পুরুলিয়া, পশ্চিমবঙ্গ: 30 বছর বয়সী যে বিজেপি কর্মীকে পুরুলিয়ার বলরামপুরে গতকাল একটি ইলেকট্রিক পোস্ট থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছিল, ময়নাতদন্তের পর সরকারি হাসপাতালের ডাক্তার জানিয়ে দিল, ওটি একটি আত্মহত্যার ঘটনা। চারদিনে এই নিয়ে দ্বিতীয় মৃত্যুর ঘটনা ঘটল। গত বুধবার একই জেলায় এক বিজেপি কর্মীর দেহ গাছ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছিল। সেই মৃত্যু নিয়ে বিজেপি এবং শাসকদল তৃণমূলের মধ্যে প্রবল রাজনৈতিক তরজা চলে।
“পাঁচজন ডাক্তার মিলে এই ময়নাতদন্তটি করেন। তারপর তাঁরা এই সিদ্ধান্তে আসেন যে, দুলাল কর্মকার ওইদিন আত্মহত্যা করেছিলেন”। পুরুলিয়ার নতুন এসপি আকাসহ মাঘারিয়া হাসপাতালের রিপোর্টকে উদ্ধৃত করে এই কথা আজ জানান সাংবাদিক সম্মেলনে।
দুলাল কর্মকার যেখানে থাকতেন, সেই বলরামপুরে আজ বিজেপির ডাকা 12 ঘন্টার বনধে রাস্তাঘাট দোকানপাট সব বন্ধ ছিল। বিজেপি এই ময়না তদন্তের রিপোর্টকে নাকচ করে দিয়ে বলেছে এটি সম্পূর্ণভাবে একটি ‘রাজনৈতিক হত্যা’।
“এটা অত্যন্ত ঠাণ্ডামাথায় হিসাব করে করা খুন ছাড়া আর কিছুই নয়। তৃনমূল কংগ্রেস বিজেপি সমর্থকদের মনে সন্ত্রাসের সৃষ্টি করতে চায়। তারই পরিণাম হিসাবে ত্রিলোচন মাহাতো এবং দুলাল কর্মকারের হত্যা। ত্রিলোচন মাহাতোকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল গত বুধবার”। বলরামপুরের এক বিজেপি সমর্থক এই কথা বলেন।
আরেকজন বিজেপি সমর্থক বলেন, “তৃণমূলের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তো ইতিমধ্যেই হুমকি দিয়েই দিয়েছেন যে পুরুলিয়াকে বিরোধীশূন্য করে তোলা হবে। তৃণমূল কংগ্রেস ঠিক সেটাই করেছে”।
বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফল অনুযায়ী, পুরুলিয়া জেলার 20টি ব্লকের মধ্যে বিজেপির দখলে 12টি ব্লক। এর ফলেই গোটা জেলা জুড়ে অশান্তির বাতাবরণ তৈরি হয়ে গিয়েছে।
এর পাশাপাশিই আরও যে প্রশ্নটা উঠে এসেছে, তা হল, এই জেলার অধিকাংশ ব্লকই যেহেতু এখন বিজেপির দখলে, তাই এইভাবে পরপর হত্যা করা তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষে আদৌ সম্ভব কি না। এর উত্তরে বিজেপি সমর্থকরা দাবি করেছে যে, এই হত্যায় তৃণমূল একা নয়, মাওবাদীরাও আছে। তৃণমূল মাওবাদীদের সাহায্য নিয়েছে।
দুলাল কর্মকার যেখানে থাকতেন, সেই বলরামপুরে আজ বিজেপির ডাকা 12 ঘন্টার বনধে রাস্তাঘাট দোকানপাট সব বন্ধ ছিল। বিজেপি এই ময়না তদন্তের রিপোর্টকে নাকচ করে দিয়ে বলেছে এটি সম্পূর্ণভাবে একটি ‘রাজনৈতিক হত্যা’।
Advertisement
আরেকজন বিজেপি সমর্থক বলেন, “তৃণমূলের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তো ইতিমধ্যেই হুমকি দিয়েই দিয়েছেন যে পুরুলিয়াকে বিরোধীশূন্য করে তোলা হবে। তৃণমূল কংগ্রেস ঠিক সেটাই করেছে”।
Advertisement
এর পাশাপাশিই আরও যে প্রশ্নটা উঠে এসেছে, তা হল, এই জেলার অধিকাংশ ব্লকই যেহেতু এখন বিজেপির দখলে, তাই এইভাবে পরপর হত্যা করা তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষে আদৌ সম্ভব কি না। এর উত্তরে বিজেপি সমর্থকরা দাবি করেছে যে, এই হত্যায় তৃণমূল একা নয়, মাওবাদীরাও আছে। তৃণমূল মাওবাদীদের সাহায্য নিয়েছে।
COMMENTS
Advertisement