অভিযুক্ত পুলিশদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি আমরা, বলেন লকেট চট্টোপাধ্যায়
হাইলাইটস
- ইসলামপুরে গতকাল রাজ্য বিজেপির প্রতিনিধি দল পরিদর্শনে গিয়েছিল
- 'দোষীদের অবিলম্বে শাস্তি চাই' বলে দাবি তোলা হয়
- সিবিআই তদন্তে দাবি জানিয়েছে দাড়িভিট গ্রামের বাসিন্দারা
ইসলামপুর: গতকাল ইসলামপুরে মুকুল রায়, লকেট চট্টোপাধ্যায়, প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায় সহ রাজ্য বিজেপির (BJP) কয়েকজন নেতা মিলে ছাত্র-পুলিশ সংঘর্ষে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান দাড়িভিট গ্রামে। সেখানে গিয়ে ঘটনায় জড়িতদের অবিলম্বে কঠোর শাস্তি দেওয়ার ব্যাপারে সরব হন তাঁরা। গত বৃহস্পতিবার ইসলামপুরে ছাত্র ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষে (Islampur Clash) দুজনের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে অশান্তির পারদ ক্রমশ চড়ছে। তার মধ্যেই আগামী বুধবার রাজ্যজুড়ে 12 ঘন্টার বনধ ডেকেছে বিজেপি। বিজেপির মহিলা শাখার সভাপতি লকেট চট্টোপাধ্যায় এ দিন বলেন, “নৃশংসভাবে যুবকদের গুলি করে মেরেছে পুলিশ। অথচ, রাজ্য সরকার এখন সত্যিটা চাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে যেনতেন প্রকারে। স্থানীয়রা বারবার বলছে, ওইদিন গুলি চালিয়েছিল পুলিশ। অভিযুক্ত পুলিশদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি আমরা”।
এর আগে, রবিবার সকালে পুলিশকে দাড়িভিট গ্রামে ঢুকতে বাধা দেয় স্থানীয়রা। সিবিআই (CBI) তদন্তের দাবি জানাতে থাকে তারা।
ইসলামপুরের সংঘর্ষে মৃত রাজেশ সরকারের বাবা বলেন, “আমরা সিবিআই তদন্ত চাই। আমরা জানতে চাই, কেন আমার ছেলেটাকে মেরে ফেলা হল। রাজ্য পুলিশের ওপর আর কোনও আস্থা অবশিষ্ট নেই আমাদের। ওরা সত্যিটাকে চাপা দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছে”।
আরও পড়ুন: ইসলামপুরে দুই ছাত্রের মৃত্যুর জন্য RSS ও BJP-কে দায়ি করলেন মুখ্যমন্ত্রী
শাসক দল তৃণমূল (TMC) অবশ্য এই ঘটনায় বিজেপি ও আরএসএসের (RSS) ‘হাত’ই দেখছে। তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “রাজ্য জুড়ে অশান্তি সৃষ্টি করার যে চেষ্টা করছে বিজেপি, তা মুখ থুবড়ে পড়বে। ওদের ডাকা বনধের বিরোধিতা করব আমরা”।
ইসলামপুরের ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে রাজেশ সরকার ও তাপস বর্মণ নামে দুই যুবকের। তারা দুজনেই দাড়িভিট হাইস্কুলের প্রাক্তন ছাত্র ছিল।
আরও পড়ুন: ইসলামপুরে গিয়ে স্থানীয়দের বিক্ষোভের মুখে শাসক দলের বিধায়ক, পৌঁছেছেন মুকুল