কপিল মিশ্রার এক বিতর্কিত টুইট এর আগে সরিয়েও নিয়েছে টুইটার (ফাইল)
হাইলাইটস
- "সাম্প্রদায়িক মন্তব্য", ৪৮ ঘণ্টা প্রচার করতে পারবেন না বিজেপির কপিল মিশ্র
- তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে কমিশন
- টুইটে উল্লেখ, "মিনি পাকিস্তান" শব্দে আপত্তি তুলে কমিশনের এই সিদ্ধান্ত
নয়াদিল্লি: টুইটে "সাম্প্রদায়িক মন্তব্য" করার অভিযোগে আগামী ২ দিন নির্বাচনী (Delhi Election) প্রচার করতে পারবেন না বিজেপির কপিল মিশ্র (Kapil Mishra)। শনিবার সন্ধ্যা ৫টা থেকে লাগু হবে নির্বাচন কমিশনের এই নির্দেশ। এদিন এমনটাই জানিয়েছে দিল্লি পুলিশ (Delhi Police)। বিজেপির মডেল টাউন কেন্দ্রের ওই প্রার্থীর বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ, টুইটে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে বিদ্বেষ ছড়ান তিনি। শনিবার দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে , শুক্রবার নির্বাচন কমিশন কপিল মিশ্রার একটা টুইটে আপত্তি তুলেছিল। সেই টুইটে দিল্লিকে (Shaheen Bagh) 'মিনি পাকিস্তান' বলে তুলনা করেন এই নেতা। একেই "ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাত" বলে উল্লেখ করেছিল কমিশন। তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগও দায়ের করা হয়েছিল।
"পাক ও বাংলাদেশের মুসলিম অনুপ্রবেশকারীদের বের করে দেওয়া উচিত": শিবসেনা
জানা গেছে, টুইটে ওই বিজেপি প্রার্থীর মন্তব্য ছিল, শাহিনবাগ হয়ে পাকিস্তান এ দেশে ঢুকছে। মিনি পাকিস্তান তৈরি হচ্ছে দিল্লিতে। শাহিনবাগ, চাঁদবাগ, ইন্দ্রলোক-- এই জায়গায় আইন মানা হচ্ছে না। পাকিস্তানি দাঙ্গাবাজরা রাস্তা আটকে রেখেছে।এর আগেও একবার পৃথক টুইট করে দিল্লি নির্বাচনকে "ভারত- পাকিস্তান দ্বৈরথ" বলে মন্তব্য করেছিলেন তিনি। এদিকে এই টুইট প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশন বলেছে, "নির্বাচন বিধিতে ধর্মীয় বিশ্বাস রক্ষার যে ধারা, তাকে লঙ্ঘন করেছে ওই টুইট। পাশাপাশি ধর্মীয় বিভেদকে উস্কে দিয়েছে ওই টুইট।" যদিও কমিশনের থেকে শো-কজ পেয়েও নিজের সিদ্ধান্তে অটল কপিল মিশ্র। তিনি বলেন, "আমি মনে করি না ভুল কিছু বলেছি। এ দেশে সত্যি বলা অপরাধ না। আমি সেটাই বলেছি। আমি আমার মন্তব্যও প্রত্যাহার করব না।"
সন্ত্রাস দমনে পদক্ষেপ না করায় ভুগতে হবে পাকিস্তানকে, হুঁশিয়ারি আমেরিকার
অপরদিকে কপিল মিশ্রর "ভারত- পাকিস্তান দ্বৈরথ" মন্তব্যকে কটাক্ষের সুরে বিঁধতে আপ প্রশ্ন তুলেছে, "ওই বিজেপি প্রার্থী কি বিসিসিআই-তে যোগ দিয়েছেন?" আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি দিল্লিতে নির্বাচন আর ১১ ফেব্রুয়ারি ভোট গণনা। গত নির্বাচনে ৭০টি আসনের মধ্যে ৬৭টি আসনেই জিতেছিল অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দল। মাত্র ৩টি আসন নিয়ে খুশি থাকতে হয়েছিল বিজেপিকে। টানা ১৫ বছর সে রাজ্য শাসন করলেও, ২০১৫-এর নির্বাচনে একটিও আসন পায়নি কংগ্রেস। এবারও দিল্লিতে ত্রি-মুখী লড়াই।