বিজেপি যে ঠিক পথেই রয়েছে সে ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী দিলীপ ঘোষ।
হাইলাইটস
- বিজেপির লক্ষ্য ২০২১ সালে বিধানসভায় রাজ্যে জয়লাভ
- আর তাই ২৯৪টি বিধানসভা আসনেই বুথে বুথে জন সংযোগ বাড়ানোর লক্ষ্যে বিজেপি
- আপাতত তাই সংগঠনের জোর বাড়াতে চাইছে দল
কলকাতা: আর দু'বছরের মধ্যেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন (Assembly Polls)। লোকসভা নির্বাচনে (Lok Sabha Election) রাজ্যে বিজেপির (BJP) অভাবনীয় ফলাফলের পর এবার বিজেপির লক্ষ্য ২০২১ সালে বিধানসভায় জয়লাভ। আর তাই ২৯৪টি বিধানসভা আসনেই বুথে বুথে জন সংযোগ বাড়ানোর লক্ষ্যে বিজেপি। বিজেপির জাতীয় সচিব রাহুল সিনহা সংবাদ সংস্থা আইএএনএস-কে জানিয়েছেন, ‘‘আমরা মনঃসংযোগ করছি বুথগুলোয়। আমাদের সদস্যপদ গ্রহণ চলছে। আমরা চেষ্টা করছি বুথ স্তরে দলের শক্তি বাড়াতে। আমাদের সংগঠন তখনই মজবত হবে যখন আমরা রাজ্যজুড়ে বুথ স্তরে শক্তিশালী উপস্থিতি রাখতে পারব।'' ২০১৯ লোকসভায় বিজেপি ৪২টি আসনের মধ্যে ১৮টি আসনে জয়লাভ করেছে। ২০১৪ সালের লোকসভায় মাত্র ২টিতে জয়লাভ করেছিল তারা। সেখান থেকেই এবার তাদের অভাবনীয় উত্থান।
বিরোধীদের অনুগত হয়ে কাজ করছে “রাষ্ট্রবিরোধী” বুদ্ধিজীবীরা, বললেন দিলীপ ঘোষ
তবে জয় করেও ভয় যাচ্ছে না গেরুয়া শিবিরের। ব্যক্তিগত আলাপ আলোচনায় দলের নেতারা মেনে নিয়েছেন, লোকসভার সাফল্যের পিছনে রয়েছে তৃণমূলের ‘অপশাসন'-এর ফলে তৈরি হওয়া জনরোষ। বিজেপির তরফে বিরাট কোনও সাংগঠনিক অলৌকিক কাণ্ড ঘটানো হয়েছে, তেমন নয়।
যেমন, হুগলি। এখানকার ফলাফল রাজ্যের শীর্ষস্থানীয় বিজেপি নেতাদের হকচকিত করে দিয়েছে। এখানে তেমন কোনও শক্তিশালী সংগঠনই ছিল না বিজেপির। তবু জয় এসেছে।
জয় শ্রী রাম বিতর্কে মোদিকে চিঠি লিখলেন অপর্ণা সেন, রামচন্দ্র গুহরা
আপাতত তাই সংগঠনের জোর বাড়াতে দল চাইছে অন্তত ৪০ হাজার বিস্তারককে (পূর্ণ সময়ের কর্মী) নিয়োগ করতে। এই বিস্তারকরা নিজের নিজের এলাকায় গিয়ে বাড়ি বাড়ি যোগাযোগ করে দলীয় সদস্য সংখ্যা আরও বাড়াবে।
দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ আইএএনএস-কে জানাচ্ছেন, ‘‘২৩ জুলাই থেকে শুরু হয়েছে বুথে বুথে সদস্য বাড়ানো। এর আগে আমাদের ৪২ লক্ষ সদস্য ছিল। এবার আমাদের লক্ষ্য পশ্চিমবঙ্গে এক কোটিরও বেশি সদস্য সংখ্যা। এটাই আমাদের একমুখী পরিকল্পনা এখন। প্রশিক্ষণ চলছে। দলের উপর থেকে নীচ পর্যন্ত কাজে ব্যস্ত।''
সদস্যগ্রহণ হয়ে গেলে সাংগঠনিক নির্বাচন সম্পন্ন করবে দল। সব মিলিয়ে ডিসেম্বরের মধ্যে পুরো প্রক্রিয়া সেরে ফেলতে চায় গেরুয়া শিবির।
এর পাশাপাশি চিন্তাভাবনা চলছে তৃণমূল ও অন্যান্য দল থেকে বিজেপিতে নেতাদের যোগদানের বিষয়টি নিয়েও। অনেকে যে বিজেপিতে যোগ দিয়েও দল ছেড়ে চলে যাচ্ছে তা নিয়েও আলোচনা হচ্ছে। যেমন বিতর্কিত তৃণমূল বিধায়ক মনিরুল ইসলাম বিজেপিতে যোগ দিয়েও আবার ফিরে গিয়েছেন তৃণমূলে। এবার তাই সে ব্যাপারে আরও ভাল করে দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা ভাবছে বিজেপি।
দিলীপ ঘোষ জানাচ্ছেন, ‘‘এখনও অনেকেই যোগ দিতে চাইছেন। আমি বলেছি আগে নিজেদের সিদ্ধান্তের ব্যাপারে নিশ্চিত হয়ে নিন তারপর আমাদের জানান। আমরা তাঁদের জানিয়ে দিচ্ছি দল বদলালে প্রশাসনের তরফ থেকে অনেক হুমকির সম্মুখীন হতে হবে।''
পাশাপাশি তাঁদের দলের নেতা-কর্মীদেরও যে নিয়মিত মারধর করছে তৃণমূল সেই অভিযোগও তোলেন দিলীপবাবু।
বিজেপিতে যোগ দেওয়ার মাস দুয়েকের মধ্যে বহু তৃণমূলের কাউন্সিলর আবার ফিরে গিয়েছেন শাসক দলে। এপ্রসঙ্গে দিলীপবাবুর বক্তব্য, ‘‘আমার কোনও আইডিয়া নেই কেন ওঁরা যোগ দিলেন এবং কেনই বা আমাদের দল তাঁদের যোগ দিতে বলল। আমি এমনকী ওঁদের চিনিও না।''
পাশাপাশি তিনি এও বলেন, ‘‘কাউকে কাউকে ফিরতে হয়েছে চাপে পড়ে। পুলিশ তাদের ভয় দেখাচ্ছে। বাড়িঘর ভেঙে দেওয়া হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হচ্ছে। সবাই তো এমন চাপের মুখে দাঁড়াতে পারেন না।''
তবে বিজেপি যে ঠিক পথেই রয়েছে সে ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী দিলীপ। সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচনেও জয় পেয়েছে বিজেপি। যা নিয়ে দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, ‘‘এর থেকে দেখা যাচ্ছে বুদ্ধিজীবী মহল এবং সমাজের সব স্তরের মানুষই চাইছেন বিজেপি জিতুক।''
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)