This Article is From Jan 24, 2020

পোহা বাংলাদেশিদের খাদ্য, কৈলাস বিজয়বর্গীয়র মন্তব্যে বিতর্ক টুইটারে

একজন লেখেন, ‘‘আমরা পোহাও খাব। কাগজও দেখাব না।'' প্রসঙ্গত, এখানে ওই টুইটার গ্রাহক এই ঘটনার সঙ্গে মিশিয়ে দিয়েছেন এনআরসি প্রসঙ্গও।

পোহা বাংলাদেশিদের খাদ্য, কৈলাস বিজয়বর্গীয়র মন্তব্যে বিতর্ক টুইটারে

মধ্যপ্রদেশের ইনদওরে এক জনসভায় কৈলাস একথা জানান।

হাইলাইটস

  • কৈলাস বিজয়বর্গীয়র মন্তব্যে বিতর্ক টুইটারে
  • পোহা বাংলাদেশিরা খায় বলে দাবি করেন তিনি
  • তাঁর এহেন মন্তব্যের পরে বহু মজার মন্তব্য লক্ষিত হয় টুইটারে
কলকাতা:

কয়েক দিন আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) দাবি করেছিলেন, পোশাক দেখে মানুষ চেনা যায়। আর এবার তাঁর দলীয় সতীর্থ প্রবীণ নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় (Kailash Vijayvargiya) ইঙ্গিত করলেন, মানুষ চেনা যায় তাদের খাবার দেখলে। মধ্যপ্রদেশের ইনদওরে এক জনসভায় কৈলাস জানান, তাঁর বাড়িতে নির্মাণের কাজ করতে এসেছিলেন কয়েকজন কর্মী। সেই সময় তিনি দেখতে পান ছ'-সাত জন শ্রমিক বিপুল পরিমাণ পোহা খাচ্ছিল। অন্তত দশ প্লেট। তিনি বলেন, ‘‘আমি ওঁদের কাছে জানতে চাই আপনারা কী খাচ্ছেন? ওঁরা উত্তর দেয়নি, কেননা ওরা হিন্দি বোঝে না। এরপর এক ব্যক্তি জানিয়ে দেন, তাঁরা বাঙালি। আমি অন্য সন্দেহ করছিলাম। আমি তাঁদের কাছে তাঁদের এখানে কেন নিয়ে আসা হয়েছে। জবাবে তাঁরা জানান, তাঁরা সস্তার শ্রমিক।''

কেন তাঁর ত্বক চকচকে, ফাঁস করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

এখানেই শেষ নয়। এরপর কৈলাস আরও বলেন, ‘‘আপনারা শুনলে অবাক হবেন, এক বাংলাদেশি সন্ত্রাসবাদী আমার উপরে নজর রেখেছিল দেড় বছর ধরে। এখন আমাকে বাইরে যেতে হয় সশস্ত্র রক্ষী নিয়ে।''  

তাঁর এমন বক্তব্য ঘিরে ঝড় ওঠে সোশ্যাল মিডিয়ায়। একজন মজা করে লেখেন, ‘‘গত ক'দিনে দু'টি জিনিস জানতে পেরেছি। ১. হালুয়া অসপিশিয়াস (পবিত্র)। ২. পোহা সাসপিশিয়াস (সন্দেহজনক)।''  

শনিবার শাহিনবাগের প্রতিবাদীদের সঙ্গে দেখা করতে যাবেন, জানালেন বাবা রামদেব

আর একজন দাবি করেন, পোহা ‘জাতীয়তা বিরোধী' হয়ে উঠেছে।

আর একজন লেখেন, ‘‘আমরা পোহাও খাব। কাগজও দেখাব না।'' প্রসঙ্গত, এখানে ওই টুইটার গ্রাহক এই ঘটনার সঙ্গে মিশিয়ে দিয়েছেন এনআরসি প্রসঙ্গও।

তবে সবচেয়ে বেশি যে টুইট দেখা গিয়েছে এপ্রসঙ্গে, সেটা হল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর পোহা ভক্ষণের ছবি।

প্রসঙ্গত, পোহা উত্তর ভারতের খাবার। মূলত সমাজের দরিদ্র শ্রেণির মানুষ এটিকে খাবার হিসেবে গ্রহণ করে মূলত তিন কারণে— এটি সহজে তৈরি করা যায়, পেট ভরায় এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল এটি বানাতে খুব কম খরচ পড়ে। 

.