This Article is From Jul 21, 2019

তৃণমূল নেতাদের বাস থেকে টেনে নামানোর ‘হুমকি’, এফআইআর দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে

বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে শাসক দলের পক্ষ থেকে

তৃণমূল নেতাদের বাস থেকে টেনে নামানোর ‘হুমকি’, এফআইআর দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে

মমতার অভিযোগ, ২১ জুলাইয়ের সমাবেশে বাধা দিতে চাইছে বিজেপি

হাইলাইটস

  • দিলীপ ঘোষের হুমকি, সমাবেশে যাওয়ার সময় তাঁরা তৃণমূল নেতাদের নামাবেন
  • এই হুমকির কারণে তৃণমূলের তরফে এফআইআর দায়ের দিলীপের বিরুদ্ধে
  • বিজেপি সমাবেশ পালনে বাধা দিচ্ছে দাবি মমতার

২১ জুলাই (21 July) তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) শহিদ দিবসের সমাবেশে বাধা বিজেপির (BJP)। কেন্দ্রীয় সরকার রবিবারের চালু ট্রেনের মাত্র ৩০ শতাংশ ট্রেন চালাচ্ছে এই রবিবার। এই অভিযোগ জানালেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পাশাপাশি বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধেও এফআইআর দায়ের করা হয়েছে শাসক দলের পক্ষ থেকে। অভিযোগ, দিলীপ ঘোষ হুমকি দিয়ে বলেছেন সমাবেশে যাওয়ার বাস থেকে তাঁরা তৃণমূল নেতাদের টেনে নামাবেন যদি তাঁরা জনতার কাছ থেকে নেওয়া ‘কাটমানি' ফেরত না দেন‌। শনিবার মমতা জানিয়েছেন, ‘‘আমি শুনেছি আগামীকাল রেল সাধারণ সংখ্যক ট্রেন চালাবে না বিজেপির নির্দেশে। আমার কাছে খবর আছে, ওরা সাধারণ ভাবে রবিবার যত ট্রেন চলে তার মাত্র ৩০ শতাংশ ট্রেন চালাবে। এটা ঠিক নয়।''

তাঁর দলের দাবি, বিজেপি এটা করছে যাতে তৃণমূল সমর্থকরা শহরে এসে সমাবেশে যোগ দিতে না পারে। শনিবার সব খুঁটিয়ে দেখতে সমাবেশের স্থল পরিদর্শনে যান মুখ্যমন্ত্রী। এরপরই সাংবাদিকদের সামনে তিনি জানান, প্রত্যেক দলেরই অধিকার রয়েছে মিছিল-সমাবেশ করার। এটা কেড়ে নেওয়া উচিত নয়।

কোন ছকে '২১-এর বিধানসভা দখলে রাখবে শাসকদল? উত্তর ২১ জুলাইয়ের মঞ্চে

তিনি আরও বলেন, ‘‘এবছর শহিদ দিবস রবিবারে পড়েছে। বহু মানুষ (বাইরের শহর থেকে আসা অফিস কর্মী) এই সমাবেশে যোগ দিতে পারেন কাজের দিনে সমাবেশ থাকায়। কিন্তু এবার সেটা তাঁরা করতে পারবেন না (রবিবার পড়ে গিয়েছে বলে)।'' মমতা জানান, এবার তাঁদের শহিদ দিবসের ২৬ বছর হল।

১৯৯৩ সালের ২১ জুলাই পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয় ১৩ জন কংগ্রেস কর্মীর। তখনও তৃণমূলের জন্ম হয়নি। মমতা তখন ছিলেন যুব কংগ্রেস নেত্রী। পশ্চিমবঙ্গে তখন বাম শাসন। সেই হত্যার প্রতিবাদেই মমতার উদ্যোগে শুরু হয় শহিদ দিবস পালন। তৃণূল কংগ্রেসের আগামী কর্মসূচির ঘোষণা এই সমাবেশে করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এবারের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল গতবারের থেকে অনেকগুলি আসন কম পেয়েছে। ৩৪ থেকে তারা নেমে এসেছে ২২-এ। অন্যদিকে বিজেপি ২ থেকে উঠে এসেছে ১৮-এ। নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর থেকেই রাজ্যে তৃণমূল-বিজেপির মধ্যে নানা প্রতিহিংসামূলক ঘটনা ঘটছে। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, ২০২১ সালে বিধানসভায় প্রত্যাবর্তনের দিকে লক্ষ্য রেখে মমতা আজ মূলত বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দাগবেন।

এদিকে সাংসদ দিলীপ ঘোষ, যিনি বিজেপির রাজ্য সভাপতিও, তিনি দলীয় কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন, যে তৃণমূল নেতারা ‘কাটমানি' বাবদ নেওয়া অর্থ ফেরত দেননি, তাঁদের যেন কলকাতায় সমাবেশে যোগ দিতে যাওয়া থেকে আটকানো হয়।

দিলীপ কার্যত ‘হুমকি' দিয়ে জানান, ‘‘আমরা ওঁদের টেনে বাস থেকে নামিয়ে দেব।''



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
.