বর্তমানে নিউ ইয়র্কে চিকিৎসাধীন সোনালী বেন্দ্রে। (ফাইল)
নিউ দিল্লি: মহারাষ্ট্রের বিজেপি নেতা রাম কদম কিছুদিন আগেই মন্তব্য করেছিলেন যদি কোনও মেয়ে কোনও ছেলেকে প্রত্যাখ্যান করে তবে ওই ছেলেটিকে মেয়েটিকে অপহরণ করতে তিনি সাহায্য করবেন। এই বক্তব্যের জন্য দেশের বিভিন্ন মানুষ তাঁকে নিন্দা করছিলেন। আর এবার টুইটারে তিনি লিখলেন বলিউড অভিনেত্রী সোনালী বেন্দ্রের মৃত্যুতে তিনি শোকাহত। বর্তমানে সোনালী বেন্দ্রে নিউ ইয়র্কে ক্যানসারের চিকিৎসা করাচ্ছেন। গতকাল রাম কদম টুইটারে মারাঠি ভাষায় একটা ম্যাসেজ পোস্ট করেন যেখানে লেখা ছিল, “বিভিন্ন হিন্দি ও মারাঠি ছবির দাপুটে অভিনেত্রী সোনালী বেন্দ্রে আমাদের মধ্যে আর নেই।” অভিনেত্রীর একটা ছবির সঙ্গে তিনি টুইট করেন যা কিছুক্ষণের মধ্যেই আবার মুছে ফেলেছেন।
তাঁর এই বার্তা কারও চোখ এড়িয়ে যায়নি। তারপরেই ভুয়ো খবর ছড়ানোর জন্য তাঁর তীব্র নিন্দা করেন বিভিন্ন মানুষ। তার ফলে রাম কদম ক্ষমা চান সকলের কাছে। “সোনালী বেন্দ্রে সম্পর্কিত খবর গুজব। গত দুই দিন ধরে আমি ঈশ্বরের কাছে তাঁর দ্রুত আরোগ্য প্রার্থনা করছি”, তিনি টুইট করেন।
জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে সোনালী বেন্দ্রে টুইট করেন তিনি মেটাস্টেটিক ক্যানসারে আক্রান্ত এবং ইউনাইটেড স্টেটসে তাঁর চিকিৎসা চলছে।
অভিনেত্রী নিজের ইনস্টাগ্রাম ও টুইটার অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে নিজের স্বাস্থ্যের খবর সকলকে জানান। 43 বছর বয়সী অভিনেত্রী একটা দীর্ঘ নোট শেয়ার করেন যেখানে লেখা ছিল তিনি এই যুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন এবং পরিবার ও বন্ধুদের পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন। শ্রীমতী বেন্দ্রে একথাও জানান, রোগটা একেবারেই আকস্মিক এবং এর আগমন তিনি আগে থেকে একেবারেই টের পাননি।
রাম কদমের দুটো পোস্টেই বিভিন্ন মানুষ টুইট করেছেন। ভুয়ো খবরের উৎস হিসাবে উল্লেখ করে তাঁকে বিভিন্ন মানুষ ট্রোল করেছে।
মহারাষ্ট্রের ঘাটকোপার অঞ্চলের এমএলএ এই সপ্তাহের শুরুতে মুম্বাইয়ে আয়োজিত “দাহি হান্ডি” অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, “তোমরা (যুবকরা) আমার কাছে যেকোনও আজ নিয়ে আসতে পারো। আমি একশো শতাংশ সাহায্য করবো। মা-বাবাকে সঙ্গে নিয়ে আমার কাছে এসো। বাআব মা রাজি হয়ে গেলে আমি কী করবো? তোমাদের পছন্দের মেয়েকে আমি অপহরণ করে বিয়ের জন্য তোমার হাতে তুলে দেবো।”
মেয়েদের অপহরণ প্রসঙ্গে মন্তব্যের জন্য তাঁর বিরুদ্ধে মহারাষ্ট্রের সোলাপুর জেলায় একটা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বিজেপির মুখপাত্র মাধব ভাণ্ডারী এমএলএ কদম মন্তব্যের পর ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন জানিয়ে বিষয়টা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন।