রাজনৈতিক হত্যার সংস্কৃতিকে উৎসাহ দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারের নিন্দা করেন জাভরেকর
নিউ দিল্লী:
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভরেকর বললেন, পশ্চিমবঙ্গে 2019’র লোকসভা নির্বাচনে বেশিরভাগ আসন পাবে বিজেপি। তিনি বলেন এই রাজ্যে বিজেপি অচিরেই অত্যন্ত শক্তিশালী প্রধানবিরোধী দল হিসাবে উঠে আসবে।
“বাংলার রাজনীতি সম্পূর্ণ ভারসাম্যহীন অবস্থায় ছিল। তৃণমূল ক্ষমতায় আসার আগে এই রাজ্যে বহুদিন ক্ষমায় ছিল কমিউনিস্ট পার্টি। কয়েক বছর আগেও, কোনও নির্বাচন হলে বিজেপি থাকত চতুর্থ বা পঞ্চম স্থানে। সবথেকে বড়ো ব্যাপার হল, আমরা এখানে প্রধান বিরোধী দল হিসাবে মাত্র এই কয়েক বছরের মধ্যেই উঠে আসতে পেরেছি”। বলেন জাভরেকর।
তিনি বলেন, সাম্প্রতিক স্থানীয় নির্বাচনে বিজেপি মোট 5600 আসনে জয়লাভ করেছে। যা থেকে স্পষ্ট বোঝা যায় যে, এই দলটি প্রধান বিরোধী দল হিসাবে উঠে আসছে। তিনি বলেন, “এমনকি আগে যেখানে 50টি আসনও আমরা পেতাম কি না সন্দেহ, সেই গ্রামীণ এলাকাগুলিতেও আমরা সাম্প্রতিক পঞ্চায়েত নির্বাচনে 5600 আসনে জয়লাভ করেছি। 2019’র লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় সবথেকে বেশি আসন পাবে বিজেপিই”।
প্রকাশ জাভরেকর অভিযোগ করেন যে, তৃণমূল কংগ্রেস সরকার পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত ভোটকে নিয়ে ছেলেখেলা করেছিল, যার জবাব তারা পরবর্তী নির্বাচনে ভোটারদের থেকেই পাবে।
পুরুলিয়ায় বিজেপি কর্মীর রহস্যজনক মৃত্যু নিয়ে কথা বলতে গিয়ে এই রাজ্যে রাজনৈতিক হত্যার সংস্কৃতিকে উৎসাহ দিয়ে যাওয়ার জন্য তিনি তৃণমূল সরকারকে তীব্রভাষায় আক্রমণ করেন। তিনি এটাও বলেন যে এই ধরনের হত্যাকান্ডের তদন্ত রাজ্য সরকার সঠিকভাবে কখনওই করে না।
“রাজনৈতিক হত্যা পশ্চিমবঙ্গে এখন একটি নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিজেপির উনিশজনকে হত্যা করা হয়েছে এখনও পর্যন্ত। তাদের মধ্যে সাম্প্রতিকতম হল দুলাল কর্মকার ও ত্রিলোচন মাহাতো। তাদের গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। এর থেকে অমানবিক আর কিছু হতে পারে না। পশ্চিমবঙ্গ সরকার এই ধরনের হত্যার তদন্ত কখনওই ঠিকভাবে করে না। এই রাজনৈতিক হত্যার সংস্কৃতির সঙ্গে যারা জড়িত, মানুষ তাদের নিশ্চয়ই কড়া জবাব দেবে একদিন”, বলেছেন প্রকাশ জাভরেকর।