এখানে রইল ১০'টি তথ্য:
আজ সকালে সাংবাদিকদের বিজেপি সভাপতি বলেন, “এটা হিংসা নয়, এটা একটা হামলা...রাষ্ট্রপতি শাসনের কোনও প্রয়োজন নেই, ওদের শাসন ভেঙে দেবে মানুষই”। তৃণমূলের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রের কন্ঠরোধের চেষ্টা বলে মন্তব্য করে বিজেপি সভাপতি বলেন, “আমরা সারা দেশে সভা করেছি, কিন্তু শুধুমাত্র বাংলাতেই এই ধরণের হিংসার ঘটনা, কেন?কারণ, তৃণমূল কংগ্রেস”।
তাঁর “গণতন্ত্র রক্ষা” যাত্রা সাজানো হয় গেরুয়া বেলুন এবং রামায়নের বিভিন্ন চরিত্রের সাজে সজ্জিত শিল্পীদের অংশগ্রহণে। হনুমানকে জয় শ্রীরাম স্লোগান এবং নাচতে দেখা গিয়েছে, যাত্রা পথ সাজানোর জন্য ছিল ১০,০০০ কেজি গাঁদাফুল।
১৯ মে রাজ্য শেষ দফার ভোটে ৯ আসনে ভোটগ্রহণ হবে।শেষ দফার ভোটের প্রচারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিষিদ্ধ করার দাবিতে নির্বাচন কমিশনের কাছে দরবার করেছে বিজেপি।পাশাপাশি দিল্লিতে প্রতিবাদ কর্মসূচীও নিয়েছে গেরুয়া শিবির।
অমিত শাহের যাত্রাপথেই পদযাত্রা করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, বিদ্যাসাগর কলেজ হয়ে কলেজ স্ট্রিট দিয়ে যাবে পদযাত্রা।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অশান্তির সূত্রপাত হয় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে।বিজেপি বিরোধী স্লোগান দিতে শুরু করেন কয়েকজন পড়ুয়া। তাঁদের দিকে রড নিয়ে তেড়ে যান বিজেপি সমর্থকরা।অশান্তি থামাতে হস্তক্ষেপ করে পুলিশ।
বিদ্যাসাগর কলেজের সামনে দিয়ে অমিত শাহের রোড শো যাওয়ার সময়, “অমিত শাহ গো ব্যাক” স্লোগান দিতে থাকেন পড়ুয়ারা। তাঁদের ওপর হামলা চালায় গেরুয়া পোশাক করা কয়েকজন মানুষ...তাঁরা বিজেপির সমর্থক বলে খবর। ক্যামেরায় ধরা পড়ে তাঁদের ছবি। ক্যাম্পাসে ঢুকে মোটর সাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয় তারা, এবং ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভেঙে দেয়।
ক্ষুব্ধ হয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “নিজেকে কী মনে করেন অমিত শাহ ? তিনি কি সবকিছুর ঊর্দ্ধে ? তিনি কি ভগবান, যে কেউ তাঁর বিরোধিতা করতে পারবে না ? ”তাঁর কথায়, “তাঁর গুণ্ডাদের কাছে রড ছিল, অগ্নিসংযোগ করেছে তারা, মূর্তি ভেঙে দিয়েছে। এত লজ্জার ঘটনা কলকাতায় কখনও হয় নি। আমরা তাদের ছাড়ব না, ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে জবাব দেব।“
ট্যুইটে তৃণমূল নেতা ডেরেক ওব্রায়েন লেখেন, “কলেজের পাশে থাকা ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভেঙে দিয়েছে বেপরোয়া বিজেপির গুণ্ডারা। নিম্নরূচির অমিত শাহের উপস্থিতিতে হিংসাত্মক ঘটনা।বাংলা সম্পর্কে আপনারা কতটুকু জানেন, এর সংস্কৃতি সম্পর্কে, এর সমৃদ্ধি সম্পর্কে।আজ আপনারা যা করলেন, তার জন্য বাংলা ছেড়ে দেবে না”।
রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে অশান্তি ছড়ানোর অভিযোগ তুলে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের দাবি, পঞ্চায়েত নির্বাচনে তাঁদের দলের ৬০জন কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। পাশাপাশি এই হিংসা ভোটকে “প্রভাবিত” করার চেষ্টা বলেও অভিযোগ করেন তিনি। তাঁর কথায়, “রোড শো করায় কাপুরুষদের জন্য হতাশ হয়ে পড়েছে মমতাদিদির গুণ্ডারা। এবং একটা পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনা চেয়েছিল। তৃণমূলকে ছুঁড়ে ফেলার জন্য আমি বাংলার মানুষের কাছে আবেদন করব”।
রাজ্যে লোকসভা নির্বাচনের প্রতিটি দফাতেই হিংসার খবর এসেছে। আজ বসিরহাট এবং ডায়মন্ডহারবারে সভা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর।