সাম্প্রতিক একটা ভিডিও ফের উসকে দিলো স্পাইসজেট ও বিজেপি সাংসদ বিবাদ প্রসঙ্গ। সেদিন অর্থাৎ ২১ ডিসেম্বর আসন বচসার জেরে দেরিতে ছাড়ে স্পাইসজেটের দিল্লি-ভোপালগামী ওই বিমান। এই কারণে যথেষ্ট বিব্রত হন অন্য যাত্রীরা।প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গেছে, তাঁর কারণে বিমান ছাড়তে দেরি হলেও সহ -যাত্রীদের সঙ্গে বচসায় জড়ান ওই বিজেপি সাংসদ।ভিডিওতে দেখা গেছে অন্য যাত্রীরা প্রজ্ঞা ঠাকুরকে বলছেন, আপনি একজন জনপ্রতিনিধি হয়ে আপনার কর্তব্য জনগণকে বিব্রত না করা। যাত্রীদের অভিযোগ ছিল, "একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আপনি অন্য ৫০ জনকে অসুবিধার মধ্যে ফেলছেন।কিন্তু আপনার নৈতিক দায়িত্ব জনগণের সুবিধে দেখা।'
এক মহিলা যাত্রীকে দেখা গেছে স্পষ্টতই বিরক্তিকর সুরে ওই বিমানের অন -বোর্ড কর্মীকে বলতে, "এই বিষয়টা কি একটু তাড়াতাড়ি মিটিয়ে ফেলা সম্ভব? এখানে কি কারও সময়ের দাম নেই? কেন আপনারা এব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না?"
রবিবারই স্পাইসজেট প্রজ্ঞা ঠাকুরকে তাঁর করা অভিযোগের জবাব দিয়েছে।বিজেপি ওই সাংসদের অভিযোগ ছিল, বিজেপি দিল্লি থেকে ভোপালগামী বিমানে তাঁর জন্য সংরক্ষিত আসনে তাঁকে বসতে দেয়নি স্পাইসজেট। এক বিবৃতি জারি করে বেসরকারি ওই বিমান সংস্থা বলেছিল: "হুইলচেয়ারে আমাদের বিমানে যাঁরা ভ্রমণ করেন, তাঁদেরকে নিরাপত্তাজনিত কারণে এমার্জেন্সি রো' (আপৎকালীন সারি)-তে বসতে দেওয়া হয় না।" বিবৃতিতে আরও যোগ করা হয়েছে, স্পাইসজেট সম্মানিত। প্রজ্ঞা ঠাকুর আমাদের এসজি ২৪৯৮ (SG 2498) দিল্লি-ভোপালগামী বিমানে গত ২১ ডিসেম্বর চড়েছিলেন। তাঁর আগে থেকেই ১-এ (1A) আসনটা সংরক্ষিত করা ছিল। কিন্তু তিনি নিজে হুইলচেয়ারে চেপে এসেছিলেন। আমাদের দিল্লি-ভোপালগামী বিমান বোম্বার্ডিয়ার কিউ ৪০০ (Q 400) এয়ারক্রাফ্ট অপারেট করে। যাতে ৭৮টি আসন। সেই এয়ারক্রাফ্টের প্রথম সারি (Row) এমার্জেন্সি বা আপৎকালীন আসন। যেটা হুইলচেয়ারে আসা কোনও যাত্রীকে দেওয়া হয় না।
এ বিষয়ে সংবাদসংস্থা এএনআই (ANI)-কে ওই বিজেপি সাংসদ আরও জানিয়েছিলেন, ২১ তারিখ ভোপাল বিমানবন্দরের অধিকর্তার কাছে তিনি অভিযোগ দায়ের করেছিলেন বলে ওই সংবাদসংস্থাকে জানান প্রজ্ঞা ঠাকুর। এমনকী, লিখিত সেই অভিযোগে তিনি স্পাইস জেটের কর্মীদের বিরুদ্ধে খারাপ ব্যবহারের অভিযোগ তুলেছিলেন। একই জিনিস আগে একবার হয়েছিল এবং এবার তাঁকে সংরক্ষিত আসন দেওয়া হয়নি, বলে অভিযোগে উল্লেখ করেছিলেন তিনি। তাঁর যুক্তি ছিল, ট্রেন-বিমান গণপরিবহন। তাই জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমার কর্তব্য পরিষেবা সম্বন্ধে মানুষকে অবগত করা। সেই কর্তব্য থেকেই আমি অভিযোগ করেছিলাম বলে এএনআই-কে বলেছিলেন ওই বিজেপি সাংসদ।