This Article is From Jun 09, 2019

হাইওয়েতেই মৃত কর্মীদের দাহ করতে চেয়ে বিজেপির সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ

রাজ্য বিজেপি শনিবার সংঘর্ষে নিহত কর্মীদের দেহ বাসন্তী হাইওয়েতেই দাহ করতে চাইলে তাদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বাধে।

হাইওয়েতেই মৃত কর্মীদের দাহ করতে চেয়ে বিজেপির সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ

বিজেপি শনিবার সংঘর্ষে নিহত কর্মীদের দেহ বাসন্তী হাইওয়েতেই দাহ করতে চেয়েছিল।

হাইলাইটস

  • বিজেপি সংঘর্ষে নিহত কর্মীদের দেহ বাসন্তী হাইওয়েতেই দাহ করতে চেয়েছিল।
  • গেরুয়া দল রাজ্যব্যাপী ‘কালা দিবস’ পালন করবে আগামী ১০ জুন।
  • লালবাজার অভিমুখে মিছিল ১২ জুন।
কলকাতা:

বাংলার রাজনৈতিক হিংসা এক নাটকীয় মোড় নিল রবিবার। রাজ্য বিজেপি (BJP)  শনিবার সংঘর্ষে নিহত কর্মীদের দেহ বাসন্তী (Basanti) হাইওয়েতেই দাহ করতে চাইলে তাদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বাধে। শয়ে শয়ে বিক্ষুব্ধ কর্মীরা ওই স্থানে জমায়েত হয়ে দাহকার্যের প্রস্তুতি নিতে শুরু করে। কিন্তু মাঝপথে দল সিদ্ধান্ত বদলে ফেলে ঘোষণা করে একগুচ্ছ প্রতিবাদের কর্মসূচির। যার মধ্যে অন্যতম রাজ্যব্যাপী ‘কালা দিবস' পালন। বিজেপি (BJP) চেয়েছিল মৃতদেহগুলি কলকাতায় নিয়ে এসে তাঁদের সম্মা‌ন প্রদর্শনে শোভাযাত্রা করতে। কিন্তু মাঝপথে পুলিশ তাদের আটকায়। তখন তারা বলে রাস্তার উপরেই তারা দেহগুলির দাহ করবে। পরে দলের তরফে বলা হয়, স্থানীয় বনধ পালিত হবে। পাশাপাশি রাজ্যব্যাপী ‘কালা দিবস' পালন করা হবে আগামী ১০ জুন। লালবাজার অভিমুখে মিছিল ১২ জুন। বিজেপির (BJP) দাবি, গত সন্ধ্যায় তাঁদের তিন কর্মী ন্যাজাটে রাজনৈতিক সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন।

দুই দলের কর্মীরা দলের পতাকা তোলা নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এক তৃণমূল (TMC) কর্মীকে গুলি করে মেরে ফেলা হয়। দু'জন বিজেপি (BJP) কর্মীরও মৃত্যু হয়। তাঁদের একজনকে চোখের মধ্যে গুলি করা হয়।

মুকুল রায় এ ব্যাপারে তাঁর প্রাক্তন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘বিজেপি (BJP) কর্মীদের বিরুদ্ধে লাগামছাড়া হিংসা'র জন্য দায়ী করেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছে রাজ্য বিজেপির (BJP) অভিযোগের পরে কেন্দ্রের তরফে বাংলার লাগাতার হিংসার ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের প্রতি অভিযোগ জানিয়ে বলা হয়, রাজ্যে আইন শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ব্যর্থ রাজ্য সরকার।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে বলা হয়, ‘‘গত সপ্তাহগুলিতে চলতে থাকা লাগাতার হিংসা রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিচালনার অবনতিরই কারণে হচ্ছে। পাশাপাশি মানুষের মধ্যে বিশ্বাস ধরে রাখতেও ব্যর্থ।''

লোকসভার ফলাফল প্রকাশের পর থেকেই তৃণমূল(TMC) কংগ্রেস ও বিজেপির সংঘর্ষ রাজ্যে ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করেছে। লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের ৪২টি আসনে বিজেপি (BJP) দুই থেকে উঠে এসেছে ১৮-তে। তৃণমূল এবার নেমে এসেছে ২২-এ। বিধানসভা নির্বাচন আর দু'বছর দূরে।

গত ১০ দিনে অন্তত তিনটি সংঘর্ষের খবর মিলেছে রাজ্যে। এতে তিনজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। তৃণমূলের দু'জন ও তৃণমূলের(TMC) একজন।

গত ৩০ মে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর  শপথগ্রহণের দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আসেননি। তৃণমূলের(TMC) হাতে নিহত ৫৪ জন বিজেপি কর্মীর পরিবার নয়াদিল্লির ওই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হওয়ার পরেই মমতা না আসার সিদ্ধান্ত নেন।

.