো করবে দল, যার মাধ্যমে সমাজবিরোধীদের এনকাউন্টারে খতম করতে পুলিশকে অবাধ স্বাধীনতা দেওয়া হবে, বিজেপি (BJP) নেতার এই মন্তব্যে নতুন করে ফের বাকযুদ্ধে জড়াল কেন্দ্র ও রাজ্যের শাসকদল। তৃণমূলের (TMC) তরফে পাল্টা জবাব দিয়ে বলা হয়েছে, বাংলাকে কখনই একটি পুলিশ রাজ্যে পরিণত করতে দেবে না তারা। রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু বলেন, “আমরা ক্ষমতায় এলে, আমরা নিশ্চিত করব, আসামী এবং তোলাবাজদের হয় জেলে ভরা হবে, না হলে তারা পালিয়ে যাবে। আমরা উত্তরপ্রদেশ মডেল অনুসরণ করব। পুলিশকে অবাধ স্বাধীনতা দেওয়া হবে, যাতে দুষ্কৃতীরা আত্মসমর্পণ না করলে তাদের এনকাউন্টারে খতম করা যায়”।
আরও এক তৃণমূল বিধায়কের বিজেপিতে যোগ, “এটা শুধুমাত্র ট্রেলার”: মুকুল রায়
বিরোধীদের অভিযোগ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে, এনকাউন্টারের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। সায়ন্তন বসুর সুর শোনা গেছে, দলের (BJP) আরেক সাধারণ সম্পাদক রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলাতেও। তিনি বলেন, “আমরা বাংলায় গুণ্ডারাজ এবং তোলাবাজ সহ্য করব না। তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে এবং প্রয়োজনে এনকাউন্টার করবে”।
দুই বিজেপি নেতার এই মন্তব্যের জবাব দিয়েছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। তাদের মন্তব্য, এর মধ্য দিয়েই প্রমাণিত হয়, পশ্চিমবঙ্গকে “পুলিশ রাজ্যে” পরিণত করতে চাইছে গেরুয়া শিবির। বর্ষীয়ান নেতা ফিরহাদ হাকিম বলেন, “এই ধরণের মন্তব্যে আমরা হবাক হইনি। এটাই তাদের মানসিকতা। দলের সভাপতি(অমিত শাহ), গুজরাটের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালীন ফেক এনকাউন্টার পরিকল্পনায় অভিযুক্ত ছিলেন। সুতরাং, বিজেপি ক্ষমতায় এলে, বাংলায় তারা একই জিনিস করবে, রাজ্যটিকে পুলিশের রাজ্যে পরিণত করবে”।
“কাট মানি” ইস্যুতে উত্তাল বিধানসভা, একযোগে বিক্ষোভ সিপিআই(এম)-কংগ্রেসের
লোকসভা নির্বাচনে এ রাজ্যে ভাল করেছে বিজেপি(BJP) । এরপরেই ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে দুই তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার লক্ষ্য গেরুয়া শিবিরের। পাশাপাশি সময়ের আগেই নির্বাচনও লক্ষ্য তাদের। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে বঙ্গে ১৮টি আসনে পাপড়ি মেলেছে পদ্ম, অন্যদিকে, ২২টি আসনে ফুটেছে ঘাসফুল। ২০১৪ লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি পেয়েছিল ২টি এবং তৃণমূল কংগ্রেস(TMC) পেয়েছিল ৩৪টি আসন।