বিজেপির জাতীয় মহাসচিব কৈলাশ বিজয়বর্গীয় শুক্রবার তীব্র আক্রমণ করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে, পাকিস্তানের বালাকোটে গিয়ে ভারতীয় সেনার এয়ার স্ট্রাইক করে জইশ-ই-মহম্মদের ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া নিয়ে ‘সন্দেহপ্রকাশ'-এর জন্য। তিনি আজ কলকাতায় বলেন, “এটা অত্যন্ত লজ্জাজনক ব্যাপার যে, শুধুমাত্র রাজনীতি করবেন বলে একজন মুখ্যমন্ত্রী আমাদের দেশের সেনাবাহিনীর ওপর সন্দেহপ্রকাশ করছেন। গোটা জাতি এখন সেনাবাহিনীর পাশে রয়েছে। তেমন একটি সময়ে দাঁড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বক্তব্যের আমরা তীব্র বিরোধিতা করছি”। শুধুমাত্র কৈলাশ বিজয়বর্গীয়-ই নয়, পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নাম না করে আক্রমণ করে বলেন, “এটি অত্যন্ত নিন্দাজনক একটি ব্যাপার। একজন পাকিস্তানি নন, ভারতীয় রাজনীতিবিদই এয়ার স্ট্রাইকের সাফল্য নিয়ে সন্দেহপ্রকাশ করে প্রমাণ চাইছেন”।
জম্মু-কাশ্মীরের কুপওয়ারায় জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে নিহত হলেন ৪ নিরাপত্তাকর্মী
তিনি আরও বলেন, “এই বক্তব্য যদি একজন পাকিস্তানি রাজনীতিবিদ পেশ করতেন, তাহলেও না হয় আমরা বুঝতাম। কিন্তু একইসঙ্গে নিন্দারও ও লজ্জার ব্যাপারটি হল, একজন ভারতীয় রাজনীতিবিদ, তাও একটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এমন একটি প্রশ্ন তুলছেন”।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ভারতীয় বায়ুসেনার পাকিস্তানের মাটিতে এয়ার স্ট্রাইকের ‘ফল' কী হল, তার প্রকৃত তথ্য জানার অধিকার আছে সমস্ত দেশবাসীর। তাঁর কথায়, বিদেশি মিডিয়ার তথ্য অনুযায়ী, তেমন কোনও ক্ষয়ক্ষতিই হয়নি এই এয়ার স্ট্রাইকের ফলে। তিনি বলেন, “আমাদের জানার সম্পূর্ণ অধিকার রয়েছে। মানুষ জানতে চায় ঠিক কতজনকে মারা হয়েছে ওই এয়ার স্ট্রাইকের ফলে। কোথায় ফেলা হয়েছিল বোমগুলি? লক্ষ্যের ওপর ঠিকভাবেই কি ফেলা হয়েছিল সেগুলো?”
সন্ত্রাস দমনে ভারতকে সাহায্য করছে ইসলামিক রাষ্ট্র গুলিঃ রাজনাথ
প্রসঙ্গত, কৈলাশ বিজয়বর্গীয় জানান, অভিনন্দন বর্তমানকে যে ফিরিয়ে দিচ্ছে ইমরান খানের সরকার, তার সমস্ত কৃতিত্ব নরেন্দ্র মোদীর কূটনৈতিক চালের। তিনি একধাপ এগিয়ে এই ঘটনাকে নরেন্দ্র মোদীর ‘কূটনৈতিক জয়' বলেও অভিহিত করেন। তিনি বলেন, “গত দু'দিন ধরেি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথাবার্তা চালানোর চেষ্টা করে যাচ্ছেন। কিন্তু, আমাদের প্রধানমন্ত্রী এই কথা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তাঁকে যে, আগে বায়ুসেনার উইং কম্যান্ডারকে ফিরিয়ে দিতে হবে, তারপর সব কথা। তার আগে কোনও আলোচনাই হবে না”।