রবিবার রাতে মালদহের বৈষ্ণবনগরে ভেঙে পড়ে একটা নির্মীয়মাণ সেতু। ফারাক্কা ব্যারেজের সঙ্গে সংযোগ তৈরিতে নির্মিত ওই সেতু ভেঙে তিনজনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। (ফাইল ছবি)
হাইলাইটস
- মালদহতে সেতু দুর্ঘটনা, রাজনৈতিক চাপানউতোর তুঙ্গে
- রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তুলেছেন কাটমানির অভিযোগ
- দিলীপ ঘোষের দাবি, "যারা কাত্মানির রাজনীতি করে, তাঁরাই কাটমানি ভূত দেখেন"
মালদহ (কলকাতা): রবিবার রাতে মালদহের বৈষ্ণবনগরে ভেঙে পড়ে একটা নির্মীয়মাণ সেতু । ফারাক্কা ব্যারেজের (Farraka Barrage) সঙ্গে সংযোগ তৈরিতে নির্মিত ওই সেতু ভেঙে তিনজনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। আহত আরও ৭। দু'জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁদের এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, এই সেতু দুর্ঘটনায় মৃত ৩ জনের মধ্যে এক জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার ও দু'জন শ্রমিকও আছেন। এদিকে, সোমবার সকাল হতেই এই দুর্ঘটনা ঘিরে শাসক-বিরোধী রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী এই দুর্ঘটনার নেপথ্যে কাটমানির প্রসঙ্গ টেনে তদন্তের দাবি করেছেন । তাঁর অভিযোগ, এই ব্রিজ নির্মাণে কেন্দ্রের একটা সংস্থা বরাত পেয়েছিল। সেই সংস্থার স্থানীয় কর্তাদের সঙ্গে বিজেপি আশ্রিত গুণ্ডাদের কাটমানির সম্পর্ক আছে কিনা, খতিয়ে দেখা হোক।" এই অভিযোগের পাল্টা দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা দলীয় সাংসদ দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। তিনি বলেছেন, কাটমানি রাজনীতি করে যারা ফুলে-ফেঁপে উঠছেন, তাঁরাই সব জায়গায় কাটমানির ভুত দেখেন।
দিলীপ ঘোষের মন্তব্য, "সেতু ভাঙার কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। তবে নকশায় গলদ থাকতে পারে।" অন্যদিকে উত্তর মালদার বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুর দাবি, "আমরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দেখানো পথে চলি। দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিই না।" এমনকি, কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে দল-মত নির্বিশেষে উচ্চপর্যায়ের তদন্তের দাবি জানান ওই সাংসদ। রবিবার সন্ধ্যার দিকে ওই সেতুর একটি গার্ডার ভেঙে গেলেও এখনও ধ্বংসস্তুপ সরানোর কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন স্থানীয় প্রশাসন। স্তুপের নীচে কয়েকজনের আটকে থাকার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না উদ্ধারকারী আধিকারিকরা।
পুলিশ জানিয়েছে, সেতু ভেঙে পড়ার ঘটনায় মৃতদের মধ্যে রয়েছেন ৩৬ বছর বয়সী এক জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার শ্রীনিবাস এবং আরেক কর্মী শচীন প্রতাপ-সহ মোট ৩ জন। জানা গেছে, সেতুটির এক ও দুই স্তম্ভের মধ্যে গার্ডার বসানোর সময়ই ওই দুর্ঘটনা ঘটে। ইতিমধ্যেই আরও ৭ জন শ্রমিককে উদ্ধার করা গেছে।
কংগ্রেস নেতা মঈনুল হকের দাবি, গার্ডারটি সেট করার সময়েই সেটি পিছলে যায় এবং তারপরেই হুড়মুড় করে সেতুর ওই অংশটি ভেঙে পড়ে।এদিকে লোকসভায় কংগ্রেস দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী এই ঘটনায় বিস্তারিত তদন্তের দাবি করেছেন। পাশাপাশি নিহতদের পরিবারের জন্যে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও দাবি তুলেছেন।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)