বুলন্দশহরে অশান্তি: হাপুর থেকে গ্রেফতার করা হয় শিখর আগরওয়ালকে
হাইলাইটস
- হাপুর থেকে গ্রেফতার করা হয় শিখর আগরওয়ালকে
- ভিডিও প্রকাশ করে তিনি বলেন, উত্তেজনা তৈরি করেছিলেন সুবোধ কুমার সিং
- গত সপ্তাহে গ্রেফতার করা হয় মূল অভিযুক্ত যোগেশ রাজকে
লখনউ: গো-হত্যা নিয়ে বুলন্দশহরে ৩ ডিসেম্বর একটি পুলিশ ফাঁড়ি সংলগ্ন এলাকায় যে অশান্তি ছড়িয়ে পড়ে, তা নিয়ে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছিলেন শিখর আগরওয়াল। ভিডিওতে অশান্তির জন্য পুলিশ আধিকারিক সুবোধ কুমার সিংকে দায়ী করেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, গোহত্যা নিয়ে অভিযোগ জানাতে তাঁকে বাধা দিয়ে অশান্তির সূচনা করেছিলেন পুলিশ আধিকারিক সুবোধ কুমার সিং।
গত সপ্তাহে গ্রেফতার করা হয় বজরং দলের সদস্য তথা মূল অভিযুক্ত হিসাবে চিহ্নিত যোগেশ রাজ। ঘটনার একমাস পর গ্রেফতার করা হয় তাকে।
শিখর আগরওয়ালের আরও অভিযোগ, তাঁকে এবং তার অনুগামীদের খুনের হুমকি দিয়েছিলেন পুলিশ আধিকারিক সুবোধ কুমার সিং। পরে বিষয়টি তিনি চন্দ্র মৌর্য নামে এক পুলিশ আধিকারিককে জানিয়েছিলেন বলেও ভিডিওতে দাবি শিখরের। সুবোধ কুমার সিং-এর বিরুদ্ধে দূর্নীতি এবং গোহত্যা নিয়ে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের দিকে ঝোঁকারও অভিযোগ তুলেছেন শিখর আগরওয়াল।
আফগানিস্তান নিয়ে আগ্রহ থাকলে তালিবানের সঙ্গে ভারতের কথা বলা উচিতঃ সেনা প্রধান
বুলন্দশহরের এএসপি অতুল কুমার শ্রীবাস্তব সংবাদসংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, “আমরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছি, আজই তাঁকে স্থানীয় একটি আদালতে তোলা হবে”।
যোগেশ রাজের অভিযোগের ভিত্তিতে ৫ জন সংখ্যালঘু মানুষকে গ্রেফতার করা হয়। প্রমাণের অভাবে দুসপ্তাহ পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
প্রবল নিন্দার ঝড় ওঠার পর পুলিশ আধিকারিককে খুনের ঘটনায় ৩০ জনকে গ্রেফতার করা হয়। বুলন্দশহরের ঘটনায় পুলিশ আধিকারিকের পাশাপাশি আরও এক যুবকের মৃত্যু হয়।
১ জানুয়ারি কালুয়া নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়।পুলিশ আধিকারিককে কুড়ুল দিয়ে আক্রমণের অভিযোগ রয়েছে কালুয়ার বিরুদ্ধে। গত ২৮ ডিসেম্বর গ্রেফতার করা হয় সুবোধ কুমার সিংকে গুলি করায় অভিযুক্ত প্রশান্ত নাটকে। সে, কালুয়া এবং তৃতীয় ব্যক্তিকে ভিডিও দেখে চিহ্নিত করে পুলিশ। জিতেন্দ্র মালিক নামে একজন সেনাকর্মীও অভিযুক্ত বুলন্দশহরের ঘটনায়। তাকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রাখা হয়েছে।
পিটিআই থেকে পাওয়া তথ্য