This Article is From Feb 06, 2019

রাজীবের মামলায় মমতাকে অভিনন্দন জানিয়ে বিজেপির তোপের মুখে কেজরিওয়াল

কেন্দ্র- রাজ্য সংঘাতে  মুখ্যমন্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে বিজেপির তোপের মুখে পড়লেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।

রাজীবের মামলায় মমতাকে অভিনন্দন জানিয়ে বিজেপির তোপের মুখে কেজরিওয়াল

বিজেপির অভিযোগ রাজীব কুমারকে  বাঁচাতে  চাইছেন মমতা। আর তাই  ধর্না দিয়েছেন।

হাইলাইটস

  • মুখ্যমন্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে বিজেপির তোপের মুখে পড়লেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী
  • অরবিন্দ বলেন, দিদি আপনাকে আপনার সংগ্রামের জন্য অভিনন্দন জানাই
  • এই মন্তব্যের জন্যই তাঁর সমালোচনা করল বিজেপি
নিউ দিল্লি:

কেন্দ্র- রাজ্য সংঘাতে  মুখ্যমন্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে বিজেপির তোপের মুখে পড়লেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। বিজেপির বক্তব্য ইনি কি সেই এক কেজরিওয়াল যিনি দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করে, আন্না হাজারের পাশে দাঁড়িয়ে রাজনীতিতে প্রবেশ করেছিলেন? সুপ্রিম কোর্ট এ সংক্রান্ত মামলার রায়ে জানায় কলকাতা পুলিশের কমিশনার রাজীব কুমারকে এখনই গ্রেফতার করা যাবে না। তবে  তদন্তের কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে সমস্ত রকম সাহায্য করতে হবে   রাজীবকে। এরপর পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে কেজরিওয়াল লেখেন, দিদি আপনাকে আপনার সংগ্রামের জন্য  অভিনন্দন জানাই।

এই মন্তব্যকে কটাক্ষ করে তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছে বিজেপি। দুর্নীতির মামলায় সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে হাজিরা দিতে হবে কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে। এই ঘটনায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন কেজরিওয়াল। ইনিই সেই ব্যক্তি যিনি দুর্নীতি মুক্ত ভারতের কথা বলে এবং আন্নার পাশে দাঁড়িয়ে লড়াই করে রাজনীতিতে প্রবেশ করেছিলেন। সামান্য সময়ের মধ্যে কী ভয়াবহ পরিবর্তন!    

সুপ্রিম নির্দেশে শুধু মমতাই নৈতিক জয় দেখতে পারেন, কটাক্ষ স্মৃতির   

বিজেপির অভিযোগ রাজীব কুমারকে  বাঁচাতে  চাইছেন মমতা। আর তাই  ধর্না দিয়েছেন। নেতাদের দাবি রাজীব কুমার এমন কিছু কথা জানেন যা প্রকাশ্যে এলে  সমস্যা হতে পারে বলে  মমতা মনে  করেন। তাই  রাজীবকে বাঁচাতে চাইছেন তিনি।

গত রবিবার বেনোজির সংঘাতে জড়িয়েছে পড়ে কলকাতা পুলিশ এবং সিবিআই।  পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের বাড়িতে গিয়ে আটক হন সিবিআইয়ের আধিকারিকরা।  সিবিআই যুগ্ম অধিকর্তা পঙ্কজ শ্রীবাস্তব সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন তারা রাজীব কুমার কে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গিয়েছিলেন সন্তোষজনক উত্তর না দিলে বা তদন্তে সাহায্য না করলে তাকে গ্রেফতারও করা হত বলে তিনি জানান। যদিও পুলিশের তরফে দাবি করা হয় কলকাতার কমিশনারকে  সিবিআই জেরা করতেই পারে না। কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (অপরাধ) প্রবীণ ত্রিপাঠী জানান সিবিআইয়ের আধিকারিকরা কোন নথি পত্র দেখাতে পারেননি বলেই আটক করা হয়েছিল। শুধু তাই নয় তাঁর দাবি ওই আধিকারিকরা বলেছিলেন কোনও গুপ্ত কাজ করতে এসেছেন। এরপর থেকেই শুরু  হয় ধর্না। তিন দিন চলার পর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তা উঠে যায়।               

 

.