This Article is From Jun 18, 2018

সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে হাইকোর্টে পিটিশন জমা দিলের মৃত বিজেপি কর্মীর বাবা

হরিরাম বলেন, স্বচ্ছ তদন্ত তখনই হওয়া সম্ভব, যদি সিবিআই এই মামলার তদন্তভার গ্রহণ করে। 

সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে হাইকোর্টে পিটিশন জমা দিলের মৃত বিজেপি কর্মীর বাবা

একটি গাছ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় ত্রিলোচন মাহাতোর দেহ। 

কলকাতা: পুরুলিয়াতে গাছ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেহ উদ্ধার হওয়া বিজেপি কর্মীর বাবা আজ কলকাতা হাইকোর্টে একটি লিখিত পিটিশন জমা দিয়ে সিবিআই তদন্তের দাবি করলেন। তাঁর সন্তান ত্রিলোচন মাহাতো মৃত্যুকে 'রাজনৈতিক হিংসার বলি' হিসাবে ব্যাখা করে, তিনি, হরিরাম বলেন, স্বচ্ছ তদন্ত তখনই হওয়া সম্ভব, যদি সিবিআই এই মামলার তদন্তভার গ্রহণ করে। 

হরিরাম মাহাতোর উকিল প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল বলেন যে, পিটিশনারের দাবি অনুযায়ী, তুমুল রাজনৈতিক চাপের কারণে রাজ্যের পুলিশের পক্ষে এই মামলার সঠিক ও স্বচ্ছ তদন্ত করা প্রায় অসম্ভব।

"এই লিখিত পিটিশন অনুসারে এই সপ্তাহের শেষের দিকেই কোনও একদিন বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর অধীনে এই মামলাটি শুরু হবে", বলেন হরিরামের উকিল।

গত 30 মে পুরুলিয়া জেলার বলরামপুরে তাঁর বাড়ি থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে একটি গাছ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় ত্রিলোচন মাহাতোর দেহ। 

একটি বাংলায় লেখা চিঠিও উদ্ধার করা হয় তাঁর দেহের সঙ্গে। চিঠিটি তাঁর গলায় ঝোলানো ছিল। আঁকাবাঁকা হাতের লেখায় সেখানে লেখা ছিল- "বিজেপি করার শাস্তি"। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির হয়ে কাজ করেছিলেন ত্রিলোচন।

"মাত্র 18 বছর বয়সেই বিজেপি করার শাস্তি এটি। আমি তোকে সেই পঞ্চায়েত নির্বাচিনের সময় থেকে খুঁজছিলাম। এখন দেখ, কী পরিণতি হল", লেখা ছিল ওই চিঠিটিতে।

ত্রিলোচন মাহাতোর মৃত্যুর ঠিক তিনদিন পরেই 35 বছর বয়সী দুলাল কর্মকারের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয় বলরামপুরেরই একটি ট্রান্সমিশন টাওয়ার থেকে। বিজেপি দাবি করে, ত্রিলোচনের মতোই দুলালও তাদের দলের কর্মী ছিল।


(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদিত করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে.)
.