দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন তাঁর দল পৃথক গোর্খাল্যান্ড (Gorkhaland) রাজ্যের সমর্থক নয়।
কলকাতা: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের চিঠিতে ‘গোর্খাল্যান্ড' (Gorkhaland) শব্দের প্রয়োগ। তাতেই পাহাড় কাঁটায় বিদ্ধ রাজ্যের বিজেপি নেতৃত্ব। ২১শে বাংলা জয়ের পথে যা বড় অন্তরায় হতে পারে। আপাতত তাই ড্যামেজ কন্ট্রোলে গেরুয়া শিবিরের বঙ্গ ব্রিগেড। সোমবার রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন তাঁর দল পৃথক গোর্খাল্যান্ড (Gorkhaland) রাজ্যের সমর্থক নয়। এই ইস্যুতে রাজনীতি না করে উন্নয়নই অগ্রাধিকার হওয়া উচিত তা মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি। দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্ত (Raji Bist) সম্প্রতি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে অভিযোগ করে জানান দিল্লি পু্লিশের বিশেষ বাহিনী থেকে গোর্খাদের সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তারই প্রত্যুত্তরে চিঠিতে গোর্খাল্যান্ড (Gorkhaland) শব্দের প্রয়োগ করেন অমিত শাহ। যা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়।
দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) এদিন বলেন, ‘পাহাড়ের উন্নয়নে স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধানের প্রয়োজন। বিজেপি পৃথক গোর্খাল্যান্ডের (Gorkhaland) সমর্থক নয়। এটা আগেও বলেছি, পরেও বলবো।' তাঁর সংযোজন, ‘কঠিন পরিস্থিতিতে আমরা দার্জিলিং লোকসভা আসনে জয় পেয়েছি। বিজেপি সেখানে উন্নয়ন করতে চায়।'
রাজ্য বিজেপি সভাপতির কথায় আশ্বস্ত নয় তৃণমূল। পদ্ম দলের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই রাজ্যভাগের চক্রান্তের গন্ধ পেতে শুরু করেছে তারা। রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব (minister Gautam Deb) বিজেপিকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘গোর্খাল্যান্ড বলে কোনও জায়গা নেই। তবে কেন ওই শব্দের প্রয়োগ করলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। জম্মু-কাশ্মীরের মতো বিজেপি রাজ্য ভাগ করতে চায়। কিন্তু, তৃণমূল যতদিন ক্ষমতায় রয়েছে তা সম্ভব নয়।'
জবাবে, দার্জিলিং-এর সাংসদ রাজু বিস্ত ২০১১ সালে ত্রিপাক্ষিক চুক্তির ভিত্তিতে সৃষ্ট গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অর্গানাইজেশনের (GTA) কথা তুলে ধরেন। তাঁর মন্তব্য, ‘তৃণমূল সরকারের আমলেই তো গোর্খাল্যান্ড (Gorkhaland) শব্দের ব্যবহার হয়েছে। গোর্খাল্যান্ড শব্দের প্রয়োগ করে এখানকার মানুষদের কথা বলেছি। এতে অন্যায়ের কিছু নেই।' এপ্রসঙ্গে তৃণমূলের অবস্থানকে ‘দ্বিচারিতা' বলেই উল্লেখ করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, দিল্লি পুলিশের বিশেষ বাহিনী থেকে গোর্খাদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে, এমন অভিযোগ তুলে ১১ জুলাই অমিত শাহকে চিঠি দেন দার্জিলিং-য়ের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা। চিঠিতে দার্জিলিং পাহাড়, তরাই, ডুয়ার্স এবং লাদাখে বসবাসকারী গোর্খাদের বিশেষ বাহিনীতে পুনর্নিয়োগের দাবি জানান তিনি। সাংসদের সেই চিঠির জবাব দিতে গিয়েই নতুন করে গোর্খাল্যান্ড নিয়ে বিতর্ক তৈরি করেছেন শাহ। এই চিঠির কথা জানাজানি হওয়ার পরে ক্ষুব্ধ রাজ্য প্রশাসন। নবান্নের একটি সূত্রের দাবি, গোর্খাল্যান্ডের (Gorkhaland) তো কোনও অস্তিত্বই নেই। তা হলে সেই প্রসঙ্গ ওঠে কী করে?
জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখকে পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করার পরে দার্জিলিং-য়ে পৃথক রাজ্যের দাবি উঠতে শুরু করেছে।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)